ফরিদপুরে সংঘর্ষ, অস্ত্রসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জনি আটক
ফরিদপুর সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের শিবরামপুর রেল স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় এক পক্ষ পুলিশের ওপর হামলা চালালে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়। এ ঘটনায় সশস্ত্র ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি জহুরুল ইসলাম জনিসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রথম নিউজ, ফরিদপুর: ফরিদপুরে রেল স্টেশনের পাথর শেডের দখল নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি জহুরুল ইসলাম জনিসহ কমপক্ষে ৪ জন আহত হয়েছেন। রোববার (৫ জুন) বিকেল ৩টার দিকে ফরিদপুর সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের শিবরামপুর রেল স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে। এ সময় এক পক্ষ পুলিশের ওপর হামলা চালালে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়। এ ঘটনায় সশস্ত্র ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি জহুরুল ইসলাম জনিসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর সদরের শিবরামপুর রেল স্টেশনে রেলযোগে ভারত থেকে আনা পাথর আনলোড করা হয়। এরপর ওই পাথর সেখান থেকে লরিতে করে বিভিন্নস্থানে নিয়ে বিক্রি করা হয়। এই পাথর লোড-আনলোড নিয়ে সেখানে মোটা অংকের চাঁদাবাজির টাকা লেনদেন হয়। স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০২০ সালের জুনে ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির পট পরিবর্তনের পর শিবরামপুর স্টেশনে পাথর লোড-আনলোডে চাঁদাবাজির হাতবদল হয়। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে স্টেশনের পাথর লোড-আনলোডের চাঁদাবাজি প্রভাবশালীদের পক্ষে বিএনপি সমর্থিত স্থানীয় রাকিবুল ইসলাম সাদ্দাম (৩২) ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত আলাউদ্দিন মোল্লা (৪০) নামে দুই ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার (৫ জুন) দুপুর ১২টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহসভাপতি জহুরুল ইসলাম জনির নেতৃত্বে অর্ধ শতাধিক যুবক শিবরামপুর রেল স্টেশনে পাথর শেডের দখল নিতে যায়। এ সময় সাদ্দাম ও আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে সমসংখ্যক একটি দল তাদের প্রতিহত করে। এ সময় জনিসহ তার পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জনিসহ তার পক্ষের কোতোয়ালি থানা কৃষক লীগের সদস্য সচিব মোরশেদ আলী প্রিন্স (৪৫), রানা সর্দার (৪০) ও আছিরুদ্দিন (৪৫) নামে চারজনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। পরে পুলিশ জহুরুল ইসলাম জনি ও আছিরুদ্দিনকে আটক করে। এ সময় জহুরুল ইসলামের কাছ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। পরে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি শর্টগানও উদ্ধার করে পুলিশ।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল জলিল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জনির পিস্তলের লাইসেন্স থাকলেও ব্যবহারে আইনের ব্যাত্যয় ঘটেছে। এক দলকে হটিয়ে অপর দল পাথর শেডের দখল নিতে গেলে সেখানে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, এ ঘটনায় বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার এবং পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews