অমর্ত্য সেনের বাড়ি ভাঙতে এলে বুলডোজারের সামনে আমি দাঁড়াবো: মমতা

কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় নোটিশ পাঠিয়েছে অমর্ত্য সেনকে। তাঁর বাড়ি প্রতীচী বেআইনি জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত।

অমর্ত্য সেনের বাড়ি ভাঙতে এলে বুলডোজারের সামনে আমি দাঁড়াবো: মমতা

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি যেন গেণ্ডুয়া খেলা শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় নোটিশ পাঠিয়েছে অমর্ত্য সেনকে। তাঁর বাড়ি প্রতীচী বেআইনি জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত। বিশ্বভারতীর তেরো ডেসিমেল জায়গা অনধিকারভাবে ভোগ করছেন অমর্ত্য। এই জমি ফিরিয়ে না দিলে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হবে প্রতীচী। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রতীচী ভাঙতে বুলডোজার এলে তিনি নিজে সেই বুলডোজারের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়াবেন। পশ্চিমবঙ্গের ১২ জন বুদ্ধিজীবীও চিঠি দিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে যে তাঁরা যেন এই কাজ করা থেকে নিবৃত্ত থাকেন। যে ১২ জন এই চিঠি দিয়েছেন তাঁরা হলেন- পবিত্র সরকার, শমিক বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভঙ্কর চক্রবর্তী, মন্দাক্রান্তা সেন, অনিন্দিতা সর্বাধিকারী, বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, কাজী কামাল নাসের, সব্যসাচী চক্রবর্তী, দেবজ্যোতি মিশ্র, পরান বন্দোপাধ্যায়, দেবদূত ঘোষ এবং বাদশা মৈত্র।

অমর্ত্য সেন বিজেপির আর্থিক নীতির কঠোর সমালোচক। কিছুদিন আগে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী তাঁর নোবেল প্রাপ্তি নিয়েও কটাক্ষ করেছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেস বরাবরই অমর্ত্য সেনের সমর্থক। তাঁর বিজেপি বিরোধিতা আর একটু কাছে এনে দিয়েছে দু পক্ষকে। অমর্ত্য সেনের বক্তব্য- আচার্য্য ক্ষিতি মোহন সেন এবং অমিতা সেন এর আমল থেকে এই বাড়ি তিনি ভোগ করছেন। কখনো কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। এখন এত প্রশ্ন কেন?