আ.লীগ নেতারা আবারো লগি—বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে মানুষ হত্যার নির্দেশ দিচ্ছেন: রিজভী

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

আ.লীগ নেতারা আবারো লগি—বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে মানুষ হত্যার নির্দেশ দিচ্ছেন: রিজভী

প্রথম নিউজ, ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, জনগণের আন্দোলনের জলোচ্ছাস রুখতে এই পলায়নপর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নেতারা আবারো ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের মতো লগি—বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে মানুষ হত্যার নির্দেশ দিচ্ছেন। গান পাউডার ছিটিয়ে আগুন দিয়ে বাসযাত্রী পুড়িয়ে মারার বিভৎস আগুন সন্ত্রাসীদের দল আওয়ামী লীগের নেতারা বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণের নির্দেশ দিচ্ছেন। গান পাউডার ছিটিয়ে আগুন দিয়ে বাসযাত্রী পুড়িয়ে মারার বিভৎস আগুন সন্ত্রাসীদের দল আওয়ামী লীগের নেতারা বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণের নির্দেশ দিচ্ছেন। ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে ঘেরাও করে মারার হুমকী দিচ্ছেন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আগামী শনিবার আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা দাবি আদায়ে সারাদেশের গণমানুষের ঢাকামুখী প্রবল তরঙ্গ—স্রোত ধেয়ে আসছে। স্বৈরাচার পতনের আওয়াজ আসছে রাজপথ থেকে। এ যৌবন জলতরঙ্গ রোধিবি কি দিয়া বালির বাঁধের দৃশ্যপট রচিত হয়েছে। ফুঁসে উঠেছে গোটা দেশবাসী। স্বৈরাচারীনি মানব দৈত্যের পতনের কাউন্টডাউন চলছে। আকাশে বাতাসে, প্রতিটি জনপদে জনরব উঠেছে—‘দফা এক দাবি এক, শেখ হাসিনার পদত্যাগ।’ এতে নিশিরাতের সরকারের অবৈধ মন্ত্রী—এমপি—নেতা—আওয়ামী পুলিশ কর্মকর্তাদের আতংকে—হৃদকম্পন—অস্থিরতায় সুষুপ্তি হারাম হয়ে গেছে। তারা দিশাহীন, উন্মাদ হয়ে পাইকারী গ্রেফতার, আর্ত চিৎকার—হুংকার, খুনের হুমকী দিয়ে ভীতিকর ভয়ানক পরিবেশ তৈরীর ব্যর্থ চেস্টা করছেন। জনগণের আন্দোলনের জলোচ্ছাস রুখতে এই পলায়নপর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নেতারা আবারো ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের মতো লগি—বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে মানুষ হত্যার নির্দেশ দিচ্ছেন। গান পাউডার ছিটিয়ে আগুন দিয়ে বাসযাত্রী পুড়িয়ে মারার বিভৎস আগুন সন্ত্রাসীদের দল আওয়ামী লীগের নেতারা বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণের নির্দেশ দিচ্ছেন। ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে ঘেরাও করে মারার হুমকী দিচ্ছেন। আমরা বার বার বলেছি আমাদের আন্দোলন জনগণের ন্যায় ও সুবিচার প্রতিষ্ঠার। ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশও হবে শান্তিপূর্ণ। কিন্তু গতকাল আওয়ামী লীগ নেতারা তাদের দলীয় ক্যাডারদের মোটা মোটা লাঠি নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়ে ঢাকাকে নৈরাজ্যপুরিতে পরিণত করার নির্দেশ দিয়েছেন। যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ১৭৩ দিন জ্বালাও—পোড়াও আন্দোলনের নামে গণপরিবহনে আগুন, ব্যাংকে আগুন, পেট্টোল পাম্পে আগুন, রেল লাইন উৎপাটন করে আগুন, চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধ করে দেশজুড়ে নজিরবিহীন তান্ডব লীলা চালিয়েছিল, সেই জঙ্গী দলটি আজ জনগণের তত্ত্বাবধায়ক সরকার—ভোটাধিকারের দাবী রুখে দিতে রক্তপিপাসু হয়ে উঠেছে। তাদের সাথে যোগ দিয়েছে জনগণের কস্টার্জিত টাকায় বেতনভোগী পুলিশসহ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর আওয়ামী দলীয় পোষ্য দলদাস কর্মকর্তারা। তাদের বিরোধীদল দলন—দমন—নিঃশেষ করার ভয়ংকর হুংকার আর গ্রেফতার তান্ডব সমস্ত সীমা লংঘন করেছে। কিন্ত তাদের জানা উচিত এই নিশুতি সরকারই শেষ সরকার নয়। অতিসত্বর হবে জনগণের সরকার। তখন এই দলদাস পোশাকী সন্ত্রাসীদের পরিণতি কি হবে জনগণ সিদ্ধান্ত নিবে।

