ডিএসইর মোবাইল অ্যাপসের চার্জ যেন ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’
৫ বছরে মোবাইল লেনদেনে আয় ২৫০০ কোটি, চার কারণে জনপ্রিয় হচ্ছে না মোবাইল লেনদেন, নতুন করে ১২৫ টাকার মাসিক চার্জ নির্ধারণ
প্রথম নিউজ, ঢাকা: মন্দার পর ২০১৬ সালে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) চালু হয় মোবাইল অ্যাপস। কিন্তু চালুর সাত বছরেও জনপ্রিয় হয়নি লেনদেনের এ মাধ্যম। বরং ২০২২-২৩ অর্থবছরে নিবন্ধন বাতিল হয়েছে ৩১ হাজার ব্যবহারকারীর। এ অবস্থার মধ্যেও ব্যবহারকারীদের ওপর নতুন করে মাসিক ১২৫ টাকা চার্জ নির্ধারণ করেছে ডিএসই।
ডিএসইর চার্জ নেওয়ার এমন সিদ্ধান্তকে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ বলে অভিহিত করেছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, ২০১০ সালের ধসের পর থেকে গত এক যুগ মন্দা অবস্থা পার করেছে পুঁজিবাজার। পুঁজি হারিয়ে বাজার ছেড়েছেন ১০ থেকে ১২ লাখ বিনিয়োগকারী। এ অবস্থার মধ্যেও বর্তমানে যারা বাজারে বিনিয়োগ করেছে তারাই প্রকৃত বিনিয়োগকারী। তাদের ধরে রাখতে ও সাধারণ মানুষকে বাজারের প্রতি আকৃষ্ট করতে এ মুহূর্তে যেখানে প্রয়োজন বিশেষ ছাড়; ডিএসই সে জায়গায় নতুন করে আরোপ করছে চার্জ। ফলে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা আরও কমবে। ডিএসইর উচিত এ খাতের বিনিয়োগকারীদের সাপোর্ট দেওয়া। মোবাইল অ্যাপসের সমস্যা সমাধান করা।
২০১৬ সালের ৯ মার্চ মোবাইল অ্যাপস সেবা চালু করে ডিএসই। এর ফলে ব্রোকারেজ হাউজে না গিয়ে ঘরে কিংবা অফিস-আদালতে বসে লেনদেনের সুযোগ পান বিনিয়োগকারীরা। সিডিবিএলের তথ্যমতে, দেশের পুঁজিবাজারে বর্তমানে ১৮ লাখের কিছু বেশি বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্টধারী বিনিয়োগকারী রয়েছেন। এর মধ্যে মাত্র ৪৬ হাজার ৬২২জন বিওধারী ব্যক্তি। মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে তারা শেয়ার লেনদেন করেন। অথচ ২০২১-২২ সালের ৩০ জুনেও মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে লেনদেনকারীর সংখ্যা ছিল ৭৭ হাজার ৯৪৯। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ৩১ হাজার ৩২৭টি নিবন্ধন বাতিল করেছেন বিনিয়োগকারীরা
অ্যাপসে লেনদেন চালুর ৭ বছর তিন মাস পর ব্যবহারকারীদের জন্য প্রতিমাসে ১২৫ টাকা করে চার্জ নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয় ডিএসইর। এরপর গত ১২ জুলাই ডিএসইর পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি স্টক ব্রোকারদের কাছে পাঠানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, ডিএসই মোবাইল অ্যাপের নতুন ব্যবহারকারীকে চলতি জুলাই মাস থেকে ১২৫ টাকা মাসিক চার্জ দিতে হবে। তবে যারা আগে থেকেই অ্যাপটি ব্যবহার করছেন তাদেরকে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ফি দিতে হবে না।
অ্যাপটি ব্যবহার করতে ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে ডিএসই থেকে সংযোগ নিতে হবে। এরপর ওই হাউজের অধীনে নিবন্ধন করে ব্যবহারকারীরা অ্যাপটি চালাতে পারবেন।
সিডিবিএলের তথ্যমতে, দেশের পুঁজিবাজারে বর্তমানে ১৮ লাখের কিছু বেশি বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্টধারী বিনিয়োগকারী রয়েছেন। এর মধ্যে মাত্র ৪৬ হাজার ৬২২জন বিওধারী ব্যক্তি। মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে তারা শেয়ার লেনদেন করেন। অথচ ২০২১-২২ সালের ৩০ জুনেও মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে লেনদেনকারীর সংখ্যা ছিল ৭৭ হাজার ৯৪৯। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ৩১ হাজার ৩২৭টি নিবন্ধন বাতিল করেছেন বিনিয়োগকারীরা। ডিএসই সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ ৫ অর্থবছরে মোবাইল অ্যাপসের লেনদেন থেকে ০.০২৫ পয়সা কমিশন নিয়ে ডিএসইর আয় হয়েছে ২ হাজার ৭৭৮ কোটি ৩৩ লাখেরও বেশি টাকা। তারপরও মোবাইল অ্যাপসে লেনদেনকারীদের ওপর মাসিক ১২৫ টাকা চার্জ নির্ধারণ করেছে ডিএসই।
অ্যাপস ব্যবহারকারীদের পরিসংখ্যান
২০২২-২৩ অর্থবছরে ডিএসইতে নিবন্ধিত মোবাইল অ্যাপস ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৪৬ হাজার ৬২২। এ সময়ে অ্যাপসের মাধ্যমে ৯৫ লাখ ৯০ হাজারটি অর্ডার দেন বিনিয়োগকারীরা। সেখান থেকে ২১ হাজার ৯৪৯ কোটি ১১ লাখ ২০ হাজার টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। আর এসব লেনদেন থেকে ডিএসইর কমিশন বাবদ আয় হয় ৫৪৮ কোটি ৭২ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। অর্থাৎ একটি মোবাইল অ্যাপসের বিনিয়োগকারী থেকে ডিএসইর বছরে আয় হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ৬৯৭ টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে নিবন্ধিত মোবাইল অ্যাপস ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৭৭ হাজার ৯৪৯। এ সময়ের মধ্যে অ্যাপসের মাধ্যমে ১ কোটি ৭৯ লাখ ৫০ হাজার বার শেয়ার কেনাবেচার অর্ডার দেন বিনিয়োগকারীরা। সেখান থেকে ৪২ হাজার ৪০১ কোটি ৪৪ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। আর লেনদেন বাবদ ডিএসইর আয় হয় ১ হাজার ৬০ কোটি ৩ লাখ ৬১ হাজার টাকা। অর্থাৎ সে বছরে প্রত্যেক অ্যাপসের লেনদেন থেকে ডিএসইর আয় হয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯৯০ টাকা।
২০২০-২১ অর্থবছরে অ্যাপস ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৬৮ হাজার ৮৯৫। সে বছর অ্যাপসের মাধ্যমে ১ কোটি ১২ লাখ ৬০ হাজার বার শেয়ার কেনাবেচার অর্ডার দেন বিনিয়োগকারীরা। এ সময়ের মধ্যে মোট ২৮ হাজার ৮০৪ কোটি ৪১ লাখ ১০ হাজার টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। সেই লেনদেন থেকে ডিএসইর আয় হয় ৭২০ কোটি ১১ লাখ ২ হাজার ৭৫০ টাকা। অর্থাৎ প্রত্যেক মোবাইল অ্যাপসের লেনদেন থেকে ডিএসইর আয় দাঁড়ায় ১ লাখ ৪ হাজার ৫২২ টাকা।
২০১৯-২০ অর্থবছরে অ্যাপস ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৫৩ হাজার ৭৫৪। এ সময়ের মধ্যে অ্যাপসের মাধ্যমে ৫৭ লাখ ৩০ হাজার বার শেয়ার কেনাবেচার অর্ডার দিয়েছিলেন ব্যবহারকারীরা। সে বছর ৭ হাজার ৫৪০ কোটি ৫৫ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। সেখান থেকে ১৮৮ কোটি ৫১ লাখ ৩৯ হাজার ২৫০ টাকা আয় হয় ডিএসইর। অর্থাৎ প্রতি অ্যাপস ব্যবহারকারী থেকে ডিএসইর আয় হয় ৩৫ হাজার ৬৯ টাকা।
