ইসরাইলকে যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি চাপ দেয়ার আহ্বান সৌদি আরবের

গাজার সহিংসতা বন্ধ করানোর ক্ষেত্রে দায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাঁধে পড়ে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।

ইসরাইলকে যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি চাপ দেয়ার আহ্বান সৌদি আরবের

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: গাজায় যুদ্ধবিরতিতে ইসরাইলকে বাধ্য করতে তার ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান। গাজার সহিংসতা বন্ধ করানোর ক্ষেত্রে দায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাঁধে পড়ে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন। বেইজিংয়ে আরব ও ইসলামি দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বিশেষ বৈঠকে মিলিত হন সোমবার। এর আগে রিয়াদে তারা যুদ্ধ বন্ধ বিষয়ে জরুরি বৈঠক করেন। সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়ে বেইজিংয়ে আবার মিলিত হন। সেখানে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সহায়তা করতে আগ্রহী বেইজিং। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আরব নিউজ। 

এদিনই এসব নেতা বেইজিং পৌঁছান। এরপর কূটনীতিকদের বৈঠকে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি যুদ্ধ বন্ধে এবং নিরীহ মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমরা এখানে সমবেত হয়েছি একটি পরিষ্কার সংকেত দিতে। তাহলো- অবিলম্বে এই যুদ্ধ ও হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে হবে।

আমাদেরকে অবিলম্বে গাজায় মানবিক সরবরাহ দিতে হবে। সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, চীন ও অন্য দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতায় আমরা উদ্বুদ্ধ, যাতে এই ভয়াবহ যুদ্ধের পরিস্থিতি অনুধাবন করেন অন্যরা। তিনি গাজায় ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তুলে ধরেন। বলেন, এক্ষেত্রে প্রয়োজন আন্তর্জাতিক কার্যকর উদ্যোগ। এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৩,০০০ মানুষ। জবাবে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, আসুন একসঙ্গে আমরা গাজা পরিস্থিতি দ্রুততার সঙ্গে শান্ত করি। যত দ্রুত সম্ভব মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এই মিটিংয়ে উদ্বোধনী ভাষণে তিনি আরও বলেন, আরব ও মুসলিম দেশগুলোর ভাল বন্ধু বেইজিং।

ফিলিস্তিনি জনগণের বৈধ জাতীয় অধিকার ও তাদের স্বার্থ প্রতিষ্ঠাকে সব সময় কঠোরভাবে সমর্থন করে চীন। তিনিও গাজায় ক্রমবর্ধমান মানবিক বিপর্যয় বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান। বলেন, গাজা পরিস্থিতিতে বিশ্বের সব দেশের ওপর প্রভাব পড়ছে। এতে মানবাধিকারের অনুভূতি প্রশ্নের মুখে পড়ছে। মানবতা চলে যাচ্ছে তলানিতে। 

উল্লেখ্য, পশ্চিমা নয় এমন বহুজাতিক গ্রুপ, যেমন ব্রিকসের সঙ্গে জোটগত সম্পর্ক গভীর করেছে বেইজিং। একই সঙ্গে তারা মধ্যপ্রাচ্য এবং ‘গ্লোবাল সাউথে’র দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করছে। সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই গাজা পরিস্থিতিকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শান্ত করার জন্য কাজ করার অঙ্গীকার করলেন। এই বৈঠকে যেসব দেশের কূটনীতিকরা যোগ দিয়েছেন তার মধ্যে আছে সৌদি আরব, জর্ডান, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিস্তিন, ওআইসি এবং অন্যরা।