তিনি বলেন, এই রক্তপিপাসু জালিম সরকার বিনাভোটে তাদের ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখতে এই বাংলাদেশে আজ সবাই বন্দী, সবাই পরাধীন। দেশের মানুষের হাত—পা বেঁধে রাখা হয়েছে। আমাদের দলের নেতা—কর্মীদের দিয়ে জেলগুলো ভরে ফেলা হয়েছে, জেলখানায় ধারণ ক্ষমতার চেয়ে এখন তিনগুণের বেশী বন্দী। দুঃসহ বন্দীজীবনে শ^াসবায়ু প্রাণভরে কেউ গ্রহণ করতে পারছে না। অসংখ্য মানুষ হামলা, মামলা, হুলিয়া, নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। গত ১৫ বছরে সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে দেড় লাখের বেশী মিথ্যা গায়েবী মামলায় আসামির সংখ্যা প্রায় অর্ধ কোটি। হামলা, মামলা, অপহরণ, গুম, খুনের এক ভয়াবহ বিভীষিকায় বাংলাদেশ আজ ছেয়ে গেছে। ঘরে ঘরে আজ হাহাকার। স্বজন হারানো কান্নার রোলে বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। সর্বগ্রাসী লুটপাটে দুর্ভীক্ষ চলছে। নিরন্ন মানুষ। ভূখা নাঙ্গাদের ভীড় বাড়ছে। বাংলাদেশের ইতিহাসের এক কঠিন সময়ের মুখোমুখি দাড়িয়ে জনগনের প্রাণভোমরা, এই আন্দোলনের সিপাহসালার,বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২৮ অক্টোবরের স্মরণকালের সর্ববৃহৎ মহাসমাবেশে যোগদানের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের লড়াইয়ে অংশ নিতে দেশের প্রতিটি নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। 
আজ বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশ্যে এক বক্তৃতায় দেশনায়ক তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের আন্দোলন বানচাল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে শেখ হাসিনার মাফিয়া চক্র। তারা গণগ্রেফতার শুরু করেছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা গ্রেফতার নির্যাতনে ভয় পায়না। ভয় পায়না বলেই আওয়ামী ফ্যাসিবাদী চক্রের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বিএনপির প্রতিটি সমাবেশে লক্ষ লক্ষ জনগণের উপস্থিতি অব্যাহত রয়েছে। আজ আমি সারাদেশে আমার দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী বিশেষ করে গায়েবি মামলার শিকার প্রায় অর্ধকোটি নেতাকর্মীদের প্রতি একটি নির্দেশনা দিতে চাই, 'গণতন্ত্রকামী জনগণ, বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে। সুতরাং, আর ঘর থেকে গ্রেফতার বরণ কিংবা মিথ্যা মামলায় আদালতের বারান্দায় ঘুরে সময়ক্ষেপণ না করে এবার চূড়ান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর পালা। আর প্রতিবাদ নয় এবার অসীম সাহস নিয়ে প্রতিরোধ ও প্রতিহত করার পালা। একজন গ্রেফতার হলে সঙ্গে সঙ্গেই আরেকজন নেতৃত্ব নিন—নেতৃত্ব দিন। ওরা আর কতজনকে গ্রেফতার করবে। ওরা আর কত মানুষকে জেলে পুরবে। ৪৪ হাজার মানুষের ধারণ ক্ষমতার ৬৮টি কারাগারে এরই মধ্যে লক্ষাধিক মানুষকে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। গণতন্ত্রকামী মানুষের ভিড়ে কারাগারগুলোতে এক অমানবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যাদেরকে গণহারে গ্রেফতার করা হচ্ছে, এরা কেউ গুম—অপহরণ কিংবা চুরি ডাকাতির সঙ্গে জড়িত নয়। তাহলে কেন এই অবৈধ গ্রেফতার ? তারেক রহমান মাফিয়া সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, এভাবে গণ গ্রেফতারের পরিণতি ভালো হবেনা। অবিলম্বে বিএনপি এবং ভিন্ন দল ও মতের মানুষকে গণগ্রেফতার বন্ধ করতে হবে। ইতোমধ্যে যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদেরকে ২৮ অক্টোবরের আগেই কারামুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় কারাবন্দি এই মানুষেরাই আগামী ২৮ অক্টোবর দেশের ৬৮টি কারাগার থেকেই একযোগে গণতন্ত্র মুক্তির আওয়াজ তুলতে বাধ্য হবে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, আর সময়ক্ষেপণের সময় নেই। এখন চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের লড়াই। এরই মধ্যে স্লোগান উঠেছে, 'এবার আর ছাড় নাই... ভোটের অধিকার ফেরত চাই' । ১৯৭১ সালে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য। আর আজকের এই আন্দোলন দেশ এবং জনগণের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য। অচিরেই গণতন্ত্রকামী মানুষের বিজয় নিশ্চিত হবেই হবে, ইনশাআল্লাহ।  

