নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশে গ্রেপ্তার-হয়রানি দেখতে চায় না জাতিসংঘ

রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে সংঘাতের পাশাপাশি বিরোধীদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও হয়রানি করারও অভিযোগ উঠেছে।

নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশে গ্রেপ্তার-হয়রানি দেখতে চায় না জাতিসংঘ

প্রথম নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের রাজনীতি। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে সংঘাতের পাশাপাশি বিরোধীদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও হয়রানি করারও অভিযোগ উঠেছে। তবে আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশে নির্বিচারে গ্রেপ্তার, হয়রানি  ও সহিংসতা দেখতে চায় না জাতিসংঘ। এছাড়া বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন বলেও জানিয়ে দিয়েছে বৈশ্বিক এই সংস্থাটি। স্থানীয় সময় বুধবার (১ নভেম্বর) নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এ তথ্য জানিয়েছেন।

ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রতি একটি বিষয়ে জোর দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। আর তা হচ্ছে- বিরোধীদের হামলার লক্ষ্যবস্তু করে, হয়রানি করে এবং কারাগারে আটক রেখে আয়োজন করা নির্বাচনকে সুষ্ঠু হিসাবে বিবেচনা করা যাবে না। গতকাল পুলিশের গুলিতে অন্তত তিন বিরোধী কর্মী নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘ মহাসচিব কি এই সদস্য রাষ্ট্রের (বাংলাদেশের) পরিস্থিতিকে গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছেন?

জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের এই মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে আমি মনে করি আমরা খুব স্পষ্টভাবেই কথা বলেছি। আমরা এই সময়ে কোনও ধরনের হয়রানি বা নির্বিচারে গ্রেপ্তার বা সহিংসতা চাই না। এর আগে চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সমাবেশে সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। সেসময় তিনি বাংলাদেশের সব পক্ষকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহ্বানও জানান।

একইসঙ্গে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ এবং মানুষকে নির্বিচারে আটক করা থেকেও বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারকে সম্মান করা উচিত বলেও সেসময় মন্তব্য করেন গুতেরেস।

গত ২৮ অক্টোবর প্রধান বিরোধীদল বিএনপির সঙ্গে পুলিশ এবং বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দলের সহিংসতার ঘটনায় গত সোমবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, এসব ঘটনায় আমরা স্পষ্টতই উদ্বিগ্ন, যেমনটা আমি বলেছি, সহিংসতা নিয়ে। আমরা এখনও মনে করি, নির্বাচনের আগে শান্ত থাকা এবং সকল মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়ে শ্রদ্ধা থাকা জরুরি। তবে আমি মনে করি না, কেউ নির্বাচন নিয়ে পূর্বাভাস দিতে পারে।

এর আগে, গত আগস্টের শেষের দিকেও বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক। সেসময় তিনি বলেন, আমরা আগেই বলেছি, আমরা তো বটেই এবং আমি মনে করি, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় সবাই।