সার্বিয়ার স্কুলে গুলি, নিহত ৯, গ্রেপ্তার ১৪ বছরের বালক

সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডের একটি স্কুলে গুলিতে আট শিক্ষার্থীসহ কমপক্ষে ৯ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে একজন নিরাপত্তা প্রহরী আছেন

সার্বিয়ার স্কুলে গুলি, নিহত ৯, গ্রেপ্তার ১৪ বছরের বালক

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডের একটি স্কুলে গুলিতে আট শিক্ষার্থীসহ কমপক্ষে ৯ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে একজন নিরাপত্তা প্রহরী আছেন। আহত অন্য ৬ শিক্ষার্থী এবং একজন শিক্ষককে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে। বুধবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ১৪ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীকে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, বেলগ্রেডের মধ্যাঞ্চলে ভ্লাদিস্লাভ রিবনিকার স্কুলে এ ঘটনা ঘটেছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, সন্দেহভাজন ওই শিক্ষার্থী তার পিতার অস্ত্র ব্যবহার করেছে। কি কারণে সে এই হামলা চালিয়েছে তা জানার জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে। হেলমেট এবং বুলেটপ্রুফ ভেস্ট পরিহিত কর্মকর্তারা ওই স্কুলটি ঘিরে রেখেছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিকভাবে পর্যাপ্ত পুলিশি টহল নিশ্চিত করা হয়েছে। হামলাকারী সপ্তম গ্রেডের একজন ছাত্র। স্কুলের শিক্ষার্থী এবং নিরাপত্তা রক্ষীদের দিকে সরাসরি সে তার পিতার অস্ত্র দিয়ে কয়েক দফা গুলি করেছে। স্থানীয় মিডিয়ায় ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজনকে পুলিশের সরিয়ে নেয়ার ছবি প্রকাশিত হয়েছে। সার্বিয়ার রাষ্ট্র পরিচালিত টেলিভিশন আরটিএস’কে একজন শিক্ষার্থী বলেছে, অন্য ছাত্রছাত্রীদেরকে স্কুল থেকে দৌড়ে পালাতে দেখেছি। তারা আর্তনাদ করছিল। এ অবস্থায় অভিভাবকরা ছুটে যান। তারাও ভীত শঙ্কিত হয়ে পড়েন। তারপর তিন রাউন্ড গুলির শব্দ পাই। 
ওই স্কুলের একজন অভিভাবক মিলান মিলোসেভিচ বলেছেন, যে রুমে গোলাগুলি হয়েছে, সেই কক্ষে ছিল তার মেয়ে। সে কোনোমতে পালিয়ে বের হতে পেরেছে। এন১ টেলিভিশনকে তিনি বলেছেন, ওই হামলাকারী প্রথমে শিক্ষককে গুলি করে। তারপর এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এক পর্যায়ে দেখা যায় টেবিলের নিচে পড়ে আছেন নিরাপত্তা প্রহরী। দুটি মেয়ের পোশাকে রক্ত দেখলাম। তারা বলল- হামলাকারী ঠাণ্ডা মাথায় ছিল। এ ছাড়া সে ছিল একজন ভাল ছাত্র। সম্প্রতি সে এই ক্লাসে যোগ দিয়েছে। 
স্কুলটি ভ্রাকার এলাকায় অবস্থিত। সেখানকার মেয়র মিলান নেদেলকোভিচ বলেছেন, গুলিবিদ্ধ শিক্ষককে বাঁচানোর চেষ্টা করছিলেন চিকিৎসকরা। দেশটিতে এমন ‘ম্যাস শুটিং’ বা ব্যাপক আকারে গুলি চালিয়ে হামলা তুলনামুলকভাবে বিরল। কারণ, সেখানে  আছে অস্ত্র বিষয়ক কঠোর আইন। তবে অস্ত্রের মালিকের দিক দিয়ে ইউরোপের মধ্যে এই দেশটি সর্বোচ্চ। ১৯৯০-এর দশকের যুদ্ধ এবং অস্থিরতার পর পশ্চিম বলকান এ দেশটি লাখ লাখ অবৈধ অস্ত্রে সয়লাব হয়ে গেছে। ২০১৯ সালের এক হিসাবে দেখা গেছে সার্বিয়ার প্রতি ১০০ জন মানুষের কাছে গড়ে ৩৯.১ টি আগ্নেয়াস্ত্র আছে।