নির্বাচন নিয়ে বিদেশীদের দৌড়ঝাঁপ
প্রথম নিউজ ডেস্ক:চলতি বছরের শেষে অথবা আগামী বছরের শুরুতে বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রতিবারের মতো এবারও বাংলাদেশের নির্বাচন ঘিরে চলছে বিদেশিদের দৌড়ঝাঁপ। বাংলাদেশ সফরে এসেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রাক-নির্বাচনী দল। আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকা আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নাগরিক নিরাপত্তা, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জিয়া। মাসের শেষভাগে আসছেন ইইউর মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি। চলতি মাসে আসার সম্ভাবনা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি জোসে ডব্লিউ ফার্নান্দেজের।
এ সফরগুলোতে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনায় গুরুত্ব পাবে আগামী জাতীয় নির্বাচন, মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং শ্রম অধিকারের মতো বিষয়গুলো। বাংলাদেশের নির্বাচন যাতে অবাধ ও সুষ্ঠু হয় তার জন্য ভিসা নীতি গ্রহণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া বাংলাদেশ ইস্যুতে সম্প্রতি সরব হন যুক্তরাষ্ট্রের ১২ কংগ্রেসম্যান ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৬ সংসদ সদস্য।
গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলে পশ্চিমা তৎপরতার বিপরীতে বাংলাদেশের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছে চীন ও রাশিয়া। বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের তৎপরতাকে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ এবং নব্য উপনিবেশবাদ বলে দাবি করছে পশ্চিমা বিরোধীরা।
নির্বাচনের আগে বিদেশিদের এ দৌড়ঝাঁপকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছে সরকারি দল। অন্যদিকে দেশের গণতন্ত্রকে সুসংহত করার ক্ষেত্রে একে বন্ধু দেশগুলোর ভূমিকা হিসেবে দেখছে বিরোধী দলগুলো। তবে নিজ স্বার্থ সুরক্ষায় বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদারদের এমন ভূমিকা বলে মনে করেন অনেক কূটনীতিক।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন,কর্তৃত্ববাদী দু:শাসনের উপর দেশি-বিদেশী চাপে হিতাহিত জ্ঞানশূণ্য হয়ে পরেছে অবৈধ সরকার। দুনিয়ায় গণতন্ত্রহীন কর্তৃত্ববাদী দেশগুলোর পক্ষপুটে আশ্রয় চাচ্ছেন শেখ হাসিনা। দেশ-বিদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন দেশী কিংবা বিদেশী যে-ই হোন না কেন, যারাই গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলে, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের পক্ষে কথা বলে তারাই জনগণের বন্ধু।বিএনপির মুখপাত্র বলেন,বিগত ২০১৪ ও ২০১৮ সালের একতরফা নিশিরাতের নির্বাচন করে যারা নিরঙ্কুশ ক্ষমতা জবরদখল করে জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা কেড়ে নেয়, সেই সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলা কি অন্যায় ? গণধিকৃত সরকার জনগণের কাছে জবাবদিহীতা করে না বলেই বিভ্রান্তি তৈরি করার জন্য নানা কথার ফুল ঝুড়ি ছড়াচ্ছে। দস্যুদল যদি রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে তার বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম করা ন্যায্য এবং ন্যায় সঙ্গত। আর এই সংগ্রামে যে সমর্থন দেবেন, সেই জনগণের বন্ধু। যেকোন দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বাহিরের অনেক দেশ সমর্থন দেয়, তা কি অন্যায় ? বাংলাদেশের জনগণ নিরাপত্তাহীন ভয় ও শঙ্কার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। সরকার পরিবর্তন ও পরিচালনায় তাদের ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হয়েছে ভোটাধিকার হরণ করে। নাগরিক হিসেবে তাদের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। সুতরাং জনগণের ক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবন ঘটাতে হবে। মানুষের মৌলিক ও মানবিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। বাক, ব্যক্তি স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশনসহ সকল স্বায়ত্তশাসিত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এখন ধ্বংসের শেষ প্রান্তে, এটি ফ্যাসিস্ট শক্তির হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। আমরা মনে করি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের মধ্যদিয়ে রাষ্ট্রীয় গণতন্ত্রের বিকাশের লক্ষ্যে চলে আসা রক্ত ঝরা আন্দোলনে অনেকের আত্মদান বৃথা যাবে না। আর এই আন্দোলকে দেশে-বিদেশে যারাই সমর্থন করবে তারা বাংলাদেশের জনগণের বন্ধু।
