প্রতারণার মামলায় ভোরের পাতার সম্পাদক এরতেজা কারাগারে
দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত
প্রথম নিউজ, ঢাকা : জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেফতার দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) একদিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) উপ-পরিদর্শক মো. মেহেদী হাসান।
অন্যদিকে ড. কাজী এরতেজার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহম্মেদ জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বুধবার (২ নভেম্বর) ড. এরতেজাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর পিবিআই উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান চার কারণ দেখিয়ে তার দুদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। অন্যদিকে এরতেজার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলায় মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) দিনগত রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে ড. কাজী এরতেজা হাসানকে গ্রেফতার করে পিবিআইয়ের একটি দল।
জানা যায়, আশিয়ানের সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। রাজধানীর ফার্মগেটে যে ভবনে ভোরের পাতার কার্যালয় সেখানেই আগে নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস ছিল। আশিয়ানের মামলায় নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহকে এর আগে গ্রেফতার করেছিল পিবিআই। রিয়াজুল আলম নামে আরেকজনকেও গ্রেফতার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কাজী এরতেজাকে গ্রেফতার করে পিবিআই।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৩ সালে নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের জন্য দক্ষিণখান এলাকার আশিয়ান সিটির পাঁচ বিঘা জমি কিনতে এজাহারনামীয় আসামি আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ, রিয়াজুল আলম ও সেলিম মুন্সীর উপস্থিতিতে স্ট্যাম্পে চুক্তি সই হয়। চুক্তিতে জমির দাম ৫০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। চুক্তিতে আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ ক্রেতা এবং বাকি দুজন সাক্ষী হিসেবে সই করেন।
চুক্তি মোতাবেক আট মাসের মধ্যে সব টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও ৩০ কোটি টাকা দেওয়া হয়। বাকি ২০ কোটি টাকা পরিশোধ না করে তারা আত্মসাৎ করেন এবং আশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের জাল সই দিয়ে দলিল করেন যে তারা সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করেছেন। জাল দলিলে জমির দাম ৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews