গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে’

গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে’

প্রথম নিউজ, ঢাকা : বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমি চাই, গঠনমূলক আলোচনা হোক। আমাদের গ্যাস লাগবে। সমালোচনা রয়েছে, বিতরণ কোম্পানি টাকা নেয়, গ্যাস দেয় না। বিতরণ কোম্পানিগুলোকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। চুক্তি থাকবে, গ্যাস না-দিলে টাকা দিতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ কি শুধু টেকনোলজি! টেকনোলজির সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন, কোয়ালিটি জ্বালানিও স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ।’

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) পেট্রোবাংলায় এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২০২৮ সালের মধ্যে ১০০ কূপ খনন করতে চান ভালো কথা, কোনটি কখন করতে চান, টাইমলাইন থাকতে হবে। সাফল্য দেখে মূল্যায়ন করা হবে। সাফল্য জিরো, আপনিও জিরো। যিনি কাজ পারবেন না, তাকে বাদ দেওয়া হবে। বক্স থেকে বের হয়ে আসতে হবে। কেউ কাউকে জায়গা ছাড়তে চায় না। বাপেক্স ১০০ বছর ধরে কাজ করবে। তার জন্য ফেলে রাখতে হবে। বাপেক্সের একটি প্রতিযোগী থাকা উচিত।’

তিনি একটি ঘটনার রেফারেন্স টেনে বলেন, ‘যারা বাইরে আছেন, তাদের সবাইকে সঙ্গে রাখতে হবে। ৮০ সালে ২ডি করা হয়েছে। ৩৯ বছর পরে ৩ডি, তাহলে এতদিন কেন বসে থাকলেন! জ্বালানিতে যারা ছিলেন, তারা টেকনিক্যাল পার্সন। তারা বলতেন, সম্ভাবনা নেই। আর সমালোচনা নয়। আসুন, একসঙ্গে দেশের জন্য কাজ করি।’

তিনি বলেন, রিজার্ভ কমে আসায় দেশীয় গ্যাস ফিল্ডের উৎপাদন কমতে শুরু করেছে। ২-৩ বছর কমবে আবার বাড়বে। কীভাবে ঘাটতি সামাল দেবো, তার পরিকল্পনা থাকতে হবে। ৪৮ কূপ খনন প্রকল্পের মাধ্যমে আগামী দুই বছরে ৫০০ এমএমসিএফডি গ্যাস পাবো। কিন্তু দুই বছরে চাহিদা কত হবে, দুই হাজার এমএমসিএফডি বাড়বে।

বক্তব্যে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চালিকাশক্তি হচ্ছে- গ্যাস। আমাদের চাহিদা ও সরবরাহে ঘাটতির কারণে সমালোচনা হচ্ছে। সে কারণে আজ সবাইকে ডাকা হয়েছে, কী করে দেশীয় উৎস থেকে গ্যাস উৎপাদন বাড়ানো যায়।

তিনি বলেন, চলমান ৪৮টি কূপ খননের পাশাপাশি আরও ১০০টি কূপ খনন করবো ২০২৮ সালের মধ্যে। সে বিষয়ে আপনাদের মূল্যবান মতামত জরুরি। আমরা দ্রুত সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের দরপত্র আহ্বান করতে প্রস্তুত হয়েছি।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম ও পেট্রোবাংলার জেনারেল ম্যানেজার (রিজার্ভ এবং ডাটা ম্যানেজমেন্ট) মেহেরুল হাসান।