বিএনপি নেতা বলেন, জনগণের স্বার্থে এবং পক্ষে আন্দোলন কখনো বৃথা যায় না। বিগত দেড় দশক ধরে গণতন্ত্র পূণ:রুদ্ধারের আন্দোলনে বিরোধী দলসহ ভিন্ন মতের মানুষ, ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক,মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিককে গণতন্ত্র বিনাশী এই ফ্যাসিস্ট সরকার নির্মমভাবে হত্যা করেছে। গুম করা হয়েছে জনপ্রতিনিধিদেরও। গণতন্ত্রকামী জনগণকে দাবিয়ে রাখার জন্য সরকারের দমনযন্ত্র প্রতিনিয়ত রক্ত ঝরাচ্ছে।
বাংলাদেশে পশ্চিমা দেশগুলের যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও স্বার্থ রয়েছে, তা বিঘ্নিত হলে সে দায় কে নেবে? আলাপচারিতায় কাছে এমন প্রশ্ন করেন পশ্চিমা দূতাবাসের এক কূটনীতিক। তিনি বলেন, আমাদের কাজের প্রতিনিয়ত জবাবদিহি করতে হয়। ফলে কোনো কাজ আমরা নিজ থেকে করি বিষয়টি এমন নয়। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসা ও বাণিজ্য সুরক্ষার দায়িত্ব আমাদের। সেই সঙ্গে ভূরাজনৈতিক একটি বিষয়ও রয়েছে। কোনো দেশে যদি গণতন্ত্র ক্রমেই দুর্বল হতে থাকে, তাহলে বিভিন্ন বাহ্যিক অপশক্তি নিজস্ব প্রভাব বিস্তার করে। যা আন্তর্জাতিক রুল বেইজড অর্ডার বা আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার জন্য ক্ষতিকর। ফলে উন্নত মানবাধিকার ও গণতন্ত্র জরুরি।
পশ্চিমা অনেক মিত্র দেশে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের অনুপস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ এমন স্থানে অবস্থিত এবং অর্থনীতি ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। অনেক সামাজিক সূচক ও উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে পরিচিত। এতে উন্নয়ন অংশীদারদের অবদান রয়েছে। ফলে এখানে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের অনুপস্থিতি বৈশ্বিক শান্তি ও শৃঙ্খলাকে ব্যাহত করতে পারে।
সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ূন কবির বলেন, বাংলাদেশের অনেক ক্ষেত্রে সাফল্য থাকলেও গণতন্ত্র ও নির্বাচনী ব্যবস্থার ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থার ঘাটতি রয়েছে। ফলে বাংলাদেশের অংশীদারদের এ ক্ষেত্রে উদ্বেগ দেখা যায়। যখন অংশীদাররা দেখেন একটি বড় ধরনের জটিলতা তৈরি হচ্ছে, তখনই তাঁরা এতে ভূমিকা রাখেন।
তিনি বলেন, সমস্যাটি আমাদের অভ্যন্তরীণ। তবে এবার এর মাত্রা একটু বেশি। সংকট একটু বেশি গভীর হওয়ার করাণে নেতিবাচকভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
বাংলাদেশে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা না গেলে তার প্রভাব বহির্বিশ্বেও পড়বে জানিয়ে সাবেক এ কূটনীতিক বলেন, বৈশ্বিকভাবে একে অপরের ওপর নির্ভরশীলতা বেড়েছে। উদাহরণস্বরূপ ইউক্রেনের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত না থাকলেও সেখানকার যুদ্ধে ক্ষতির শিকার আমরাও হচ্ছি। ফলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির অভিঘাত অন্য দেশের ওপর পড়তে পারে। সেই আশঙ্কা থেকেই বিদেশিরা ভূমিকা রাখেন।
গত শনিবার ঢাকা এসেছে ইইউর প্রাক-নির্বাচনী পর্যেবক্ষক দল। নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে ইইউর ৬ সদস্যের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল ২৩ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবে। প্রতিনিধি দলটির মূল কাজ হবে ইইউর সম্ভাব্য নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের কর্মপরিধি, পরিকল্পনা, বাজেট, লজিস্টিকস ও নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়গুলো মূল্যায়ন করা। প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিবৃন্দ, নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিবৃন্দ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবে। এ প্রতিনিধি দলের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ইইউ সিদ্ধান্ত নেবে আগামী জাতীয় নির্বাচনে এ জোট পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে কিনা। রোববার থেকে কাজ শুরু করেছেন ইইউ প্রতিনিধি দল। পুরো দিনটি সমমনা দেশগুলোর রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার বা প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে কাটিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের আন্ডার সেক্রেটারি আগামীকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা আসছেন। বুধবার প্রতিনিধি দলটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিদর্শন করবে। বৃহস্পতিবার প্রতিনিধি দলটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবে।
উজরা জিয়ার সফরে শ্রমিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠকের কথা রয়েছে। আগামী শুক্রবার মার্কিন প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ ছাড়বে।
দেশটির অর্থনৈতিকবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জোসে ডব্লিউ ফার্নান্দেজের ঢাকা সফর এখনও শর্তের বেড়াজালে আটকে রয়েছে।
উজরা জিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফরে মার্কিন প্রতিনিধি দলটি জানতে চাইবে, সরকার কীভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায়। তার বৈঠকে গুরুত্ব পাবে শ্রম পরিস্থিতি, নাগরিক সমাজের স্থান সংকোচন এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি। প্রতিনিধি দলে পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লুও থাকবেন।
নাম না প্রকাশের শর্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, উজরা জিয়ার সফরটি নিশ্চিত। তবে জোসে ডব্লিউ ফার্নান্দেজের ঢাকা সফর এখনও নিশ্চিত হয়নি। ফার্নান্দেজের ঢাকা সফরের সঙ্গে বেশ কিছু শর্ত রয়েছে। সেগুলো পূরণ হলেই বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র উচ্চ পর্যায়ের অর্থনৈতিক সংলাপে যোগ দিতে তিনি আসবেন। এ ক্ষেত্রে শ্রম আইনটি সংশোধন অন্যতম। ফার্নান্দেজের সফরটি মাসের শেষভাগে হওয়ার কথা রয়েছে।
তিনি বলেন, মানবাধিকরা ইস্যু, বিশেষ করে শ্রম অধিকার গুরুত্ব পাবে উজরা জিয়ার বৈঠকে। সম্প্রতি শহিদুল ইসলাম নামে এক শ্রমিক নেতার হত্যার বিষয়ে ইতোমধ্যে নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম দপ্তর। এ ছাড়া শ্রমিকদের নিয়ে বৈশ্বিক অধিকার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান একদম নিচে। ফলে এ বিষয়গুলোতে পরিস্থিতি উন্নয়নে আলোচনা করবে দুই দেশ।
এদিকে এ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশে আসবেন ইইউর মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমোন গিলমোর। তিনি আয়ারল্যান্ডের সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী। এর আগে ২০১৮ সালে তিনি বাংলাদেশ সফর করেছেন। সে সময় তিনি রোহিঙ্গা শিবিরে পরিদর্শন করেছিলেন। মূলত রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনের জন্য তিনি বাংলাদেশ আসছেন। এ ছাড়া বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি বুঝতে ঢাকায় সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যমের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
ইইউর মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমোন গিলমোরের সফরটি নিশ্চিত করে চার্লস হোয়াইটলি সমকালকে বলেন, তাঁর সফরের মূলে থাকবে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন। সফরে ২০১৮ সালের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতি তিনি পর্যালোচনা করে দেখবেন।
তাঁর সফরকালে বাংলাদেশের নির্বাচন ও মানবাধিকার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে কিনা– জানতে চাইলে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন– না, এটি মানবাধিকার নিয়ে একটি সাধারণ সফর। তবে তিনি মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি। ফলে অংশীদার দেশগুলোতে মানবাধিকার নিয়ে সাধারণ আলোচনা করেন। বাংলাদেশে সুনির্দিষ্ট কোনো মানবাধিকার বিষয় নিয়ে তিনি সফর করছেন না।