তিনি বলেন, জনগণের নেতা তারেক রহমান বলেছেন,বর্তমানে বাংলাদেশ ইতিহাসের এক কঠিন সময়ের মুখোমুখি। দেশে এখন পাহাড়সম বৈষম্য। একদিকে লুটেরাদের রাজত্ব অপরদিকে লাঞ্চিত—বঞ্চিত মানুষের নিঃশব্দ কান্না। নিশিরাতের সরকারের এক মন্ত্রী বলেছে, দেশে নাকি এখন চার কোটি লোকের জীবনযাপনের মান ইউরোপের মতো। তাহলে বাকি ১৪ কোটি মানুষের জীবনযাপনের মান কোন দেশের মতো ? দেশের অধিকাংশ মানুষকে এখন কেন বাজারে গিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র না কিনেই ফিরে আসতে হচ্ছে ? অসংখ্য মানুষকে কেন অর্ধাহারে অনাহারে থাকতে হচ্ছে ? কে দেবে এসব প্রশ্নের জবাব ? বাস্তবতা হলো, লাগামহীনভাবে বেড়েছে প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। একমাত্র কমেছে আওয়ামী নেতামন্ত্রীদের কথার দাম। কমেছে মানুষের মূল্য, মানবিক মর্যাদা। এর কারণ দেশ এখন মাফিয়া চক্রের কবলে। মাফিয়া চক্র অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে গিয়ে দেশের প্রতিটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে নষ্ট করে দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি যখন ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের কাছ থেকে ফুলের তোড়া আর পুলিশের কাছ থেকে সহাস্যে তরবারি উপহার নেন, তখন আর বুঝতে বাকি থাকেনা, রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু নষ্টই হয়ে যায়নি, এখন পচে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করেছে। আপনারা জানেন, অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে গিয়ে মাফিয়া চক্র দেশে সুপরিকল্পিতভাবে সেনা হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়েছে। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অনিবার্য সাক্ষী বিডিআর এর নাম—ঠিকানা, খোল নলচে পাল্টে দিয়েছে। দেশে বিদেশে র‌্যাব এবং পুলিশ বাহিনীকে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী খুনি বাহিনী হিসেবে পরিচিত করানো হয়েছে। আর সবশেষে এবার দেশের আনসারবাহিনীও মাফিয়া চক্রের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী চক্র তাদের হীন দলীয় রাজনৈতিক স্বার্থে গণতন্ত্রকামী জনগণের পেছনে লেলিয়ে দিয়ে আনসারবাহিনীকেও ধ্বংসের চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে।
তিনি বলেছেন, মাফিয়া সরকারের পতন ঘটিয়ে জবাবদিহিতামূলক রাষ্ট্র ও সরকার প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে জনগণের বাংলাদেশে জনগণের সরকার জনগণের শাসন কায়েম করতে না পারলে স্বৈরাচারের অন্ধকার থেকে দেশকে গণতন্ত্রের আলোয় ফেরানো সম্ভব নয়। এ প্রসঙ্গে আমি দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রিয় জনগণের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, মাফিয়া চক্রের কবল থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করা না গেলে, জনগণকে হয়তো অদূর ভবিষ্যতে নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের মতোই নিজ দেশে পরাধীনতার শৃঙ্খল পরে থাকতে হবে। জনগণের বাংলাদেশে জনগণের শাসন কায়েম করতে হলে প্রথমেই প্রতিটি নাগরিকের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নিশ্চিন্তে নিরাপদে প্রতিটি নাগরিকের ভোট প্রয়োগের অধিকার, সুযোগ ও পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ছাড়া দেশের সার্বভৌমত্ব যেমন নিরাপদ নয়, একইভাবে গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চা, মানবাধিকার রক্ষা কিংবা টেকসই উন্নয়নও সম্ভব নয়। প্রতিটি