কর্মচারীদের কর্মবিরতিতে অচল এনবিআর

প্রথম নিউজ, অনলাইন: জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তির অধ্যাদেশ জারির প্রতিবাদে চার দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে রোববার (২৫ মে) সকাল থেকেই বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এসেছেন। বেশির ভাগ শুল্ক-কর কর্মকর্তা-কর্মচারী এনবিআরের নিচতলায় প্রধান ফটকের পাশেই অবস্থান নিয়েছেন। বন্ধ রয়েছে প্রবেশের প্রধান দুই ফটক। এ কারণে এনবিআরের কার্যক্রম কার্যত বন্ধ আছে।
এর আগে, গত ১২ মে এনবিআর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুটি বিভাগ করে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। এর পর থেকে এর প্রতিবাদ করে আসছেন রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আজ সকাল নয়টার পর থেকেই কর্মকর্তারা প্রধান ফটক ও দোতলার মিলনায়তনে অবস্থান নিয়েছেন। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এনবিআর চেয়ারম্যান নিজের কার্যালয়ে আসেননি। তবে গতকালকের মতো আজও ভবনের ভেতরে ও বাইরে অবস্থান নিয়েছেন পুলিশের বিপুলসংখ্যক সদস্য। রয়েছেন নারী পুলিশেরও বেশ কিছু সদস্য।
কিছু কর্মকর্তা হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রধান ফটকে বসে পড়েছেন। এদিকে প্রধান ফটক বন্ধ থাকায় গাড়ি নিয়ে ঢোকা কিংবা বের হওয়া যাচ্ছে না। তাই হেঁটে কর্মকর্তারা ভবনে ঢোকেন। সকাল থেকে ভবনের বৈদ্যুতিক সিঁড়িগুলো বন্ধ ছিল। পরে একটি সিঁড়ি খুলে দেওয়া হয়। প্রবেশপথের সব ধরনের বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা পয়েন্টের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে আনসার সদস্যরা গেটে অবস্থান করছেন।
গতকাল বিকেলে আগামী দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। ঘোষিত কর্মসূচি হলো আজ রপ্তানি ও আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা কাস্টমস হাউস এবং শুল্কস্টেশন ব্যতীত আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সব দপ্তরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি চলবে। আগামীকাল সোমবার আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ব্যতীত আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি চলবে।
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের দাবি মূলত চারটি। প্রথমত, জারিকৃত অধ্যাদেশ অবিলম্বে বাতিল করা; দ্বিতীয়ত, অবিলম্বে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা; তিন, রাজস্ব সংস্কারবিষয়ক পরামর্শক কমিটির সুপারিশ জনসাধারণের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা; চার, এনবিআরে প্রস্তাবিত খসড়া ও পরামর্শক কমিটির সুপারিশ ব্যবসায়ী সংগঠন, সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের মতামত নিয়ে রাজস্বব্যবস্থা সংস্কার নিশ্চিত করা।