প্রফেসর ডা. আবদুল কুদ্দুসকে পুলিশী হেনস্তায় সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

বিএসপিপি'র আহবায়ক প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও সদস্য সচিব সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরী আজ ৯ এপ্রিল,রবিবার এক যুক্ত বিবৃতিতে এ ঘটনাকে মৌলিক অধিকার ,মানবাধিকার ও সংবিধান পরিপন্থী উল্লেখ করে এঘটনায় জড়িত পুলিশের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

প্রফেসর ডা. আবদুল কুদ্দুসকে পুলিশী হেনস্তায় সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

প্রথম নিউজ,অনলাইন: বীরমুক্তিযোদ্ধা,বিশিষ্ট চিকিৎসা বিজ্ঞানী, জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. আবদুল কুদ্দুসকে পুলিশী হেনস্তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ-বিএসপিপি। বিএসপিপি'র আহবায়ক প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও সদস্য সচিব সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরী আজ ৯ এপ্রিল,রবিবার এক যুক্ত বিবৃতিতে এ ঘটনাকে মৌলিক অধিকার ,মানবাধিকার ও সংবিধান পরিপন্থী উল্লেখ করে এঘটনায় জড়িত পুলিশের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, গতকাল দুপুরে ভাটারা থানা এলাকায়  বিদ্যুৎ,গ্যাসসহ দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতি,আওয়ামী লীগ সরকারের "সর্বগ্রাসী দুর্নীতির" প্রতিবাদে এবং ব্যর্থ সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচী অংশ নেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডাঃ মোঃ আব্দুল কুদ্দুস।কোনো কারণ ছাড়াই ভাটারা থানা পুলিশ এসময় জাতির এ শ্রেষ্ঠ সন্তানকে তুলে নিয়ে যায়। প্রায় ৪ ঘন্টা তাকে পুলিশের গাড়িতে বিভিন্নস্থানে ঘুরানোসহ নানাভাবে মানষিক নির্যাতন চালানো হয়।শুধু তা-ই নয়, পুলিশ অবস্থান কর্মসূচিও ভন্ডুল করে দেয়। একটি স্বাধীন দেশে দেশের একজন সিনিয়র সিটিজেন ও বীরমুক্তিযোদ্ধাকে এভাবেই হেনস্তা মেনে নেয়া যায় না।

বিবৃতিতে বলা হয়,সংবিধানের ৩৬নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইন মোতাবেক বাংলাদেশের সর্বত্র অবাধ চলাফেরা, এর যে কোন স্থানে বসবাস ও বসতিস্থাপন এবং বাংলাদেশ ত্যাগ ও বাংলাদেশে পুনঃপ্রবেশ করবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে। ৩৭নং অনুচ্ছেদ মোতাবেক, আইনসাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হবার এবং জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগদান করবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে। ৩৮নং অনুচ্ছেদ বলে যে আইন সাপেক্ষে সমিতি বা সংঘ গঠন করবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে। ৩৯ নং অনুচ্ছেদে বাংলাদেশের নাগরিকদের চিন্তা, বিবেক ও বাকস্বাধীনতার নিশ্চয়তা দিয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য এ মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার জনগন ভোগ করতে পারছে না। সংবিধানকে অনেকটা অকার্যকর করে রাখা হয়েছে। এটা একটা কার্যকর রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্যের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ।

পেশাজীবীদের শীর্ষ এই দুই নেতা বলেন,মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সভা-সমাবেশে যোগ দেওয়ার অধিকার কোনোভাবেই ফৌজদারি অপরাধ নয়; বরং তা সাংবিধানিক নিশ্চয়তা।অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে ব্যক্তিস্বাধীনতা, ন্যায়বিচার এবং বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের জন্য গণতান্ত্রিক শাসন অত্যন্ত জরুরি। আর এর জন্য দরকার ব্যক্তিপর্যায় থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায় পর্যন্ত প্রত্যেক ব্যক্তির সমাজে সুস্থ ও মর্যাদাপূর্ণভাবে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা ‍নিশ্চিত করা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য মানবাধিকারক ও সাংবিধানিক অধিকারকে অসম্মান ও অগ্রাহ্য করাটা বর্তমান সরকারের রোগে পরিণত হয়েছে। বিবৃতিতে পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ, নিপীড়নের পথ পরিহার করে জনগনের মানবিক ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।