নাগরিকের ভোট প্রয়োগের অধিকারই হচ্ছে নাগরিকদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের অন্যতম প্রধান অস্ত্র। কিন্তু ফ্যাসিস্ট হাসিনা নাগরিকদের ভোটের অধিকার প্রয়োগের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তারেক রহমান উল্লেখ করেন, গত কয়েকটি জাতীয় নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে নির্ধারিত ভোটের দিনের আগেই নির্লজ্জভাবে ১৫৪ জনকে বিনাভোটে এমপি ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর। ওই নির্বাচনেও নির্বাচনের আগের দিন অর্থাৎ ২৯ ডিসেম্বর রাতের অন্ধকারে জনগণের ভোট ডাকাতি হয়ে গিয়েছিলো। আত্মমর্যাদাহীন—মেরুদন্ডহীন নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট হাসিনার ভোট ডাকাতিতে সহযোগিতা করেছে জনপ্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি আওয়ামী সিন্ডিকেট।আবারো জাতীয় নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এসেছে। নিশিরাতের ভোট ডাকাত সরকার আবারো জনগণের ভোট ডাকাতির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এর আগে ২০১৪ কিংবা ২০১৮ একটি নির্বাচনেও জনগণ ভোট দেবার সুযোগ পায়নি। নতুন ভোটাররাও ভোট দেবার সুযোগ পায়নি। দেশে বর্তমানে প্রায় বারো কোটি ভোটারের মধ্যে গত ১৫ বছরে ভোটার তালিকায় এ পর্যন্ত যুক্ত হয়েছে, নতুন প্রজন্মের প্রায় তিন কোটি ভোটার। ভোট ডাকাত হাসিনা আগের মতো এবারও যেন আপনার—আমার—আমাদের ভোট, ডাকাতি করে নিয়ে যেতে না পারে এ জন্য আওয়ামী ভোট ডাকাতদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। লুন্ঠিত ভোটের অধিকার ছিনিয়ে আনতে হলে বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের প্রায় তিন কোটি ভোটারকে জেগে উঠতে হবে। তরুণদেরকেই রাজপথে ভোটের অধিকার আদায়ের মিছিলের অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে।
তারেক রহমান বলেন, ছাত্র—যুবক—তরুণদের সামনে নিশিরাতের ভোট ডাকাত সরকারকে পরাস্ত করে ৫২, ৭১, ৭৫ এর ৭ নভেম্বর কিংবা ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের মতো আরেকটি ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করার এখনই সময়। তারুণ্যের সাহসী প্রতিরোধের সামনে কখনোই কোনো দেশে কোনো ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার টিকে থাকতে পারেনি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, প্রবীনের বুদ্ধিদীপ্ত নির্দেশনা আর রাজপথে নবীনের দীপ্ত পদচারণার সামনে স্বৈরাচার হাসিনাও টিকে থাকতে পারবেনা। জনগণের অধিকার আদায়ের মিছিল ঠেকাতে পুলিশের ইউনিফর্ম পরিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া একটি আওয়ামী দুষ্ট চক্র বারবার জনগণের দিকে বন্দুক নিয়ে তেড়ে আসছে। তবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে থাকা এই আওয়ামী দুষ্ট চক্রের সংখ্যা খুব বেশি নয়। জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর ইউনিফর্ম পরা আওয়ামী দুষ্টচক্র এবার পিছু হটতে বাধ্য হবে। কারণ, মানবতাবিরোধী এই আওয়ামী দুষ্ট চক্রটি ইতোমধ্যেই দেশে বিদেশে চিহ্নিত। দেশের জনগণ যেমন আওয়ামী দুষ্ট চক্রকে চিহ্নিত করেছে, বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তালিকায়ও রয়েছে এই দুষ্ট চক্রের নাম। তবে গণতন্ত্রকামী জনগণ বিশ্বাস করে, দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অধিকাংশ কর্মকর্তা—সদস্য জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারের সঙ্গে একমত। কারণ স্বৈরাচার হাসিনার শাসনামলে জনপ্রশাসন কিংবা পুলিশ বাহিনীর সদস্য এমনকি তাদের পরিবারের সদস্যরাও ভোট দিতে পারেনি। জনগণের লুন্ঠিত ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি রাজধানীসহ সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অসংখ্য মিছিল সমাবেশ করেছে। ভোটের অধিকার আদায়ের দাবিতে মিছিল সমাবেশ কোনো অপরাধ নয়। বরং ভোটাধিকারের দাবি আদায়ের মিছিলে বাধা দেয়া অপরাধ। সুতরাং, আমি জনপ্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরকে সতর্ক করে দিয়ে বলতে চাই, 'ভোটাধিকার আদায়ের মিছিল সমাবেশে বাধা দিয়ে নিজেদেরকে অপরাধে জড়াবেন না। গণতন্ত্রকামী জনগণ সন্ত্রাস সহিংসতায় বিশ্বাস করেনা, তবে আক্রান্ত হলে গণতন্ত্রকামী জনগণের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।
দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দেশনায়ক তারেক রহমান বলেন, গণতন্ত্রকামী জনগণের দাবি স্পষ্ট। বর্তমান নিশিরাতের সরকার, সংসদ, মেরুদন্ডহীন নির্বাচন কমিশন এবং দলীয় প্রশাসন, বহাল রেখে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। সুতরাং চিহ্নিত ভোট ডাকাত শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে রেখে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হতে হবে। সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে এই মুহূর্তে দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণের 'দফা এক, দাবি এক শেখ হাসিনার পদত্যাগ'।দাবি আদায়ে, আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানী ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি। এই সমাবেশ সারা দেশের ভোটারদের মহাসমাবেশ। এই সমাবেশের প্রতি দেশের গণতন্ত্রকামী প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সক্রিয় সহযোগিতা ও সমর্থন রয়েছে। এই সমাবেশের প্রতি বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক শক্তিরও নৈতিক সমর্থন রয়েছে। এই সমাবেশ বারো কোটি ভোটারের লুন্ঠিত ভোটের অধিকার ছিনিয়ে আনার সমাবেশ। দুর্নীতিবাজ—লুটেরা—টাকা পাচারকারী—গুম—খুন—অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সমাবেশ। দেশের প্রতিটি সাংবিধানিক এবং বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান ও প্রসাশন দলীয়করণ মুক্ত করার সমাবেশ। দেশের কোটি কোটি কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের জন্য প্রতিদিন তিনবেলা খাবার নিশ্চিত করার সমাবেশ। সাংবাদিক কলামিষ্ট বুদ্ধিজীবীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার সমাবেশ। এই সমাবেশ দল—মত—ধর্ম— নির্বিশেষে প্রতি মানুষের জন্য দেশকে নিরাপদ করার সমাবেশ। ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী, উদ্যোক্তা—বিনিয়োগকারীকারীদের জন্য সন্ত্রাস এবং চাঁদাবাজি মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার সমাবেশ। দেশের প্রতি নারী এবং শিশুর জীবন যাত্রা নিশ্চিত নিরাপদ রাখার সমাবেশ।দেশের সকল ছাত্র—ছাত্রী—তরুণ—তরুণী—তথা আগামী প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার সমাবেশ। দেশের সকল শ্রেণী পেশার প্রতিটি নাগরিকের মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সমাবেশ। সর্বোপরি, এই সমাবেশ দেশে মুক্তিযুদ্ধের মুলমন্ত্র সাম্য—মানবিক মর্যাদা—সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ।সুতরাং, একটি গণতান্ত্রিক মানবিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এই সমাবেশে সফল করার বিকল্প নেই। সুতরাং, বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি, গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি, কৃষক—শ্রমিক, তরুণ—যুবক, ছাত্র শিক্ষক তথা সকল শ্রেণী পেশার সকল মানুষের প্রতি আমার আহবান, আপনারা ২৮ অক্টোবরের মহা সমাবেশে ঐক্যবদ্ধভাবে দলে দলে যোগ দিন। শপথ নিন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত চলমান এ আন্দোলন থামবে না। আগামী ২৮ অক্টোবরের মহা—সমাবেশের কর্মসূচি, দাবি আদায়ে চূড়ান্ত আন্দোলনের মহাযাত্রায় ভোট ডাকাত হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক কর্মসূচির শেষের শুরু। এবার আমি সারাদেশে আমার দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, শত জেল জুলুম নির্যাতন নিপীড়ন উপেক্ষা করেও দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক দায় থেকেই বিএনপি চলমান আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে। কারণ, বাংলাদেশে যতবার গণতন্ত্র হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে, প্রতিবারই গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত কিংবা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় বিএনপিই নেতৃত্ব দিয়েছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া স্বাধীন বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন। মাদার অফ ডেমোক্রেসি বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছিলো, গণতন্ত্র বিকশিত হয়েছিল। একইভাবে গণতন্ত্রকামী সকল রাজনৈতিক দল এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আবারো দেশে গুম হয়ে যাওয়া 'গণতন্ত্র—মানবাধিকার—ভোটের অধিকার' আদায়ের চলমান জনগণের আন্দোলনে বিএনপি রাজপথে রয়েছে।

সারাদেশে আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশ বাহিনী কতৃর্ক হামলা, মামলা ও  গ্রেফতারের বিবরণ ঃ
ক্স ডাকসুর সাবেক জিএস ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব জনাব খায়রুল কবির খোকনকে গতরাত ২ টার সময় সিপাহীবাগের নবীনবাগ ক্যান্ট রেষ্টুরেন্টের বিল্ডিংয়ে খায়রুল কবির খোকনের ভাই এর বাসা থেকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। কুষ্টিয়া জেলা কৃষকদলের সদস্য মেহেদী হাসান সাকবরকে গভীর রাতে পুলিশ গ্রেফতার করার পর পুলিশী নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়। আমি এই নিষ্ঠুর ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছি এবং নিহতের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। কুষ্টিয়া জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব এ্যাড. মোঃ নুরুল ইসলাম, সদস্য জামাল মন্ডল ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সদস্য তাজুল ইসলামকেও গভীর রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। 
ক্স ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য আবুল হোসেন আব্দুল ও তার ছেলে ১৩ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহমান রনি, কাফরুল থানা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ—সভাপতি আলী আরশাদ মামুন, মিরপুর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জুয়েল মোল্লা, ১১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জসিম, কাফরুল থানাধীন ১৬ নং ওয়ার্ড শ্রমিকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ রুখুন উদ্দিন, ২৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ক্স ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও কামরাঙ্গীচর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী মনির হোসেন, ৫৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম, ধানমন্ডি থানা বিএনপি নেতা মোঃ সুমন, চকবাজার থানাধীন ২৮ ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সচিব হাজী মোঃ মনিউর রহমান মনির, নিউমার্কেট থানাধীন ১৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মোঃ হাশেম, ১৮ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন, রমনা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লাভলু মোল্লা, ঢাকা কলেজ ইউনিট সভাপতি মোঃ মহিউদ্দিন, ওয়ারী থানাধীন ৩৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, ৪১ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা প্রদীপ, চকবাজার থানাধীন ২৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান রবিন, বংশাল থানার ৩৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ হারুন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আলম, বিএনপি নেতা মোঃ জসিম, মুগদা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য মোঃ রাকিবুল হক সরকার, থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মারুফ সিকদার, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আল—খালিদ রুবেল, ৯ নং ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা রিফাত আহমেদ, কোতোয়ালী থানা শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ হানিফ, শাহবাগ থানা শ্রমিকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম মোল্লা, শাহজাহানপুর থানা শ্রমিকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ ইমাম আলী, ১১ নং ওয়ার্ড শ্রমিকদলের সদস্য মোঃ মামুন, যাত্রাবাড়ী থানাধীন ৬৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রচার সম্পাদক মোঃ ফিরোজ, ডেমরা থানাধীন ৭০ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মাফিজুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়াও ওয়ারী থানা যুবদলের নেতা শরীফ হোসেনকে না পেয়ে তার বড় ভাই মোঃ জাকির হোসেন গ্রেফতার করে পুলিশ
ক্স কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিখিল চন্দ্র শ্রাবণকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ক্স নারায়ণগঞ্জ জেলাধীন আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহাবুব রহমানকে গভীর রাতে বাসা থেকে ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে যায়।
ক্স চট্টগ্রাম মহানগরের বাকলিয়া থানা ছাত্রদল নেতা কাইয়ুম আহমেদ জয়, ৯ নং উত্তর পাহারতলী যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন ও ডবলমুরিং থানা বিএনপি নেতা মোঃ সুমনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।     
ক্স পাবনা জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মামুন হোসেন রাসেল, বেড়া পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম প্রামানিক, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফারুক আহমেদ জনি, ছাত্রদল নেতা সাকিব হাসান ও সিনিয়র যগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 
ক্স নওগাঁ জেলা যুবদলের সাবেক সহ—সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মামুনুর রশিদ মামুন, নওগাঁ পৌর যুবদলের সদস্য আশিকুর আজাদ আশিক ও মান্দা উপজেলা যুবদলের সদস্য শান্ত মোল্লাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 
ক্স রাজশাহী জেলা যুবদলের সদস্য জুয়েল, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বুলেট, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম, জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন রনি, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সবির বুলেট, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মোঃ সাইফুল মেম্বার, চরঘাট উপজেলা যুবদল নেতা রতন, কাকনহাট পৌরসভা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ শাহ আলমকে গভীর রাতে বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ক্স নেত্রকোনা জেলার সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক তপন খানকে গতরাতে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ক্স টাঙ্গাইল জেলাধীন ধনবাড়ী পৌর বিএনপির সভাপতি এস এম সোবহান, ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুল ইসলাম হীরা, যদুনাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য জাবিরুল ইসলাম, গোলাবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ আসাদুজ্জামান খালেক, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মোঃ মোতালেবকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 
