‘মাদক কারবারি’র হামলায় অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্যের মৃত্যু
সোমবার (২৭ জুন) রাতে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক (সিএমএইচ) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
প্রথম নিউজ,বরিশাল: বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় ‘মাদক কারবারি’ প্রতিবেশীর হামলায় আহত অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মো. আবুল বাশারের (৫৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৭ জুন) রাতে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক (সিএমএইচ) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। নিহত আবুল বাশার বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের চন্ডীপুর গ্রামের মৃত সুজারউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। তিনি সেনাবাহিনীর ল্যান্স কর্পোরাল পদ থেকে ২০০১ সালে অবসরে যান। এরপর পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে বাস করছিলেন। গত ২০ এপ্রিল প্রতিবেশীদের হামলায় আবুল বাশার আহত হন।
নিহত আবুল বাশারের ছেলে সাজেদুল ইসলাম শুভ জানান, আমাদের প্রতিবেশী উমর আলী ও তার তিন ছেলে বেল্লাল, সজিব ও সাদ্দামের বিরুদ্ধে এলাকায় মাদক কেনাবেচাসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি এলাকার অনেকেই জানেন। কেউ কিছু বললে তারা ভয়ভীতি দেখাতেন। নানা ধরনের হুমকি দিতেন।
তিনি বলেন, ২০ এপ্রিল উমর আলী ও তার তিন ছেলে বেল্লাল হোসেন, সজিব ও সাদ্দামের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ পেয়ে গ্রামে একদল পুলিশ আসে। এসময় পুলিশের এক কর্মকর্তার সঙ্গে আমার বাবা আবুল বাশারের আলাপচারিতা হয়। পরে বিষয়টি জেনে যান উমর আলীসহ তার তিন ছেলে। এরপর তারা সন্দেহ করেন পুলিশের কাছে আমার বাবা আবুল বাশার তাদের মাদক বেচা-কেনার তথ্য দিয়েছেন। পুলিশ চলে গেলে বিকেলে আমার বাবার ওপর তারা হামলা করেন। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বাবাকে আহত করা হয়। এরপর বাবাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমইএইচ) রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
হামলার পর আমার চাচা আবুল কালাম বাদী হয়ে উমর আলী, তার তিন ছেলেসহ ৫ জনকে আসামি করে এয়ারপোর্ট থানায় মামলা করেছিলেন। মামলার বাদী ও নিহত আবুল বাশারের ভাই আবুল কালাম জানান, উমর আলীসহ তার তিন ছেলে মাদক বেচা-কেনার কারণে এলাকার কিশোর, তরুণ ও যুবকরা ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করেন আমার ভাই আবুল বাশার। এ কারণে তাদের পথের কাটা সরিয়ে দিতে আবুল বাশারের ওপর হামলা চালানো হয়। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার জানান, অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মো. আবুল বাশারকে কুপিয়ে আহত করার পর তার ভাই আবুল কালাম বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছিলেন। মামলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ করা হয়েছিল। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে বেল্লাল হোসেন নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করে। অন্য আসামিরা আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন। সোমবার রাতে জানতে পারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবুল বাশারের মৃত্যু হয়েছে। তাই হামলার ঘটনায় আগের দায়ের করা মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরের জন্য আদালতে আবেদন করার প্রক্রিয়া চলছে।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews