আজিজ-বেনজিরের কাহিনি ঢাকতে প্রধানমন্ত্রী অশালীন কথা বলছেন: রিজভী

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) উদ্যোগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আজিজ-বেনজিরের কাহিনি ঢাকতে প্রধানমন্ত্রী অশালীন কথা বলছেন: রিজভী

প্রথম নিউজ, অনলাইন: সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ এবং সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের কাহিনী ঢাকার জন্য অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষায় কথা বলছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। 

তিনি বলেন, 'শেখ হাসিনা বেনজীরের কাহিনী, আজিজের কাহিনী, ক্যাসিনোর কাহিনী লুকাতে পারছে না। আমরা দেখতে পাচ্ছি নানা ধরনের বাস্তব সত্য কেচ্ছা-কাহিনী। যেগুলো মানুষ জানলেও ভয়ে কিছু বলতে পারতো না, সংবাদপত্র-মিডিয়ার মালিকরা সরকারের কাছে বিভিন্নভাবে আত্মসমর্পণ করে থাকতে হয়। এখন সত্য কথা বলার মতো প্লাটফর্ম নেই। কারণ দেশে বাকশাল চলছে, দেশে একদলীয় শাসন চলছে, একনায়কোচিত শাসন চলছে। কেউ সত্য বলার সাহস পায় না, তারপরেও একের পর এক সত্য বের হয়ে আসছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) উদ্যোগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, 'শেখ হাসিনা একটা জিনিসে খুব পারদর্শী। দেশ যখন চরম সংকটে পড়ে, তখন জনগনের দৃষ্টিকে অন্যদিকে ফেরানোর জন্য নানা কাজ করে থাকেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বগুড়ায় একটি মুর‌্যাল উদ্বোধন করেছিলেন, শেখ হাসিনার পান্ডারা সেটি ভেঙে ফেলেছে। শেখ হাসিনা চান এগুলো নিয়েই সবাই ব্যস্ত থাকুক। তিনি যে গোটা দেশটাকে লুটপাটের স্বর্গরাজ্য বানিয়েছেন এটা নিয়ে যাতে কেউ কথা বলতে না পারে। বিএনপি'র এই মুখপাত্র বলেন, 'আওয়ামী লীগ হল সিসকে মাস্তান, জাতীয় রাজনৈতিক দল। বখাটেরা আওয়ামী লীগ করে আর ক্যাসিনোর মালিকরা আওয়ামী লীগ করে।
পানির শুল্ক দশ শতাংশ বৃদ্ধির তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, 'পানির অপর নাম জীবন। সেই পানিও আপনি খেতে পারবেন না। পানির শুল্ক ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ওয়াসা তো দুর্নীতির হিমালয়, এই ওয়াসার এমডিকে কেউ সেখান থেকে সরাতে পারে না। উনি নাকি বিদেশ থেকেও অফিস পরিচালনা করেন, এই হচ্ছে দেশের অবস্থা। 
 তিনি বলেন, 'আমরা এক দুর্বিষহ জীবন যাপন করছি। গোটা দেশের জনগণ এক রুদ্ধশ্বাস দিন যাপন করছে।
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ এবং সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দায়িত্ব পালনের সময় কর্মকান্ডের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, '২০১৫ সালে আন্দোলনের সময় এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে জনগণকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন এই দুইজন। এ সময় বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু সহ ড্যাবের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।