সরকার লুটেরাদের আটক না করে বিএনপি নেতাকর্মীদের আটক করছে: মির্জা আব্বাস

মঙ্গলবার বিকেলে কেরানীগঞ্জের জিঞ্জারায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে সরকার পতনের একদফা দাবিতে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সরকার লুটেরাদের আটক না করে বিএনপি নেতাকর্মীদের আটক করছে: মির্জা আব্বাস

প্রথম নিউজ, ঢাকা:বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আজকে চোর-ডাকাত দূর্নীতিবাজদের আটক করা হচ্ছে না, বিচার হচ্ছে না, বিচার হচ্ছে বিএনপি নেতাকর্মীদের। তাদের অপরাধ তারা গণতন্ত্রের কথা বলে, সত্যি কথা বলে, দেশের কথা বলে। লুটপাট করলে অপরাধ নেই, দেশের কথা বলা আজ অপরাধ। 

মঙ্গলবার বিকেলে কেরানীগঞ্জের জিঞ্জারায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে সরকার পতনের একদফা দাবিতে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুন রায়ের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম। 

মির্জা আব্বাস বলেন, আপনারা (সরকার) বলছেন, ক্ষমতা ছাড়লে আপনারা এক রাতে শেষ হয়ে যাবেন। আমি বলছি আপনাদের কিছুই হবে না। দয়া করে ক্ষমতা ছাড়ুন, মানুষকে রক্ষা দেন। আপনি পুলিশ ডিসি দিয়ে দিনের ভোট রাতে করাবেন, পুলিশ দিয়ে আটক করে বিচারক দিয়ে রায় দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাজা দিবেন তাতো হবে না। এভাবে কোনো স্বৈরশাসক টিকতে পারেননি, আপনারাও পারবেন না। 

তিনি বলেন, আজকে সরকার বলছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলতে কিছু নেই। তাদের কথা হচ্ছে "তোরা যে যা বলিস ভাই, আমার সোনার হরিণ চাই"। আপনারা ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করেছেন, এখন কেনো ভয় পাচ্ছেন? কারণ, আপনাদের লুটপাট ও দূর্নীতি আজ দেশ-বিদেশের কাছে প্রমাণ হয়ে গেছে। 

আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে রাজত্ব কায়েম করেছে। এ রাজত্ব কায়েম করতে দেওয়া যাবে না। এরজন্য দেশে গণতন্ত্র কায়েম করতে করতে হবে। গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। 

তিনি বলেন, আজকে ডিসি বিচারকরা বলছেন বিএনপিকে ক্ষমতা দেওয়া যাবে না। এটি বলার আপনারা কে? চাকরি ছেড়ে দিয়ে দলীয় ভাষায় কথা বলুন। 

এসময় বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু, ব্যারিস্টার ইরফান আমান অমিত, তমিজ উদ্দিন প্রমুখ।