‘সব কিছুর দাম এমন থাকলে কিস্তি উঠিয়ে পলাতে হবে’
সোমবার (৩০ অক্টোবর) সকালে রাজবাড়ী পৌরশহরের বড় বাজার ঘুরে এমনটা জান যায়। শিক্ষার্থী রিমন হোসেন বলেন, রাষ্ট্র ব্যবস্থার পরিবর্তন না হলে মনে হয় না যে দাম কমবে। আর সামনে যেহেতু নির্বাচন, সেহেতু এভাবেই চলতে হবে।
প্রথম নিউজ, রাজবাড়ী: হঠাৎ করেই রাজবাড়ীতে বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। একদিনের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে প্রায় ২০-৩০ টাকা। খুচরা পর্যায়ে ১২০-১৪০টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে দেশি পেঁয়াজ। যা গতকাল ছিল ১০০-১১০ টাকা কেজি। পাশাপাশি আলুর কেজিতে ২/৩ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। এছাড়া কাঁচা মরিচ, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পোটলসহ অন্য সবজির দাম আগের তুলনায় একটু কম।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) সকালে রাজবাড়ী পৌরশহরের বড় বাজার ঘুরে এমনটা জান যায়। শিক্ষার্থী রিমন হোসেন বলেন, রাষ্ট্র ব্যবস্থার পরিবর্তন না হলে মনে হয় না যে দাম কমবে। আর সামনে যেহেতু নির্বাচন, সেহেতু এভাবেই চলতে হবে।
হোটেল ব্যবসায়ী হিরন ও আবু সাঈদ খা বলেন, বাজারে সব কিছুর যে দাম, তাতে কাস্টমারের কাছে জিনিস বিক্রি করতে কষ্ট হয়। এভাবে চলতে থাকলে ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ করে না খেয়ে থাকতে হবে। প্রতিদিনই পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। পচা পেঁয়াজের দামও চাইছে ১২০ টাকা। ক্রেতা গৌড় চাঁদ বলেন, সব কিছুর দাম এমন থাকলে কিস্তি উঠিয়ে পলাতে হবে। না হয় গলায় ফাঁস নিয়ে মরতে হবে। বাজার নিয়ন্ত্রণে কারও মনোযোগ নাই। সরকার যদি কঠোরভাবে তদারকি করে তাহলে বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে।
সবজি ব্যবসায়ী রাজু মোল্লা বলেন, সবজির দাম কিছুটা কমলেও পেঁয়াজ-আলুর দাম বেশি। আজ পেঁয়াজ বিক্রি করছি ১৩০ টাকা কেজি। গতকাল যা বিক্রি করেছি ১০০-১১০ টাকায়। আজ আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজি। বেগুন ৫০-৬০, কাঁচা মরিচ ১৪০, উস্তে ৫০, পোটল ৪০, মুলা ৪০, ফুলকপি ৫০, লাউ পিস ৪০, শসা ৩০, টমেটো ১২০, গাজর ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ী হালিম কাজি ও মোতালেব হোসেন বলেন, আমদানি কম থাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বাড়ায় দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজের দাম না কমলে এবং নতুন পেঁয়াজ না উঠলে দাম কমবে না।