পঞ্চগড়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ

দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও সন্ধ্যা নামলেই হিমেল হাওয়ায় বেশ ঠান্ডা অনুভূত হয়। এতে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে জনজীবনে।   

পঞ্চগড়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের ক্রমাগত বাড়ছে শীতের দাপট। বিগত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ৯ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ঘরে ওঠানামা করছে। দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও সন্ধ্যা নামলেই হিমেল হাওয়ায় বেশ ঠান্ডা অনুভূত হয়। এতে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে জনজীবনে।   

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগার কার্যালয়। এর আগের দিন মঙ্গলবার  সকালে ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। আজকের তাপমাত্রা অনুযায়ী স্থানীয়ভাবে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলে যায়।
স্থানীয়রা জানান, সকালে সূর্য উঠে যাওয়ায় রোদে কমতে থাকে শীতের মাত্রা। সকালের মিষ্টি রোদে আগের যে কনকনে শীতের অনুভূতিটা ছিল তা কমেছে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকছে। এরপরে হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করে। সে হিমেল হাওয়ায় সন্ধ্যা থেকে ঠান্ডা লাগে। সন্ধ্যা ও রাতেই বেশি ঠান্ডা লাগছে। 
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাসে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে শুরু করেছে। আজ বুধবার সকাল ৬ টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল সোমবার ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল।  সামনের দিকে যত যাবে তাপমাত্রা আরও কমতে শুরু করবে।
এদিকে, শীতের কারণে আবহাওয়ার কারণে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধি। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।