Ad0111

পুরো শহর ধ্বংস করলো মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী

মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় চিন রাজ্যে সামরিক বাহিনীর গোলা বর্ষণে একটি শহর ধ্বংস হয়ে গেছে

পুরো শহর ধ্বংস করলো মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী
ছবি: সংগৃহীত

প্রথম নিউজ, ডেস্ক: মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় চিন রাজ্যে সামরিক বাহিনীর গোলা বর্ষণে একটি শহর ধ্বংস হয়ে গেছে। শুক্রবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম খিত ঠিত মিডিয়া ও চিনডউইন নিউজ এজেন্সি প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে এই খবর প্রকাশ করা হয়। থানটলাঙ নামের এই শহরের স্থানীয় জান্তাবিরোধী বিদ্রোহী বাহিনীর সাথে সামরিক বাহিনীর সংঘর্ষের সময় এই গোলা বর্ষণ করা হয়।

শহরের এক বাসিন্দা জানান, শুক্রবার স্থানীয় জান্তাবিরোধী বিদ্রোহীরা এক সৈন্যকে বন্দী করে। পরে সামরিক বাহিনী ওই শহরের ওপর গোলা বর্ষণ শুরু করে। সংবাদমাধ্যম দুটি জানায়, সামরিক বাহিনীর হামলায় শহরের ১৬৩টি বাড়ি ও দুইটি গির্জা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।

এদিকে শিশুদের জন্য আন্তর্জাতিক এনজিও সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গোলা বর্ষণে শহরে তাদের কার্যালয় ধ্বংস হয়ে গিয়েছে এবং ১০ কর্মীর সকলেই শহর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, 'সহিংসতার কারণে সৃষ্ট এই ধ্বংসযজ্ঞ সম্পূর্ণ অর্থহীন। সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহে সহিংস সংঘর্ষ থেকে বাঁচতে জনগণ ইতোমধ্যেই তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। অনেকের সামান্য জমা

থানটলাঙ শহরে প্রায় ১০ হাজার লোকের আবাস ছিলো। কিন্তু সম্প্রতি সামরিক বাহিনীর চিন রাজ্যে হামলার কারণে শহরটির বাসিন্দারা নিজেদের আবাস ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সন্ধানে চলে গেছে।

সম্পদও ধ্বংস হয়েছে।' ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী তাতমাদাও দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থান ঘটায় এবং প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিসহ রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার করে। সাথে সাথে দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। পরে ১ আগস্ট জরুরি অবস্থার মেয়াদ ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দেন জান্তা প্রধান জেনারেল মিন অং লাইং।

গত বছরের নভেম্বরে দেশটিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিতর্কের জেরে এই অভ্যুত্থান ঘটায় সামরিক বাহিনী।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow

This site uses cookies. By continuing to browse the site you are agreeing to our use of cookies & privacy Policy from www.prothom.news