রহিমা বেগম অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার ৪ জনের জামিনে মুক্ত

রহিমা বেগম অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার ৪ জনের জামিনে মুক্ত
রহিমাকাণ্ডে গ্রেপ্তার ৪ জন জামিনে মুক্ত

প্রথম নিউজ, খুলনা: খুলনার মহেশ্বরপাশা বণিকপাড়া থেকে রহিমা বেগম অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার ছয়জনের মধ্যে চারজন জামিনে মুক্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কারাগার থেকে তারা মুক্তি পেয়েছেন। এর আগে দুপুরে তারা খুলনা মহানগর দায়রা জজ মাহমুদা খানমের আদালত থেকে জামিন পান। খুলনা জেলা কারাগারের জেলার তরিকুল ইসলাম বলেন, চারজনের জামিন আদেশ কারাগারে আসার পরই সন্ধ্যায় তাদের মুক্তি দেয়া হয়। এরা হলেন- কুয়েট সহকারী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া, তার ভাই মো. মহিউদ্দিন, প্রতিবেশী রফিকুল আলম পলাশ ও মো. জুয়েল। ওদিকে রহিমা বেগম নিখোঁজ হওয়ার পর প্রথম ৯ দিন কোথায় ছিলেন, সে বিষয়ে তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা। গত ২৭শে আগস্ট নিখোঁজের পর ৬ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ দিন তিনি কোথায় ছিলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এজন্য রহিমার স্বামী বেল্লাল ঘটক ওরফে বেলাল হাওলাদারকে রিমান্ডের আবেদন করেছে পিবিআই। পিবিআই খুলনার পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, রহিমা নিখোঁজ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল মান্নানসহ দুইজন বান্দরবান তদন্তে গেছেন। তারা তদন্ত শেষে ৪ঠা অক্টোবর ফিরে এসেছেন। 

সূত্র জানায়, তদন্তকালে তারা জানতে পেরেছেন রহিমা বেগম ৬ই সেপ্টেম্বর থেকে ১১ দিন বান্দরবানে ছিলেন। রহিমা বান্দরবান সদরের ইসলামপুরে আছিয়া বেগমের কাছে পাঁচদিন ও মনি বেগমের কাছে ছয়দিন ছিলেন। এরপরই তিনি ফরিদপুরের সৈয়দপুরে কুদ্দুসের বাড়িতে আসেন।  তিনি বলেন, পিবিআই এখনও রহিমা নিখোঁজের প্রথম ৯ দিনের অবস্থান শনাক্ত করতে পারেনি।  

এজন্য পিবিআই তৎপর রয়েছে। কারাগারে আটক বেল্লাল ঘটক রহিমার সহায়ক হতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। রিমান্ড শুনানি এখনও হয়নি।   উল্লেখ্য, ২৭শে আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে পানি আনতে বাড়ি থেকে নিচে নামেন রাহিমা বেগম (৫২)। ঘণ্টা পার হলেও তিনি বাসায় ফিরে আসেননি। পরে মায়ের খোঁজে সন্তানরা সেখানে গিয়ে মায়ের ব্যবহৃত স্যান্ডেল, গায়ের ওড়না ও কলস রাস্তার ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। রাতে সম্ভাব্য সব স্থানে সন্ধান নেয়ার পর মা’কে পাননি সন্তানরা। এরপর থানায় সাধারণ ডায়েরি ও পরে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় মামলা করা হয়। মামলার তদন্তকালে পুলিশ ও  র‌্যাব ১২ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রধান প্রকৌশল কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. গোলাম কিবরিয়া, নিখোঁজ গৃহবধূর দ্বিতীয় স্বামী বেল্লাল ঘটক ওরফে বেলাল হাওলাদার, দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা বণিকপাড়া এলাকার মহিউদ্দিন, পলাশ, জুয়েল এবং হেলাল শরীফ। 


 Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom