ঘুরে দাঁড়ানোর সপ্তাহে দাপট দেখালো জেএমআই সিরিঞ্জস

 ঘুরে দাঁড়ানোর সপ্তাহে দাপট দেখালো জেএমআই সিরিঞ্জস

প্রথম নিউজ, ঢাকা : টানা দরপতন থেকে বেরিয়ে গত সপ্তাহে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে দেশের শেয়ারবাজার। সপ্তাহজুড়ে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে সবকটি মূল্য সূচক। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের গতি। ঘুরে দাঁড়ানোর এই সপ্তাহে শেয়ার দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি জেএমআই সিরিঞ্জস অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইস লিমিটেড।

গত সপ্তাহজুড়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২২৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৩টির। আর ৩৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৯৭ দশমিক ১৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

এসময় বিনিয়োগকারীদের একটি অংশের কাছে জেএমআই সিরিঞ্জসের শেয়ার আগ্রহের শীর্ষে চলে আসে। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দাম বাড়ার শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে এই কোম্পানিটি। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৪ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ।

টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩০ টাকা ৪০ পয়সা। এতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সম্মিলিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯১ কোটি ৩৭ লাখ ২ হাজার টাকা। এর মাধ্যমে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধনের তুলনায় এক সপ্তাহেই তিনগুণ বেশ দাম বেড়েছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ১৫৭ টাকা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ছিল ১২৬ টাকা ৬০ পয়সা।

শেয়ারের দামে এমন উত্থান হওয়া কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। এর আগে ২০২২ সালে ৩৬ শতাংশ বোনাস শেয়ার, ২০২১ সালে ৩০ শতাংশ নগদ, ২০২০ সালে ৩০ শতাংশ নগদ এবং ২০১৯ সালে ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত নয় মাসের ব্যবসায় শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৫০ পয়সা।

২০১৩ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি ৫ লাখ টাকা। আর শেয়ার সংখ্যা ৩ কোটি ৫৬ হাজার। এর মধ্যে ৭৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ শেয়ার আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৬ দশমিক ৯২ শতাংশ। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ শেয়ার আছে।

জেএমআই সিরিঞ্জসের পরেই গত সপ্তাহে দাম বাড়ার তালিকায় ছিল অ্যাপেক্স ট্যানারি। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ২২ দশমিক ৬৭ শতাংশ। ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ দাম বাড়ার মাধ্যমে পরের স্থানে রয়েছে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ।

এছাড়া গত সপ্তাহে দাম বাড়ার শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা- সিনো বাংলা ইন্ডাস্ট্রিজের ২২ দশমিক ৪৪ শতাংশ, সোনারগাঁও টেক্সটাইলের ২২ দশমিক ৩২ শতাংশ, ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোডের ২২ দশমিক ১২ শতাংশ, প্রগতী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২০ দশমিক ৬৭ শতাংশ, ম্যাক্সন স্পিনিংয়ের ২০ দশমিক ৩৫ শতাংশ, ফারইস্ট নিটিংয়ের ২০ শতাংশ এবং অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের ১৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ দাম বেড়েছে।