গায়েবি মামলার মতো গায়েবি জবানবন্দি নেওয়া হচ্ছে: যুবদল সভাপতি

আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

গায়েবি মামলার মতো গায়েবি জবানবন্দি নেওয়া হচ্ছে: যুবদল সভাপতি

প্রথম নিউজ, ঢাকা: রিমান্ডের নামে নির্যাতন করে, দিনের পর দিন গুম রেখে, অমানুষিক অত্যাচার করে বিএনপি নেতাকর্মীদের দিয়ে যেসব স্বীকারোক্তি আদায় করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করেছেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু।

তিনি বলেন, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সারাদেশে গায়েবি মামলার পর আদালতে গায়েবি বিচারের মতো এগুলোও গায়েবি স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি। যা জনগণ কখনোই বিশ্বাস করে না। 

আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

সম্প্রতি গ্রেপ্তারকৃত বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী নাশকতার ঘটনায় সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুকে জড়িয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এর মধ্যে গাজীপুরে ট্রেন লাইন কাটার ঘটনায় আটক ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি ইখতিয়ার রহমান কবির তার জবানবন্দিতে টুকুর ইন্ধনে এ কাজ করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন গোয়েন্দা পুলিশ। তবে বিএনপির দাবি, ইখতিয়ার রহমান কবিরকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করার পর চারদিন নিখোঁজ রেখে অকথ্য নির্যাতন করে এই স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছে। 

সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু বলেন, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক, কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক থেকে এখন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘ ৩৬ বছরের রাজনৈতিক জীবনে অন্যায়ের কাছে নতি স্বীকার করেননি। সরকার মনে করেছে- নির্যাতন নিপীড়ন করে সরকার টিকে থাকতে পারবে। গুম করেছেন, হত্যা করেছেন, পঙ্গু করেছে। অসংখ্য নেতাকর্মীকে শহীদ করা হয়েছে। অনেককে গ্রেপ্তার করে মিথ্যা মামলায় অমানুষিক নির্যাতন করে মিথ্যা জবানবন্দী নিচ্ছেন। গায়েবি মামলা, গায়েবি সাজা দেওয়ার মতো গায়েবি জবানবন্দী নিয়ে কখনো পার পাওয়া যাবে না। মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। 

তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। রাষ্ট্র শক্তি ব্যবহার করে মনে করেছেন- অন্যায়ভাবে এই আন্দোলনকে দমন করবেন। কিন্তু মানুষ আর বোকার স্বর্গে বাস করছে না। মানুষ ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন দেখতে চায় না। এই সরকার ডামি নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছে। ইতিমধ্যে এই নির্বাচন ড্যাম (ধ্বংস) হয়ে গেছে মানুষের কাছে। কারন মানুষ মনে করছে- নির্বাচনের নামে পিঠা ভাগাভাগি করতে গণভবনে বসে নির্বাচনের আসন বন্টন করা হচ্ছে। কি নির্লজ্জভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে কাজ করছে এই বিশ্ব বেহায়া সরকার। 

টুকু বলেন, মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। দেশের ৬ কোটি ভোটার যারা ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ভোট দিতে পারে নাই, সেই ভোটারদের ভোট নিশ্চিত করতে এদেশের তরুণ, ছাত্র ও যুব সমাজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তাদের দাবি একটিই- এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটিয়ে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরাপদে ভোট দিতে চান। সেই আন্দোলনের নেতৃত্বে আছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেখানে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে, মিথ্যা জবানবন্দী নিয়ে কখনো রাজপথ থেকে সরিয়ে রাখা যাবে না। সরকার মনে করেছে, ভয়ে ভীত হয়ে আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াবো। সেটা কখনো হবে না। 

দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু বলেন, আসুন সবাই- সকল অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াই। সত্যের জয় একদিন হবেই, মিথ্যা পরাজিত হবেই। যারা অন্যায় করছেন তাদের বিচার একদিন বাংলার মাটিতে হবেই। জয় অনীবার্য। এই বিজয়কে কেউ রুখতে পারবে না। বাংলাদেশের মানুষ কখনো অন্যায়ের কাছে মাথানত করে নাই। এই অন্যায়ের কাছেও মাথানত করবে না। সকলে আগামীদিনে সকল ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে সকল নির্যাতন নিপীড়ন উপেক্ষা করে বাংলাদেশে রাস্তায় নেমে আসুন।