একদফা আদায় করেই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে: মির্জা ফখরুল
আজ শনিবার (১২ আগস্ট) আরাফাত রহমান কোকোর ৫৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বনানী কবরস্থানে কবর জিয়ারত শেষে এ কথা বলেন তিনি।
প্রথম নিউজ ঢাকা: সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায়ের মাধ্যমেই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করা হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার (১২ আগস্ট) আরাফাত রহমান কোকোর ৫৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বনানী কবরস্থানে কবর জিয়ারত শেষে এ কথা বলেন তিনি।
একটি কুচক্রী মহল দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে নির্মূলের চক্রান্ত করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, একটি কুচক্রী মহল দীর্ঘকাল ধরে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। জিয়া পরিবারকে নির্মূলের চক্রান্ত করছে তারা। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে দেশের বাইরে চিকিৎসা দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করে মেডিকেল বোর্ড। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেশজুড়ে মানুষ তার মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছে।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্মৃতিচারণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আরাফাত রহমান কোকো অরাজনৈতিক ব্যক্তি হয়েও প্রায় বিনাচিকিৎসায় মারা গেছেন। একটি মহল জিয়া পরিবারকেও নির্মূলের চক্রান্ত করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এ সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, সহ সভাপতি সরদার নুরুজ্জামানসহ বিএনপি ও অঙ্গসহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
১৯৬৯ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন আরাফাত রহমান কোকো। ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জরুরি অবস্থার সময় করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে এক বছর কারাগারে ছিলেন তিনি। ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান। সেখান থেকে পাড়ি জমান মালয়েশিয়ায়।
এরপর ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন আরাফাত রহমান কোকো। বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল হাসপাতালে নেওয়ার পথে বিশিষ্ট এই ক্রীড়া সংগঠক ইন্তেকাল করেন। ওই বছরের ২৮ জানুয়ারি আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ দেশে আনা হয়।
ওই সময় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গুলশান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ ছিলেন। সেখানেই ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ দেখে শেষ বিদায় জানান সাবেক প্রধানমন্ত্রী। ওইদিনই বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।