ভারতের কাছে বড় হারে বিদায় নিগারদের
নারী টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ
প্রথম নিউজ, খেলা ডেস্ক: ভারতের বিপক্ষে খেলতে নামার আগেই যেন হেরে বসে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা! খোদ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি বললেন এমন কথা। গতকাল নারী এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ন্যূনতম লড়াই করতে পারেনি নিগারের দল। মাত্র ৮০ রানের পুঁজি নিয়ে পরাজিত হয় ১০ উইকেটে। এশিয়া কাপ খেলতে যাওয়ার আগেই ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে চিন্তা ছিল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে সেটার প্রতিফলন দেখা গেলেও পরের দুই ম্যাচে আশা জাগে ব্যাটারদের পারফর্মেন্সে। কিন্তু সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে আবার সেই একই চিত্র! ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ফাইনালে ওঠা হলো না বাংলাদেশের। অবশ্য অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি বলেন, ভারতের বিপক্ষে খেলা হলেই মানসিকভাবে পিছিয়ে পড়ে তার দল।
গতকাল ডাম্বুলায় চলতি নারী এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ১০ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৮০ রান করে টাইগ্রেসরা। কোনো উইকেট না হারিয়ে ৯ ওভার হাতে রেখেই সেটা টপকে যায় ভারত। ৪ ওভারে ১০ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা ভারতীয় পেসার রেনুকা। ম্যাচ শেষে পাওয়ার প্লেতে রান করতে না পারা আর অতিরিক্ত রান দেওয়ার কথা বললেন জ্যোতি।
তিনি বলেন, ‘আমরা ভালো শুরু পাইনি যেটা চেয়েছিলাম। পাওয়ার প্লেতে বোলিংয়ে অতিরিক্ত রান দেওয়া আর ব্যাটিংয়ে করতে না পারা, এরপর সামনের দিকে এগোনো কঠিন।’
ভারতের বিপক্ষে খেলা হলেই বাংলাদেশ যেন হারের আগেই হেরে যায়। শারীরিক ভাষায় থাকে নার্ভাসনেসের ছাপ। এ প্রসঙ্গে জ্যোতি বলেন, ‘এটা মেন্টাল ব্লক। যখন তারা (খেলোয়াড়রা) ভারতের বিপক্ষে খেলে তাদের খেলা পালটে যায়। ব্যাটিং বিভাগে আমাদের কাজ করতে হবে। শুধু এটার জন্যই আমরা প্রচুর ম্যাচ হারছি।’ আগামী অক্টোবরে বাংলাদেশে বসবে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগামী আসর। তার আগে এশিয়া কাপে খেলাটা দারুণ অভিজ্ঞতা। জ্যোতি বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য দারুণ অভিজ্ঞতা। বিশ্বকাপের আগে এখানে হওয়া ভুলগুলো শোধরানোর চেষ্টা করতে হবে আমাদের।’
৮১ রান ডিফেন্ড করতে নেমে কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি বাংলাদেশ। ভারতের দুই ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি ভার্মা শুরু থেকেই চেপে ধরেন টাইগ্রেস বোলারদের। মান্ধানা ৩৯ বলে ৫৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। ৯টি চার ও ১টি ছক্কা ছিল তাঁর ১৪৫ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে। এই ইনিংস খেলার পথে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে হারমানপ্রীত কৌরের (৩৪১৫ রান) ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড ভেঙেছেন মান্ধানা (৩৪৩৩)। শেফালি সেই তুলনায় স্বভাববিরুদ্ধ ব্যাটিং করেছেন। ২৮ বল করেছেন অপরাজিত ২৬ রানে অপরাজিত ছিলেন এই মারকুটে ব্যাটার।
এর আগে বাংলাদেশের ইনিংস ছিল একদম উল্টো মেরুতে। পাওয়ার প্লেতে ভারতীয় পেসার রেনুকা সিংয়ের গতি সামলাতে পারেনি টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার দিলারা আক্তার, মুর্শিদা খাতুন ও ইশমা তানজিম। ২১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে শুরুতে যে চাপে পড়ে বাংলাদেশ, পরে আর তা থেক বের হতে পারেনি তারা। অধিনায়ক জ্যোতির ৩২ রানের ইনিংস ছাড়া উল্লেখযোগ্য তেমন কিছুই নেই। ৫১ বল খেলেছেন, মেরেছেন ২ বাউন্ডারি। তবে তাতেও ৮০ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ।