‘কেনা-বেচার মাধ্যমে কিছু লোককে নির্বাচনে নেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে’

শুক্রবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি। এটিএম মা’ছুম বলেন, দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক শাসকগোষ্ঠী তা চায় না।

‘কেনা-বেচার মাধ্যমে কিছু লোককে নির্বাচনে নেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে’

প্রথম নিউজ, অনলাইন: সরকার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য কেনা-বেচার মাধ্যমে কিছু লোককে নির্বাচনে সম্পৃক্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম। শুক্রবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি। এটিএম মা’ছুম বলেন, দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক শাসকগোষ্ঠী তা চায় না। ফ্যাসিস্ট সরকার বিরোধী দলকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে নানা ছক কষছে। সেই আলোকে আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনারের মাধ্যমে গণবিরোধী নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেছে। মূলত আওয়ামী লীগকে বিনা ভোটে আবারো ক্ষমতায় বাসার জন্যই এ তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। সরকার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য কেনা-বেচার মাধ্যমে কিছু লোককে নির্বাচনে সম্পৃক্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। জনগণ ইতোমধ্যেই এই ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তকে বিশ্বাসঘাতক ও বেঈমানীর রাজনীতি বলে আখ্যায়িত করেছে। 

তিনি বলেন, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। প্রায় প্রতিদিনই সরকার জামায়াত ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। সরকার বিরোধী দলকে নির্বাচনে অযোগ্য করার জন্য আদালতের মাধ্যমে ফরমায়েসি রায়ের ব্যবস্থা করছে। নৈশভোটের সরকার রাতের বেলা সাক্ষ্য গ্রহণ করে বিচার বিভাগের ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় সূচনা করেছে। 

আসামীদের অনুপস্থিতিতে চার্জ গ্রহণ ও কারাগারে বন্দি অবস্থায় আসামীকে স্বাক্ষীর জবানবন্দি ও জেরা শোনার সুযোগ না দিয়ে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন মেয়াদে দন্ড ঘোষণা করা হচ্ছে। গণতন্ত্রের লেবাসে কর্তৃত্ববাদী সরকার জুলুম ও নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ স্বৈরাচারী সরকারের প্রধান বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করে দমিয়ে রাখা। 

জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি বলেন, বিরোধীদলের শীর্ষস্থানীয় বহু নেতাসহ সারাদেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিয়ে কারাগারে আটক রেখেছে সরকার। ২৩ নভেম্বর পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আনিসুর রহমান নিজ কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে এবং ২৪ নভেম্বর রাত সাড়ে ১২টায় সিরাজগঞ্জ জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নেতা আশরাফ আলীকে পুলিশ বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ২২ জন নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এমনকি মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের হয়রানি করছে। আমি সরকারের এসব জুলুম-নির্যাতন এবং বেআইনি গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং গ্রেপ্তারকৃতদের দ্রুত নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানাচ্ছি।