কুয়াকাটা-২ লঞ্চের তালাবদ্ধ কেবিন থেকে তরুণীর মরদেহ উদ্ধার
লঞ্চটির নিচতলায় পেছনের দিকে স্টাফ (গ্রিজার/লস্কর) কেবিন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রথম নিউজ,বরিশাল: ঢাকা-বরিশাল নৌ-রুটের যাত্রীবাহী বিলাসবহুল এমভি কুয়াকাটা-২ লঞ্চ থেকে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার সকালে লঞ্চটির নিচতলায় পেছনের দিকে স্টাফ (গ্রিজার/লস্কর) কেবিন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি জানিয়েছেন নৌ-পুলিশ বরিশাল অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তরুণীকে হত্যা করা হয়েছে। তার সঙ্গে থাকা তরুণকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সেই তরুণের সন্ধান করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে।
লঞ্চ টার্মিনাল ও লঞ্চের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে সঙ্গে থাকা ব্যক্তিকে শনাক্ত করার পাশাপাশি তরুণীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।
কুয়াকাটা-২ লঞ্চের স্টাফ সোহাগ জানান, বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে দুজন তরুণ-তরুণী ১ হাজার ৮০০ টাকায় স্টাফ কেবিন ভাড়া নেন। তরুণীর বয়স আনুমানিক ২৫ বছর আর পুরুষটির বয়স ৩৫ বছর হবে। লঞ্চটি ছাড়ার সময়ও তারা একসঙ্গে ছিলেন। রাত ১১টার দিকে একজন লস্কর তাদের টিকিট দিতে কেবিনে গেলে তাদের স্বাভাবিক অবস্থাতেই দেখতে পান।
সোহাগ আরও বলেন, শুক্রবার সকালে লঞ্চ বরিশাল ঘাটে ভেড়ে। সব যাত্রী নেমে গেলেও ওই কেবিনের যাত্রী বের না হওয়ায় আমরা গিয়ে দেখি কেবিনের দরজা তালাবদ্ধ। ভেতর থেকে কারও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। তালা দেখে বুঝেছি হয়তো তারা চলে গেছেন।
কিন্তু সন্দেহ হলে অন্য একটি চাবি দিয়ে তালাটি খুলে দেখি তরুণীর মরদেহ কেবিনের খাটে পড়ে আছে। বিষয়টি সবাইকে অবগত করলে নৌ-পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তারা এসে মরদেহ উদ্ধার করে। আমার মনে হয়, রাত তিনটার পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়েছে পুরুষটি।
পিবিআইয়ের পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম জানান, ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে জানা গেছে তরুণীর নাম শারমিন আক্তার। তিনি ঢাকার কুনিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম মো. এনায়েত ফকির ও মা নুরুন নাহার।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: