কালকিনিতে বোমা বিস্ফোরণে আহত আরেক কৃষকের মৃত্যু

রোববার (৩১ মার্চ) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন।

কালকিনিতে বোমা বিস্ফোরণে আহত আরেক কৃষকের মৃত্যু

প্রথম নিউজ, মাদারীপুর: মাদারীপুরের কালকিনিতে বোমা বিস্ফোরণে আহত আরেক কৃষক হারুণ ঢালী (৪০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার (৩০ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

রোববার (৩১ মার্চ) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। নিহত হারুণ ঢালী কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নের কালাই সরদারের চর গ্রামের আব্দুল সাত্তার ঢালীর ছেলে।

এর আগে বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে কালকিনির নতুন চর দৌলতখান এলাকার আড়িয়াল খাঁ নদের পাশে বোমা বিস্ফোরণে আরেক কৃষক মোদাচ্ছের শিকদারের (৪৫) ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। নিহত মোদাচ্ছের শিকদারের বাড়ি বরিশালের মুলাদী উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের চিঠিরচর গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে মাদারীপুরের কালকিনির নতুন চর দৌলতখান এলাকার আড়িয়াল খাঁ নদের পাশে একটি হাতবোমা বিস্ফোরণ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোদাচ্ছের শিকদার নামে এক কৃষক মারা যান। এই ঘটনায় হারুণ ঢালী ও দাদন ঢালী নামের আরও দুইজন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।

এদিকে আহত দুইজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হারুণ ঢালী মারা যান। নিহতের মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে বোমার আঘাতের পোড়া চিহ্ন আছে।

নাম না প্রকাশে স্থানীয় কয়েকজন জানান, মাদারীপুরের কালকিনির নতুন চর দৌলতখান এলাকার আড়িয়াল খাঁ নদের পাশে বসে কয়েকজন যুবক বোমা বানাচ্ছিলেন। সেই বোমা বিস্ফোরণেই এই ঘটনা ঘটেছে।

কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বোমা বিস্ফোরণে এর আগে বরিশালের মুলাদী উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের চিঠিরচর গ্রামের মোদাচ্ছের শিকদার নামের একজন মারা যান। এরপর শনিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হারুন ঢালী নামের আরও একজন মারা গেছেন। হারুন ঢালীর মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে কালকিনি থানায় একটি মামলা করেছে। ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।