পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে নদীতে ঝাঁপ, শেষ রক্ষা হলো না

 পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে নদীতে ঝাঁপ, শেষ রক্ষা হলো না

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : পুলিশের হাত থেকে পালানোর চেষ্টায় ভাগীরথী নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন এক তরুণ। কিন্তু প্রাণে বাঁচতে পারলেন না। গত রোববার (০৬ আগস্ট) রাতে নদী থেকে ওই তরুণের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের সৈদাবাদে। ইতোমধ্যেই পুলিশ অতনু ঘোষ নামে ১৯ বছর বয়সী ওই তরুণের নিথর দেহ উদ্ধার করেছে।

অতনু ঘোষ বহরমপুর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় (০৫ আগস্ট) অতনু বাড়ি থেকে বেড়িয়ে কাছাকাছি একটি স্কুলের মাঠে মোবাইল ফোনে গেম খেলছিলেন। সে সময় অতনুকে আটক করে সৈদাবাদ পুলিশ।

অতনুকে গাড়িতে তোলার সময় আচমকা পুলিশের হাত ছাড়িয়ে দৌড়ে ভাগীরথী নদীতে ঝাঁপ মারেন তিনি। এরপর অতনুর খোঁজে ভাগীরথী নদীতে শুরু হয় তল্লাশি। রোববার রাতে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

অতনুর বাবা নির্মল ঘোষ বলেন, আমি দোকান থেকে বাড়ি ফিরে ছেলেকে বাড়িতে দেখিনি। রাত বাড়তে থাকায় খোঁজখবর নিতে শুরু করি। ছেলের মোবাইলও বন্ধ ছিল। এরপর পুলিশকে জানালে তারাই আমাদের সবকিছু জানায়। প্রায় ৩০ ঘন্টা ধরে নদীতে তল্লাশি চালিয়ে রোববার রাতের ছেলের মরদেহ পাওয়া গেছে।

অতনুর বাবা নির্মল ঘোষের দাবি, ছেলে যখন ডুবে যাচ্ছিল বাঁচানোর পরিবর্তে পুলিশ তাকে ছেড়ে চলে আসে। তাদের পরিবারের কাউকে খবরও পর্যন্ত দেয়নি পুলিশ। তার অভিযোগ, ছেলেকে খুন করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, অতনুর মৃত্যুর জন্য পুলিশই দায়ী। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ করেছেন তারা। বিক্ষোভের জেরে পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যদিও পুলিশের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।

পরিবারের অভিযোগ প্রসঙ্গে বহরমপুর জেলার পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিং জানান, যেকোনো মৃত্যুই দুঃখজনক। তবে অতনু ঘোষ নামে কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। এমনকি আটকও করেনি। পরিবারের সদস্যরা মিথ্যা অভিযোগ করছে। টহলদারি পুলিশ ভ্যান দেখে কেউ নদীতে ঝাঁপ দিলে পুলিশ কি করবে।