আ.লীগ সাড়ে ১৩ হাজার ব্যক্তির সরকার : নজরুল ইসলাম 

তিনি বলেন, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হয় না। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনই যেখানে সুষ্ঠু হয় না সেখানে সংসদ নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠু করবে। আমরা ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দেখেছি দিনের ভোট কীভাবে রাতে হয়।

আ.লীগ সাড়ে ১৩ হাজার ব্যক্তির সরকার : নজরুল ইসলাম 

প্রথম নিউজ, কিশোরগঞ্জ: বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, এই সরকার কথায় কথায় উন্নয়নের কথা বলে। কিন্তু জনগণের তেমন উন্নয়ন হয়নি। উন্নয়ন হয়েছে আওয়ামী লীগের কিছু নেতার। এই সরকারের উন্নয়ন গোরস্থানের আলোকসজ্জার মতো।

শনিবার বিকেলে কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক রথখলা ময়দানে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, একটি জরিপে এসেছে করোনাকালীন সময়ে সাড়ে ১৩ হাজার ব্যক্তি কোটিপতি হয়েছেন আর সাড়ে তিন কোটি মানুষ দরিদ্র হয়েছে। তার মানে এই সরকার সাড়ে ১৩ হাজার ব্যক্তির সরকার, দেশের ১৮ কোটি মানুষের সরকার নয়।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হয় না। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনই যেখানে সুষ্ঠু হয় না সেখানে সংসদ নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠু করবে। আমরা ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দেখেছি দিনের ভোট কীভাবে রাতে হয়। তিনি আরও বলেন, এই সরকারকে আবারও বলছি সংসদ ভেঙে জনগণের দাবি মেনে একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। অন্যথায় সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সামনের দিনে যে দুর্বার আন্দোলনের ডাক আসছে সেই আন্দোলনের মাধ্যমে এই অগণতান্ত্রিক সরকারকে বিদায় করা হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আমি একজন শ্রমিক নেতা, আমি বুঝি সাধারণ মানুষের কী পরিমাণ কষ্ট হচ্ছে। যেভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে সেভাবে একজন সাধারণ মানুষের জীবনযাপন করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। গতকালের যে বাজার ছিল, আজ তা বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। যারা ঘুষ-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তারা ব্যতীত বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউ ভালো নেই।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী। আমরা বিশ্বাস করি জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মুখে আজ পর্যন্ত কোনো স্বৈরাচার, কোনো রাষ্ট্রদ্রোহী শাসক টিকতে পারেনি, আগামী দিনেও টিকবে না। আমাদেরকে সেই শক্তি সঞ্চয় করে লড়াই করতে হবে এবং বিজয়ী হতে হবে।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, আজকে বাংলাদেশের জন্য ভিসা নিষেধাজ্ঞা আইন হয়ে গেল। বাংলাদেশের জন্য এর চেয়ে অসম্মান আর হতে পারে না। নাইজেরিয়ায় যা হয়েছে বাংলাদেশেও সেটা হয়েছে। আমরা কী দুর্নীতি-অনাচারগ্রস্ত নাইজেরিয়ার সমান? আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীনতা পাওয়া দেশ। আগে কত সরকার গেছে কখনও তো এই আইন আসেনি। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন দেশে বেগমপাড়া গড়ে উঠেছে। দেশের টাকা লুট করে ওই বেগমপাড়া তৈরি করেছে সরকার দলীয় লোকেরা। নিজেরা থাকে এই দেশে, আর বেগমরা তাকে ওই দেশে।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে জনসমাবেশ শুরু হয়। এতে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি লায়লা বেগম, কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও পাকুন্দিয়া উপজেলার আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দীন প্রমুখ।