ক্স গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ, বোনার পাড়া ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব হাসান কবির, উদাখালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রায়হান কবির রাহুল, বিএনপি কমীর্ সালাউদ্দীন, রসুলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ গোলাম রাব্বানী, যুগ্ম আহ্বায়ক আপেল মাহমুদ, উপজেলা যুবদলের সদস্য শফিকুল ইসলাম শাপলা, ২ নং ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আলমগীর হোসেন, রসুলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য শফিকুল ইসলাম, সাঘাটা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হেনা মোস্তফা কামাল, ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য হাসান কবির, মোঃ লেবু মিয়া, শ্রমিকদল নেতা নজরুল ইসলাম, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম রুবেল, ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য মোঃ মশিউর রহমান, জেলা যুবদলের সহ—পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ছামিউল ইসলাম, সোনারগাঁাও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোঃ ইমতিয়াজ আহমেদ ও উদাখালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোঃ রায়হান মাহামুদকে গতরাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়াও সাঘাটা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ শহিদুল ইসলামকে বাসায় না পেয়ে তল্লাশীর নামে বাসার আসবাবপত্র ভাংচুর করে আওয়ামী পুলিশ।
ক্স ঠাকুরগাঁও জেলাধীন হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য আব্দুস সামাদ মিলার, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, রানীশংকৈল উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আতিক, সাংগঠনিক সম্পাদক বকুল মজুমদার, বালিয়াডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আবু সাঈদ, সদস্য মিঠু, ওলামা দল নেতা জাহেরুল, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলাধীন সুখানপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা হেলাল উদ্দিন, ছাত্রদল নেতা আল—আমিন, কৃষকদল নেতা ইদু উল্লাহ, টিংকু, রুহিয়া থানাধীন ১ নং ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী, ৫ নং সৈয়দপুর ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান আলী ও ছাত্রদল নেতা আল—আমিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 
ক্স রংপুর মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাফিউল ইসলাম সবুজকে গতরাত ২ টার সময় গ্রেফতার করে পুলিশ। 
ক্স ঝিনাইদহ জেলাধীন সদর উপজেলার ১৭ নং ওয়ার্ড নলডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আব্দুল আজিজ, নলডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মজলেম, মধুহাটি ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য হাসানুর রহমান, ১ নং মধুহাটি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ আরজ আলী, হরিশংকরপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মজিদ মন্ডল, ৬ নং ওয়ার্ড কৃষকদলের সভাপতি মোঃ বাচ্চু মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ক্স কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা সদর দক্ষিণ উপজেলা তাঁতী দলের সদস্য সচিব শফিকুর রহমান, শ্রমিকদল নেতা মাসুদ রানা, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা মোবারক হোসেন ও সোহাগকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আমি গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।   
এপর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যনুযায়ী মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে গতরাতে গ্রেফতার প্রায়
১৫০ জনের অধিক নেতাকমীর্ এবং মিথ্যা মামলা হয়েছে ১০ টি।
 গত ২৮ ও ২৯ জুলাই ২০২৩ তারিখ হতে অদ্যাবধি বিএনপি’র কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সারাদেশের প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী ঃ—
মোট আহত  ঃ ২০১০ জনের অধীক                                                           
মোট মামলা   ঃ ৪১০ টি 
মোট গ্রেফতার                  ঃ ৩৭৭০ জন 
মোট আসামী                   ঃ ২৭,৮৩০ জন
ধন্যবাদ সবাইকে। আল্লাহ হাফেজ।
তারিখ ঃ ২৬ অক্টোবর ২০২৩