ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাস মুখপাত্র কানৌয়া নিহত

ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাস মুখপাত্র কানৌয়া নিহত

প্রথম নিউজ, অনলাইন: ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মুখপাত্র আবদেল-লতিফ আল-কানৌয়া নিহত হয়েছেন। উত্তর গাজার জাবালিয়া আল-বালাদে তার তাঁবুতে ইসরায়েলি হামলায় তিনি প্রাণ হারান। বৃহস্পতিবার ভোরে হামাস-অনুমোদিত সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে এই তথ্য। ইসরায়েল গাজায় তাদের অভিযান পুনরায় শুরু করার পর থেকে তিনিই সর্বশেষ নিহত ব্যক্তি।

কুদস নিউজ নেটওয়ার্কও হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে প্রতিবেদন করেছে। মাটিতে আবৃত অবস্থায় আল-কাউয়ার মৃতদেহের একটি ছবি প্রকাশ করেছে তারা। হামাস-পরিচালিত আল-আকসা টেলিভিশন জানিয়েছে, জাবালিয়ায় আল-কানৌয়ার তাঁবু লক্ষ্য করে হামলা চালানো হলে তিনি নিহত হন। একই হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন, অন্যদিকে গাজা সিটিতে পৃথক হামলায় কমপক্ষে ছয়জন ও দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে একজন নিহত হয়েছেন বলে মেডিকেল সূত্র জানিয়েছে।

এই সপ্তাহের শুরুতে, ইসরায়েল হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সদস্য ইসমাইল বারহুম এবং আরেকজন জ্যেষ্ঠ নেতা সালাহ আল-বারহুমকে হত্যা করে। উভয়ই ২০ সদস্যের হামাসের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা ও রাজনৈতিক কার্যালয়ের সদস্য ছিলেন। হামাস সূত্র অনুসারে, ২০২৩ সালের শেষের দিকে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে যাদের মধ্যে ১১ জন নিহত হয়েছেন।

গত সপ্তাহে ইসরায়েল বোমা হামলা এবং স্থল অভিযান পুনরায় শুরু করলে দুই মাস ধরে চলা যুদ্ধবিরতি শেষ হয়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৮ মার্চ গাজায় ইসরায়েলের বড় ধরনের সামরিক হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে কমপক্ষে ৮৩০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের অর্ধেকেরও বেশি শিশু ও নারী।

ইসরায়েল ও হামাস একে অপরকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করেছে। জানুয়ারি থেকে এটি ব্যাপকভাবে অব্যাহত ছিল এবং গাজার ২.৩ মিলিয়ন বাসিন্দাকে যুদ্ধ থেকে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে, যা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

৭ অক্টোবর ২০২৩ সালের হামলায় আটক ২৫০ জন জিম্মির মধ্যে ৫৯ জনকে এখনও আটক রেখেছে হামাস। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধের জন্য মধ্যস্থতাকারীদের আলোচনার প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করার অভিযোগ করেছে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দাবি, হামাস যুদ্ধবিরতি বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তিনি হামলার নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার তিনি বারবার হুমকি দিয়েছেন, হামাস যদি তাদের দখলে থাকা বাকি জিম্মিদের মুক্তি দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে গাজার অঞ্চল দখল করা হবে।

গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৮৩০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং প্রায় ১৮০০ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের বর্বর এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।