পাওনা টাকা নিয়ে তর্কের জেরে তাসলিমাকে খুন করেন প্রতিবেশী
শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী এসব তথ্য জানান। গ্রেপ্তার শাকিব উদ্দিন বগুড়া সদরের রাজাপুর এলাকার মো. আনিছুর রহমানের ছেলে এবং অটোরিকশা চালক।
প্রথম নিউজ, বগুড়া: পাওনা টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে বগুড়ার গৃহবধূ তাসলিমাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন প্রতিবেশী যুবক শাকিব উদ্দিন। এ ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী এসব তথ্য জানান। গ্রেপ্তার শাকিব উদ্দিন বগুড়া সদরের রাজাপুর এলাকার মো. আনিছুর রহমানের ছেলে এবং অটোরিকশা চালক।
গত বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদরের নিশিন্দারা মধ্যপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাছলিমা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সেদিন দিবাগত রাতে শাকিবকে আটক করে পুলিশ। পরদিন শুক্রবার রাতে নিহতের বাবা জাহিদুল ইসলাম হত্যা মামলা দায়েরের পর শাকিবকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, শাকিব ইজিবাইক চালক। তিনি গত বৃহস্পতিবার সকালে তার ইজিবাইক চালাচ্ছিলেন। এ সময় অন্য একটি গাড়ির ধাক্কায় তার ইজিবাইকের মাডগার্ড বেঁকে যায়। এটি ঠিক করার জন্য ওই এলাকায় তার প্রতিবেশী চাচাতো বোন তাসলিমার বাড়িতে যান হাতুড়ি নিতে। গাড়ি ঠিক করার পর শাকিবকে বাড়ির মধ্যে ডেকে নাস্তা করতে বলেন তাসলিমা। এ সময় শাকিবের কাছে পাওনা ১০ হাজার টাকার প্রসঙ্গ তোলেন তাসলিমা। তখন শাকিব পরে টাকা দিতে চান। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে হাতুড়ি দিয়ে তাসলিমাকে আঘাতের চেষ্টা করেন শাকিব। কিন্তু সেই আঘাত লাগে তাসলিমার ছেলে (৩) কাজিমের মাথায়। পরে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তাসলিমার মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেন। এতে তাসলিমা অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। তখন মোবাইল ও ল্যাপটপ নিয়ে পালিয়ে যান শাকিব।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, প্রতিদিনের মতো ভাঙারি ব্যবসায়ী সিরাজুল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়িতে আসেন। কিন্তু এসে দেখেন ঘর অন্ধকার হয়ে আছে। লাইট জ্বালালে তার স্ত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। পাশেই রক্তমাখা হাতুড়ি পড়ে ছিল। তাদের তিন বছরের শিশু হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পান সিরাজুল। এমন অবস্থা দেখে চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এবং আত্মীয়-স্বজনেরা ঘটনাস্থলে আসে। পরে ছেলেকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শিশুটির চিকিৎসা চলছে।