স্বাস্থ্যসেবায় আরও স্বচ্ছতা আসবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, বলেন, হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার হয়েছে প্রায় ১১ হাজারের উপরে। সেগুলোর মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ইতোমধ্যে একটি কর্মসূচি চলছে, অভিযান চলছে। আমরা কাউকে হেনস্তা করতে চাচ্ছি না। আমরা চাই দেশের মানুষ যাতে সঠিক চিকিৎসা পায়, ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থার যেনো দুর্নাম না হয়। যারা ভালো কাজ করছে তাদেরকে আমরা সহযোগিতা করবো। যারা অন্যায় করবে তাদের সঙ্গে আমরা নাই। তাদের বিরুদ্ধে আইনত যা ব্যবস্থা আছে— সেটা আমরা গ্রহণ করব। আমরা আশা করছি, আগামীতে স্বাস্থ্য সেবায় আরও স্বচ্ছতা আসবে, মান আরও ভালো হবে।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস-২০২২ এর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার হয়েছে প্রায় ১১ হাজারের উপরে। সেগুলোর মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আমাদের অধিদফতর এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত। যারা মানহীন তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া, সতর্ক করে দেওয়া অথবা তাদেরকে সময় দিয়ে যেসব জায়গা সংশোধন করার প্রয়োজন তা নির্দেশনা দিয়ে ঠিক করা। মানুষ যেনো প্রতারিত না হয়, ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। যেখানে অপারেশন হয় সেখানে সঠিক চিকিৎসক, এনেস্থেটিস্ট থাকতে হবে, যন্ত্রপাতি থাকতে হবে। এগুলো যদি না থাকে, সেখানে অপারেশন করতে দেওয়া যাবে না। সেদিকে আমরা কঠোর নজর দিচ্ছি।
তিনি বলেন, আমাদের টিকা কর্মসূচি চলমান আছে। সামনে বুস্টার ডোজের ক্যাম্পেইন আছে। আমি দেশবাসীকে আহ্বান করবো বুস্টার ডোজ নিয়ে নেওয়ার জন্য। কিছু অনীহা দেখা যাচ্ছে। আমাদের এখনো ৮-১০ কোটি বুস্টার ডোজ দিতে হবে। দুই ডোজ যারা নিয়েছেন চার মাস পর বুস্টার ডোজ নিয়ে নিবেন। আপনারা সুরক্ষিত থাকলে আপনার পরিবার সুরক্ষিত থাকবে। করোনার যে পরিস্থিতি আছে, সেটি ধরে রাখতে হবে। বুস্টার ডোজ নিলে আরও সুরক্ষিত হবে।
সফলতার সঙ্গে করোনা মহামারি মোকাবিলা করেছি জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালেক বলেন, 'গত আড়াই বছর যাবত স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রত্যেকটি ব্যক্তি ছিল সম্মুখ যোদ্ধা। তাদের অধীনেই বাংলাদেশে করোনা যুদ্ধ হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে বাংলাদেশ। করোনার ভ্যাকসিনেশনের কারণে সারাবিশ্ব বাংলাদেশকে শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখে। বাংলাদেশকে সম্মান করে। দেশে ৭৫ শতাংশ লোকের ভ্যাকসিনেশন হয়ে গেছে বলে যোগ করেন তিনি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ' সামনে অনেক কাজ আছে। ক্যান্সার, হার্ট, ডায়বেটিস— এগুলোর বিষয়ে করোনার সময়ে খুব বেশি মনোযোগ দিতে পারি নাই। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মিরজাদী সেবরিনা ফ্লোরা, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি ডা. ইকবাল আর্সলান, বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews