‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন’

‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন’

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক:  গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আজও নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজনেরা। তারা বলছেন, নির্ভয়ে সত্য প্রকাশ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। সাংবাদিকদের আইনি সুরক্ষা ও অনলাইন হয়রানির মতো বিষয়গুলো সংবাদ পরিবেশনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। 

এমন পরিস্থিতিতে সঠিক তথ্য প্রকাশে গণমাধ্যমের ভূমিকাকে যেমন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, তেমনি সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীল কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তাও বাড়ছে।

রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘সাংবাদিকতা, জেন্ডার ও পরিবেশ : টেকসই ভবিষ্যতের পথে মুক্ত গণমাধ্যম’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। একশনএইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় বিটনিক আয়োজিত সভার প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘গণমাধ্যমের মুক্তি, গণতন্ত্রের শক্তি’ ও ‘তথ্য হোক সত্য গণমাধ্যম চাই মুক্ত’।

একশনএইড বাংলাদেশের উইমেন রাইটস অ্যান্ড জেন্ডার ইকুইটি টিমের লিড মরিয়ম নেসার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রোবায়েত ফেরদৌস, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. উপাল আদিত্য ঐক্য, দৈনিক কালের কণ্ঠের নিখিল চন্দ্র ভদ্র, দৈনিক ইত্তেফাকের রাবেয়া বেবী, চ্যানেল ২৪-এর শামীমা সুলতানা, ঢাকা ট্রিবিউনের শামীমা রিতা, একশনএইড বাংলাদেশের সুশীল প্রজেক্টের ম্যানেজার মৌসুমী বিশ্বাস প্রমূখ।

সভায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি এবং শিক্ষাবিদরা দেশের ক্রমবর্ধমান গণমাধ্যম জগতের গুরুত্বপূর্ণ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। দেশের সাংবাদিকতা, জেন্ডার সমতা এবং পরিবেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সংযোগের ওপর জোর দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ভুল তথ্যের বিস্তার, ফ্যাক্ট-চেকিংয়ের গুরুত্ব এবং গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তার জরুরি প্রয়োজন নিয়েও আলোচনা হয়। 

সভায় বক্তারা তথ্য যাচাই-বাছাই করে প্রকাশ, নারী সাংবাদিকদের নিরাপত্তা, অনলাইন হয়রানি প্রতিরোধ এবং সাংবাদিকদের ডিজিটাল নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নের বিষয়ে সুপারিশ তুলে ধরেন।
গণমাধ্যমের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেন। সাংবাদিক সম্প্রদায়ের মধ্যে স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

বক্তারা বলেন, মুক্ত গণমাধ্যম একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার ভিত্তি। তাই তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদনে সিএসও এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে গণমাধ্যমের সহযোগিতা জরুরি। এই সম্মিলিত উদ্যোগ সরকার ও প্রশাসনে স্বচ্ছতা-দায়বদ্ধতা বাড়াতে সহায়ক।
বক্তারা নারী সাংবাদিকদের বেতন বৈষম্য, মানসিক চাপ ও হয়রানির মতো সংবেদনশীল বিষয়গুলোর প্রতিবেদন করার ক্ষেত্রে দিকনির্দেশনার অভাবের কথা তুলে ধরেন।

মতবিনিময় সভার আগে মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে একটি শান্তিপূর্ণ র‌্যালি বের হয়। যা সিরডাপে পৌঁছে সমাপ্ত হয়।