অ্যাপ চালুর তৃতীয় বছর ২০১৮-১৯ সালে ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৪৬ হাজার ২৮৩। সে বছর অ্যাপসের মাধ্যমে মোট ৬৯ হাজার ৪০ হাজার অর্ডার দেওয়া হয়। সেসব অর্ডার থেকে ৪৭ লাখ ৭০ হাজারটি অর্ডার কার্যকর হয়। শেয়ার কেনাবেচা হয় ১০ হাজার ৪৩৭ কোটি ৬৭ লাখ ৮০ হাজার টাকার। সেসব লেনদেন থেকে ডিএসইর আয় দাঁড়ায় ২৬০ কোটি ৯৪ লাখ ১৯ হাজার ৫০০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি অ্যাপসের লেনদেনে বছরে ডিএসইর আয় হয়েছিল ৫৬ হাজার ৩৭৯ টাকা।
বিনিয়োগকারী ও ব্রোকারদের অভিযোগ, একদিকে পুঁজিবাজারে মন্দা। অন্যদিকে বারবার বলার পরও মোবাইল অ্যাপসের সমস্যা সমাধান না হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা নিবন্ধন বাতিল করছেন। এখন নতুন করে প্রতিমাসে ১২৫ টাকা সার্ভিস চার্জ নির্ধারণের ফলে আগামীতে ব্যবহারকারীদের সংখ্যা আরও কমবে। সেই সঙ্গে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমবে। ফলে এ খাত থেকে ডিএসইর আয় কমবে, সরকারও ডিএসই থেকে রাজস্ব আয় কম পাবেন।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন বিনিয়োগকারী শহিদুল আলম। তিনি আইডিএলসি ব্রোকারেজ হাউজে লেনদেন করেন। ঢাকা পোস্টকে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ২০১৯ সালে আমি মোবাইল অ্যাপসটি খুলেছিলাম, কিন্তু ডিএসইর মোবাইল অ্যাপসটি ইউজার ফ্রেন্ডলি না। লগইন করতে সমস্যা হয়, লগইন করা হলেও শেয়ার সেল বাই অর্ডার দেওয়া অত্যন্ত কঠিন। শেয়ার কেনাবেচার আদেশ কার্যকর হওয়া খুব রেয়ার। বিষয়টি প্রথমে আমি হাউজের প্রধানকে জানিয়েছি, তারপর ডিএসইকে অবহিত করেছি। কিন্তু গত ৫ বছরেও অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি।
নাম না প্রকাশের শর্তে একজন ব্রোকার বলেন, ডিএসইর মোবাইল অ্যাপস ব্যবহারের অভিজ্ঞতা ভালো না। নতুন ভার্সনে প্রবেশ করা বা লগইন করতে প্রতি ৫ জনের মধ্যে সর্বনিম্ন ৩ জনের সমস্যা হয়। এটি বছরের পর বছর হচ্ছে। কিন্তু ডিএসই কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। সমস্যার কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারীও হতাশ। তারা ঘরে বসে লেনদেন করতে গিয়ে যে যন্ত্রণার মুখে পড়েন, সেটা সহ্য করতে না পেরে এখন মোবাইল অ্যাপসে লেনদেনই বাদ দিচ্ছেন।
সমস্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন মিডওয়ে সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশিকুর রহমান। তিনি বলেন, চারটি কারণে দেশের পুঁজিবাজারে মোবাইল অ্যাপসে লেনদেন জনপ্রিয় হয়নি। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে অ্যাপসটি ইউজার ফ্রেন্ডলি না। দ্বিতীয় হচ্ছে অ্যাপসে ঢুকে শেয়ার কেনাবেচার অর্ডার দিয়ে সমস্যায় পড়েন বিনিয়োগকারীরা। তৃতীয় হচ্ছে শুক্র ও শনিবার মোবাইল অ্যাপসে প্রবেশ নিষেধ। সপ্তাহে ৫দিন অ্যাপসে প্রবেশ করা যাবে কিন্তু ৫দিনই সকাল ৮টার পর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। এ সময় বাদে যদি কোনো বিনিয়োগকারী ভুলেও মোবাইল অ্যাপসে প্রবেশ করেন তবে তার নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, বছরের পর বছর এই সমস্যাগুলো সমাধান না করায় বিনিয়োগকারীরা হতাশ হয়ে মোবাইল অ্যাপসে লেনদেন করছেন না। এ অবস্থায় ডিএসই নতুন করে প্রতিমাসে যে সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ করেছে তাতে মোবাইলে লেনদেনকারীর সংখ্যা কমে যাবে।
