Ad0111

‘ছয় বছরে দেশ থেকে পাচার ৪ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা’

প্রতি বছর পাচার হয়েছে প্রায় ৭৪ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকা।

‘ছয় বছরে দেশ থেকে পাচার ৪ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা’
ফাইল ফটো

প্রথম নিউজ, ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যানশিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) হিসাব অনুসারে, ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত (২০১৪ সালের হিসাব বাদে) ৬ বছরে বাংলাদেশ থেকে ৪ হাজার ৯৬৫ কোটি ডলার পাচার হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় ছয় বছরের এই পাচারের পরিমাণ প্রায় ৪ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা।

এ হিসাবে উল্লিখিত সময়ে গড়ে প্রতি বছর পাচার হয়েছে প্রায় ৭৪ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০১৫ সালে পাচার হয়েছে ১ লাখ কোটি টাকার বেশি। তবে ২০১৫ সালের পর থেকে সংস্থার কাছে হিসাব দেওয়াই বন্ধ করেছে বাংলাদেশ। তাই বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পরিসংখ্যান পাওয়া গেলেও বাংলাদেশের গত ২০১৬ সাল থেকে তথ্য দিতে পারেনি জিএফআই। পণ্যমূল্যের প্রকৃত মূল্য ও ঘোষিত বা দেখানো মূল্যের তারতম্যের ভিত্তিতে জিএফআই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত জিএফআইয়ের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ২০১৪, ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালের তথ্য-উপাত্ত দেওয়া হয়নি। কারণ ২০১৫ সালের পর থেকে জিএফআইয়ের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের কোনো তথ্য নেই। তাই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তা ২০১৫ সালের আগের। ২০০৯ থেকে ২০১৫ সালের প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে অন্যসব দেশের যত আমদানি-রপ্তানি হয়, তাতে গড়ে ১৭ দশমিক ৩ শতাংশের মূল্য ঘোষণায় গরমিল থাকে।

জিএফআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাধারণত দুটি প্রক্রিয়ায় অর্থ পাচার হয়েছে। এর মধ্যে আছে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির মূল্য বেশি দেখানো (ওভার ইনভয়েসিং) এবং রপ্তানিতে মূল্য কম দেখানো (আন্ডার ইনভয়েসিং)। দুই প্রক্রিয়ায়ই বিদেশে অর্থ পাচার করা হয়। জিএফআইয়ের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের পর বাংলাদেশের ক্ষেত্রে মূল্য ঘোষণায় গরমিল দেখিয়ে অর্থ পাচারের পরিমাণ বেড়েছে। এর মধ্যে ২০১৫ সালে সর্বোচ্চ ১ হাজার ১৮৭ কোটি ১০ লাখ ডলার পাচার হয়েছে। ২০০৯ সালে যার পরিমাণ ছিল ৫২১ কোটি ২০ লাখ ডলার। এ ছাড়া ২০১০ সালে ৬৮৪ কোটি ডলার, ২০১১ সালে ৮৭৩ কোটি ডলার, ২০১২ সালে ৭৬৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার ও ২০১৩ সালে ৯৩৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার পাচার করা হয় বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। 

জিএফআইয়ের প্রতিবেদনে ১৩৪টি উদীয়মান ও উন্নয়নশীল দেশের গত ১০ বছরের (২০০৯-২০১৮) আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে মূল্য ঘোষণার গরমিল দেখিয়ে কীভাবে দেশ থেকে অর্থ পাচার হয়, সেই চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। সে হিসাবে উন্নয়নশীল এই ১৩৪ দেশ থেকে বাণিজ্যের আড়ালে এক দশমিক ছয় ট্রিলিয়ন বা ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি (১ ট্রিলিয়নে ১ লাখ কোটি) ডলার পাচার হয়েছে। আমদানি-রপ্তানিকারকরা পণ্য আমদানি-রপ্তানির সময় প্রকৃত মূল্য না দেখিয়ে কমবেশি দেখানোর মাধ্যমে অর্থ পাচার করে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ সময় সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার করা হয়েছে চীন থেকে। এরপরই আছে পোল্যান্ড, ভারত, রাশিয়া ও মালয়েশিয়া। 

প্রতিবেদনে ৩৬টি উন্নত দেশের সঙ্গে তুলনামূলক চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে। ২০১৮ সালে ১৩৪টি উন্নয়নশীল দেশ ও ৩৬টি উন্নত অর্থনীতির দেশের মধ্যে বাণিজ্যে ৮৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের ব্যবধান চিহ্নিত করা হয়েছে।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom

 

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow

This site uses cookies. By continuing to browse the site you are agreeing to our use of cookies & privacy Policy from www.prothom.news