টিউলিপকে নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে স্টারমারকে কটাক্ষ

বুধবার বিষয়টি পার্লামেন্টে তোলেন বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান কেমি বেইডনক। খবর দ্য টেলিগ্রাফের।

টিউলিপকে নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে স্টারমারকে কটাক্ষ

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: ব্যাপক চাপের মুখে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) পদত্যাগ করতে বাধ্য হন যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক। টিউলিপের পদত্যাগ ঘিরে পার্লামেন্টে কটাক্ষের মুখে পড়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। বুধবার বিষয়টি পার্লামেন্টে তোলেন বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান কেমি বেইডনক। খবর দ্য টেলিগ্রাফের।

তিনি বলেন, ‘শেয়ার বাজারে যখন অস্থিরতা চলছে তখন প্রধানমন্ত্রী সাবেক সিটি মিনিস্টারের বিরুদ্ধে ওঠা সমালোচনা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী গতকাল বলেন, তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু (টিউলিপ) পদত্যাগ করায় তিনি ব্যথিত। (তিনি এমন একজনের জন্য ব্যথিত) যিনি দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী ছিলেন, কিন্তু নিজেই এখন দুর্নীতির জন্য তদন্তের অধীন’। এ বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের দেয়া বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বেইডনক বলেন, ‘বাংলাদেশের (প্রধান) উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকা নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সাবেক সিটি মিনিস্টারকে উপহার দেওয়া লন্ডনের সম্পত্তি (ফ্ল্যাট) লুটপাটের অর্থে কেনা হতে পারে।’

এমন প্রশ্নের জবাবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্পিকার, সাবেক সিটি মিনিস্টার নিজেই তার বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান জানান। এতে জানা গেছে, তিনি মন্ত্রিত্বের কোনও নীতি ভঙ্গ করেননি। তার বিরুদ্ধে কোনও অসঙ্গতি পাওয়া যায়নি। তদন্তে তিনি পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন। গত সোমবার তিনি নিজের বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান জানান। আমি এক সপ্তাহ পর গতকাল এটির প্রতিবেদন পাই’। এরপর বিরোধী দলীয় নেত্রী স্টারমারকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘তিনি জেনেশুনে এক প্রতারককে যোগাযোগ সেক্রেটারি বানিয়েছিলেন। যিনি কয়েকদিন আগে পদত্যাগ করেছেন। মাত্র কয়েকদিন আগেও দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের ওপর তার পূর্ণ আস্থা ছিল। তিনিও লজ্জা নিয়ে গতকাল পদত্যাগ করেছেন’।