আশিকুর রহমান বলেন, মোবাইলে লেনদেনের সুবিধার কারণে গত ৫ অর্থবছরে সর্বনিম্ন সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা থেকে ৪২ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে। যদি এ সুবিধা না থাকত এ অ্যামাউন্টের ৭০ শতাংশই লেনদেন হতো না। এতে করে ডিএসইর আয় কম হতো ২ হাজার কোটি টাকা। ডিএসইর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষের উচিত মোবাইল অ্যাপসটিকে জনপ্রিয় করা। এই মুহূর্তে নতুন করে কোনো চার্জ না নেওয়া। যদি নেয় মাসে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা নির্ধারণ করা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আল আমিন বলেন, দেশের পুঁজিবাজারকে বড় করতে হলে ডিএসইকে আরও প্রযুক্তি নির্ভর হতে হবে। বিনিয়োগকারীদের লেনদেনকে আরও সহজ করতে হবে। তাদের সুবিধা আরও বাড়াতে হবে। পুঁজিবাজারের এই বিশ্লেষক বলেন, ডিএসইর উচিত তাদের ব্যবসার বৃদ্ধির জন্য অনলাইনে লেনদেনের উপর গুরুত্ব দেওয়া। তারা যত বেশি অনলাইনের লেনদেনের ওপর গুরুত্ব দিবে তত ব্রোকারেজ হাউজে এসে বসে থেকে বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের যে প্রবণতা সেটা কমে আসবে। এতে একদিকে ব্রোকারেজ হাউজের খরচ কমবে, হাউজগুলোতে মুনাফাও বাড়বে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এই মন্দা বাজারে মোবাইল অ্যাপসের উপর চার্জ না বাড়িয়ে সমস্যাগুলো দূর করা উচিত।
এ বিষয়ে ডিএসইর চেয়ারম্যান হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেন, শুরু থেকেই মোবাইল অ্যাপস ব্যবহারকারীদের বিনা খরচে লেনদেনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা যাদের কাছ থেকে আইটি সাপোর্ট নিই, চুক্তি অনুসারে তাদেরকে ডলারে পেমেন্ট করতে হচ্ছে। তাদের ডলারে যে টাকা দিচ্ছি, সেই টাকায় প্রতি মাসে চার্জ নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ডিএসইর কোনো লাভ নেই। তারপরও দেখি চার্জ কমানো যায় কি না। নাম না প্রকাশের শর্তে ডিএসইর কর্মকর্তা বলেন, মোবাইল অ্যাপসে বেশ কিছু নিষ্ক্রিয় নিবন্ধন ছিল। তাদের বাদ দেওয়ার কারণে নিবন্ধনের সংখ্যা কমেছে। এখন যারা রয়েছে তারা প্রকৃত বিনিয়োগকারী।
মোবাইলে লেনদেন প্রক্রিয়ায় অ্যাপটির তিন ধরনের সংস্করণ রয়েছে। এর মধ্যে একটি ব্রোকার হাউজগুলোর জন্য, বাকি দু’টি বিনিয়োগকারীদের জন্য। বিনিয়োগকারীদের দুটি ভার্সনের মধ্যে একটি হচ্ছে ডিএসই-মোবাইল ভিআইপি। এটি দিয়ে সরাসরি লেনদেন করা যাবে না। বিনিয়োগকারী মোবাইলে শুধু তার পোর্টফোলিও দেখতে পারবেন। অন্যটি হচ্ছে ডিএসই-মোবাইল ট্রেডার। এ ভার্সন ব্যবহার করে বিনিয়োগকারী নিজে লেনদেন করতে পারবেন। তবে কোনো বিনিয়োগকারী বাজার দামের চেয়ে বেশি দামে ট্রেড অফার করলে ব্রোকারেজ হাউজের ট্রেডার সেই আদেশ বাতিল করতে পারেন।