নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, তেল-গ্যাসের দাম অবিলম্বে না কমালে লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণা
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য এবং তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে গণ অধিকার পরিষদ
সমাবেশে গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, আমরা আগামীতে দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে সরকার গঠন করতে চাই। তারুণ্য আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। এই তরুণ্যকে সরকার কখনোই দমন করতে পারেনি। আজকে কেন তেল-গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি, কেন নিত্য পণ্য ক্রয়ক্ষমতার বাইরে? কারণ বাজারের উপরে সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই। যে যার মত লুটেপুটে খাচ্ছে। কিন্তু এই অবৈধ, জবাবদিহিতাহীন, ভোট ডাকাত সরকার কোনকিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। সুতরাং জনগণকে কষ্ট দিয়ে এই অবৈধ সরকার আর এক মুহুর্তও ক্ষমতায় থাকতে পারে না।
গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুলহক নুর বলেন, সরকার সব খেয়ে ফেলেছে। আছে শুধু খোসা। শেয়ারবাজার, ব্যাংক শেষ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সচিবালয় সব জায়গায় দলীয়করণ করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন করে গ্রামে-গঞ্জে সহিংসতা ছড়িয়ে দিয়েছে। নৌকায় ভোট না দিলে নানা ধরনের হুমকি প্রদান করা হচ্ছে। এসব ঘটনায় প্রমাণ করে সরকার ক্ষমতায় থাকতে কিভাবে রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন ঘটিয়েছে।
তিনি বলেন, জনগণের প্রতি কোন ধরণের দায়বদ্ধতা না থাকার কারণেই কোন ধরনের সমন্বয় না করে তেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়েছে। অথচ গত ৭ বছরে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কম থাকলেও সরকার দাম না কমিয়ে ৪০ হাজার কোটি টাকা লাভ করছে যা দিয়ে অন্তত ৬ মাস ভর্তুকি দেয়া যায়। কিন্তু সরকার জনগণের পকেট থেকে টাকা লোপাট করতেই এই দাম বাড়িয়েছে। তেল-গ্যাসের বর্ধিত দাম প্রত্যাহার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম কামানো না হলে জনগণকে নিয়ে পরবর্তীতে ধারাবাহিক কর্মসূচি দেয়া হবে হুশিয়ারি জানান নুর।
বিক্ষোভ সমাবেশ সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খাঁন বলেন, তেল- গ্যাসের দাম বেড়ে লাভবান হলো সরকার, বাস ও লঞ্চের ভাড়া বাড়ায় লাভবান হলো মালিকরা। আর বরাবরের মত জনগণের উপর দিয়ে সবকিছু পুষিয়ে নেয়া হলো। সরকার মানুষের সাথে প্রতারণা করছে। সরকার বলেছিলো ঘরে ঘরে চাকরি দিবে, কিন্তু এখন সরকার ঘরে ঘরে মানুষ না খাইয়ে মারছে। ১০ টাকায় চাল খাওয়ানোর কথা বলে ৭০ টাকায় চাল খাওয়াচ্ছে।
সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব মুহাম্মদ আতাউল্লা বলেন, দেশ আজ দুর্নীতিবাজ ও সিন্ডিকেটের দখল। তরুণ সমাজকে মাফিয়া দুর্নীতিবাজদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। আজকে সরকার আমাদের ভাতে ও ভোটে মারছে। ভাত ও ভোটের অধিকার সকলকে রক্ষা করতে একতাবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই।
যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেন, সোহরাব হোসেন, সহকারি আহবায়ক তামান্না ফেরদৌস শিখা, সহকারী সদস্য সচিব শেখ খাইরুল কবির, সচিব শিরিন আক্তার, যুব অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব মনজুর মোর্শেদ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তারেক রহমান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: