বিনিয়োগকারীদের পুঁজি ফিরেছে দুই হাজার কোটি টাকা

সদ্য বিদায়ী সপ্তাহের তিন কর্মদিবস পতন আর দুই কর্মদিবস উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। বিদায়ী সপ্তাহে (২১ মে থেকে ২৫ মে) মোট পাঁচ কর্মদিবস লেনদেন হয়েছে।

বিনিয়োগকারীদের পুঁজি ফিরেছে দুই হাজার কোটি টাকা

প্রথম নিউজ, ঢাকা: সদ্য বিদায়ী সপ্তাহের তিন কর্মদিবস পতন আর দুই কর্মদিবস উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। বিদায়ী সপ্তাহে (২১ মে থেকে ২৫ মে) মোট পাঁচ কর্মদিবস লেনদেন হয়েছে। এ সময়ে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। এতে উভয় বাজারে বেড়েছে সূচক। ফলে গত এক সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন (পুঁজি) ফিরেছে ১ হাজার ৯২২ কোটি ৯ লাখ ৪৩ হাজার ৩৯১ টাকা। সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে এ চিত্র দেখা গেছে। প্রায় একই চিত্র দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)।

রোববার (২১ মে) সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে লেনদেনের শুরুতে ডিএসইর মূলধন ছিল ৭ লাখ ৭০ হাজার ৬৩৭ কোটি ৮৬ লাখ ৫৮ হাজার ২৫৬ টাকা। আর শেষ দিন বৃহস্পতিবার (২৫ মে) লেনদেন শেষে মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৭২ হাজার ৫৫৯ কোটি ৯৬ লাখ ১ হাজার ৬৪৭টাকা। অর্থাৎ টাকার অঙ্কে পুঁজি বেড়েছে ১ হাজার ৯২২ কোটি ৯ লাখ ৪৩ হাজার ৩৯১ টাকা। তবে এর আগের সপ্তাহে বেড়েছিল ৪ হাজার ৫৩১ কোটি ১১ লাখ ৬২ হাজার ৮৮৫ টাকা। এতে গত দুই সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি বাড়ল সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা। বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৮৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১১৮টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৬৯টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২০২টির।

এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছিল ১০৯টির, কমেছিল ৭৪টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২০৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। এতে বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩৫ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩২৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক ২ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৭০ পয়েন্টে ও ডিএস-৩০ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩ দশমিক ২২ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৯৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এ সপ্তাহে ফ্লোর প্রাইসের কারণে শেয়ার লেনদেন হয়নি দুই শতাধিক কোম্পানির। তারপরও বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ৫৮৫ কোটি ৮৬ লাখ ৬১ হাজার ৮৪৮ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৬৭৯ কোটি ৬৮ লাখ ২৪ হাজার ৬৩৮ টাকা। অর্থাৎ ৯০৬ কোটি ১৮ লাখ ৩৭ হাজার ২১০ টাকার শেয়ার লেনদেন বেড়েছে, শতাংশের হিসাবে ২৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ।

গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে লেনদেন হয়েছে, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের শেয়ার, ইস্টার্ন হাউজিং, রূপালী লাইফ ইনস্যুরেন্স, নাভানা ফার্মা,ওরিয়ন ইনফিউশন, জেমিনি সি ফুড, চাটার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং রয়েল টিউলিপ সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পার শেয়ার।  দেশের অপর পুঁজিবাজার সিএসইতে লেনদেনেও প্রায় একই চিত্র ছিল। বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক ১০৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ৬৩৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে লেনদেন হয়েছে ৯৫ কোটি ৬৫ লাখ ৬৯ হাজার ৫২৬ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬৭ কোটি ৭২ লাখ ৫৮ হাজার ৩৮ টাকা। অর্থাৎ আগের সপ্তাহের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে।  লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৯০টির, কমেছে ৬৭টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।