এক ম্যাচে দুই হলুদ, তবুও যে কারণে লাল কার্ড দেখলেন না মার্টিনেজ

বৃহস্পতিবার উয়েফা কনফারেন্স লীগের কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে লিলকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে অ্যাস্টন ভিলা।

এক ম্যাচে দুই হলুদ, তবুও যে কারণে লাল কার্ড দেখলেন না মার্টিনেজ

প্রথম নিউজ, খেলা ডেস্ক: পুরো ম্যাচ জুড়েই ফ্রান্সের ক্লাব লিলের সমর্থকরা দুয়োধ্বনি দেন অ্যাস্টন ভিলা গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে। টাইব্রেকারে প্রথম শট ফিরিয়ে সেই দর্শকদের চুপ করার ইঙ্গিত করেন এই আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক। তখন তাকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। এর আগে ম্যাচেও একবার হলুদ কার্ড দেখেন মার্টিনেজ। যদিও ম্যাচ আর টাইব্রেকারে কার্ডের সম্পর্ক নেই বলে মাঠেই থাকেন তিনি। টাইব্রেকারে শেষ পর্যন্ত প্রথম আর শেষ শট ঠেকিয়ে এমিলিয়ানো ৪২ বছরের খরা কাটিয়ে কোনো ইউরোপীয় টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে তোলেন অ্যাস্টন ভিলাকে।

বৃহস্পতিবার উয়েফা কনফারেন্স লীগের কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে লিলকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে অ্যাস্টন ভিলা। এর আগে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-৩ গোলে সমতা। ১৯৮২ সালের পর প্রথমবার কোনো ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার শেষ চারে পা রাখলো ইংলিশ দলটি। সেমিফাইনালে অ্যাস্টন ভিলার প্রতিপক্ষ গ্রিক ক্লাব অলিম্পিয়াকোস। প্রথম লেগে অ্যাস্টন ভিলা জিতেছিল ২-১ গোলে। দ্বিতীয় লিগে  নিজেদের মাঠে দুই অর্ধের দুটি গোলে সেমি-ফাইনালের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল লিল। কিন্তু ৮৭তম মিনিটে অ্যাস্টন ভিলার ম্যাটি ক্যাশ গোল করে নাটকীয়ভাবে জমিয়ে তোলেন ম্যাচ।

গত ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ থেকেই ফরাসিদের কাছে ঘৃণার পাত্র মার্টিনেজ। এবার যেন একদমম সামনে পেয়ে তেতে উঠেছিল তারা। পুরো ম্যাচেই তাকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন স্লোগান দেয় তারা। তাকে উত্যক্ত করার চেষ্টা করে। তবে মার্টিনেজ অবশ্য মাঠের খেলাতেই মনোযোগী ছিলেন। তবে টাইব্রেকারে নিজের স্বরুপে ফেরেন তিনি। শট ঠেকিয়ে লিলের দর্শকদের দিকে নানারকম ভঙ্গি করতে দেখা যায় তাকে। প্রতিপক্ষের শট নিতে আসা ফুটবলারদের মনোযোগে চিড় ধরাতেও বিচিত্র সব কাণ্ড করতে থাকেন তিনি। রেফারি তাকে প্রথমে সতর্ক করে দেন। তাতেও না থামায় পরে হলুদ কার্ড দেখানো হয় তাকে। এর আগে মূল ম্যাচে সময় নষ্ট করার জন্য একবার হলুদ কার্ড দেখেন তিনি। তবে নিয়ম অনুযায়ী মূল ম্যাচের হলুদ কার্ড বিবেচনায় নেওয়া হয় না টাইব্রেকারের ক্ষেত্রে। দুটি হলুদ কার্ডেও তাই লাল কার্ড দেখতে হয়নি মার্টিনেজকে।

টাইব্রেকারে প্রথম শটটাই ফিরিয়ে দেন মার্টিনেজ। লিলির নাবিল বেনতালেবের শট পা দিয়ে সেভ দেন এই বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক। এরপর ভিলার লিওন বেইলি চতুর্থ শট মিস করলে খেলা সমতায় ফেরে। তবে শেষ শট ঠেকিয়ে ভিলাকে জয় এনে দেন মার্টিনেজ। ম্যাচ শেষে মার্টিনেজকে নিয়ে অ্যাস্টন ভিলার কোচ উনাই এমেরি জানিয়ে দিলেন, ‘আমাদের জন্য সে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একজন। তার ধরন তার মতোই এবং ড্রেসিং রুমে তার উপস্থিতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তার সব অভিজ্ঞতা নিয়ে সে দলের নেতাদের একজন।তার মানসিকতা দারুণ। মাঠেও নিজেকে আলাদাভাবে সে মেলে ধরে এবং আজকেও দুর্দান্ত খেলেছে। দুটি পেনাল্টি ঠেকিয়েছে, অবশ্যই তাকে নিয়ে আমি গর্বিত। দলের সবাইকে নিয়েই আমি গর্বিত।’