সাংবাদিকদের ওপর হামলা: ডিইউজের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ-মিছিল-সমাবেশ

আজ রোববার (৫ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিক সংগঠনটি এ কর্মসূচি পালন করে।

সাংবাদিকদের ওপর হামলা: ডিইউজের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ-মিছিল-সমাবেশ

প্রথম নিউজ, ঢাকা: পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে করেছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন।  আজ রোববার (৫ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে  সাংবাদিক সংগঠনটি এ কর্মসূচি পালন করে।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আগেই বলেছিলেন হেফাজতের মতো অবস্থা হবে। ২৮ তারিখ সেটিই ঘটেছে। হেফাজতের জনসভা যেভাবে সাউন্ড গ্রেনেড দিয়ে, গুলি করে বানচাল করা হয়েছে, বিএনপির জনসভাকেও সেভাবে বানচাল করা হয়েছে। এটি অত্যন্ত পরিষ্কার যে এই সমাবেশকে বানচাল করার জন্য কিছু সাংবাদিককে আহত করতে হবে, কাউকে কাউকে হত্যা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এই সরকারের আমলে সাগর-রুনি হত্যার বিচার হয়নি। এই সরকারের আমলে সাতজন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে৷ একটিরও কোনো বিচার করা হয়নি। এই সরকারের আমলে অনেক মিডিয়া বন্ধ করা হয়েছে, একটিরও বিচার হয়নি। ২৮ তারিখেও পরিকল্পিতভাবে সমাবেশ পণ্ড করা হয়েছে, সাংবাদিক নির্যাতন করা হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে ডিইউজের সভাপতি শহীদুল ইসলামের বলেন, গত ২৮ অক্টোবর অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করে বিএনপির সমাবেশে পুলিশি হামলা করে যখন সমাবেশ বন্ধ করে দিচ্ছিল, তখন আমাদের গণমাধ্যমকর্মীরা আমরা সেখানে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলাম। আমরা দেখেছি সেখানকার চিত্র। তারা (পুলিশ, যুবলীগ) সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছিল, আহত করেছিল, হত্যা করেছিল।

তিনি আরও বলেন, এই হামলার ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকারের পয়সায় লালিত কিছু সাংবাদিক নামধারী একটি মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আপনারা দেখেছেন, কারা পুলিশের ছত্রছায়ায় থেকে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। আমরা এসব হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।

ডিইউজের সাবেক সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী বলেন, আমরা আজকে এখানে দাঁড়িয়েছি সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যার প্রতিবাদে। কারা এই নির্যাতন ও হত্যা করছে? এই সরকারই সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যা করছে। এই সরকার দেশকে একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এই সরকার দেশকে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে গেছে। এই অবস্থায় দেশ চলতে দেওয়া যায় না। এই সরকারের হাতে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিরাপদ নয়। তাই দেশকে ও মানুষকে বাঁচাতে হলে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। সাংবাদিক সমাজকে আরও সোচ্চার হওয়া উচিত।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব নূরুল আমিন রোকন, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আহমেদ, ডিইউজের একাংশের সাবেক সহ-সভাপতি আমিরুল ইসলাম কাগজী, সিনিয়র সাংবাদিক আবুল কালাম মানিক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরিউ) সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, ডিইউজের কোষাধ্যক্ষ খন্দকার আলমগীর হোসেন, ডিইউজের কার্যনির্বাহী সদস্য রাজু আহমেদ, ডিইউজের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য এইচ এম আল আমিন, ল' রিপোর্টার্স ফোরামের (এলআরএফ) সাবেক সভাপতি বদরুজ্জামান প্রমুখ। সমাবেশ শেষে তারা বিক্ষোভ মিছিল করেন।