শি জিনপিংয়ের সাথে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

শি জিনপিংয়ের সাথে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন বেইজিং সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন বেইজিং সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। চীনা কর্মকর্তাদের সাথে দুই দিনের উচ্চ-পর্যায়ের আলোচনার পর সোমবার বেইজিংয়ে শি জিনপিং-মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সাক্ষাৎ হয়েছে।

বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনীতির দেশের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের মাঝে গত প্রায় পাঁচ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রথম কর্মকর্তা হিসাবে বেইজিং সফর করছেন ব্লিনকেন।


মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, এই সফর ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে বড় ধরনের অগ্রগতি না আনলেও অধিক স্থিতিশীলতা তৈরি করবে বলে আশা করছেন তারা।

গত কয়েক দশকের মধ্যে চীনের সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা বনে যাওয়া শি জিনপিং সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ব্লিনকেনের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন বলে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।

চীনের অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে ব্লিনকেনের ১০ ঘণ্টারও বেশি সময়ের আলোচনার পর প্রেসিডেন্ট শি জিনিপিংয়ের সাথে তার ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
 
এর আগে, সোমবার সকালের দিকে বেইজিংয়ের রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা ডিয়াউথাইয়ে ব্লিনকেন ও চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ইর মাঝে বৈঠক হয়। উষ্ণ হাসিতে শুরু হওয়া এই বৈঠক নির্ধারিত সময়ের চেয়ে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে।


চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ সময় ক্যামেরার সামনে থেকে দূরে সরে গিয়ে ওয়াং ই ব্লিনকেনকে বলেন, তার সফরে ‘চীন-মার্কিন সম্পর্কের জটিল এক সন্ধিক্ষণে পৌঁছেছে’।

তিনি বলেন, ‘সংলাপ এবং সংঘর্ষ, সহযোগিতা বা সংঘাতের মধ্যে যেকোনও একটি বেছে নেওয়া প্রয়োজন।’

ওয়াং ই বলেন, আমাদের অবশ্যই বিশ্ব, ইতিহাস ও জনগণের প্রতি দায়িত্বশীল মনোভাব গ্রহণ করে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের নিম্নগামী সম্পর্কে বদল ঘটাতে হবে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে সুস্থ ও স্থিতিশীল পথে প্রত্যাবর্তনের জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। চীন-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সঠিক পথ খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে 

বেইজিংয়ের দাবি করা নিজ ভূখণ্ড স্ব-শাসিত গণতান্ত্রিক তাইওয়ানের বিরুদ্ধেও সতর্ক বার্তা দিয়েছেন ওয়াং ই। গত বছর শীর্ষ মার্কিন এক আইনপ্রণেতা ও তাইওয়ানের নেতাদের বৈঠকের পর এই দ্বীপ ভূখণ্ডের কাছে দু’বার সামরিক মহড়া পরিচালনা করে চীন।

ব্লিনকেনকে ওয়াং ই বলেন, ‘এই ইস্যুতে চীনের কোনও আপস বা হার মেনে নেওয়ার সুযোগ নেই।’ এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার ওয়াংয়ের সাথে ব্লিনকেনের আলোচনাকে ‘পক্ষপাতহীন এবং ফলপ্রসূ’ বলে মন্তব্য করেছেন।