এশিয়ায় কোভিড বৃদ্ধি, শেয়ারবাজারে দাপটে ঔষধ ও টেস্ট কিট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান

এশিয়ায় কোভিড বৃদ্ধি, শেয়ারবাজারে দাপটে ঔষধ ও টেস্ট কিট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান

প্রথম নিউজ, অনলাইন:এশিয়াজুড়ে কভিড-১৯ সংক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করেছে। ফলে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও হংকংয়ের স্বাস্থ্য ও ওষুধ কম্পানিগুলোর শেয়ারমূল্য সোমবার উল্কার গতিতে বেড়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার ডায়াগনস্টিক কিট নির্মাতা সুজেনটেক ইনকর্পোরেটেড সোমবার একদিনে সর্বোচ্চ ২৯শতাংশ পর্যন্ত শেয়ারমূল্য বৃদ্ধির রেকর্ড করেছে। একইভাবে, জাপানে কোভিড টিকা নির্মাতা দাইচি সানকিওর শেয়ারের দাম বেড়েছে ৭.৪ শতাংশ পর্যন্ত, ইউবিএস কর্তৃক টার্গেট প্রাইস বাড়ানোর পর।
হংকংয়ে, জুনশি বায়োসায়েন্সেস কোং (কভিড টিকা তৈরি করে)-এর শেয়ারের দাম বেড়েছে ৪.৩ শতাংশ পর্যন্ত।

ঘনবসতিপূর্ণ হংকং ও সিঙ্গাপুরে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ কভিড-১৯ এর হঠাৎ বেড়ে যাওয়া সংক্রমণ নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে। চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার তথ্যমতে, চীনে কভিডের চলমান ঢেউটি গত বছরের গ্রীষ্মকালীন সংক্রমণের উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে।

হংকংয়ের সেন্টার ফর হেলথ প্রোটেকশনের প্রধান এডউইন সুই বলেন, ‘সাধারণ জীবনযাত্রায় ফিরে আসার পর প্রতি ছয় থেকে নয় মাস অন্তর কভিড-১৯ এর নতুন তরঙ্গ দেখা যাচ্ছে।
আমাদের ধারণা, কভিডের সক্রিয়তা আগামী কয়েক সপ্তাহ উচ্চ মাত্রায় থাকবে।’

দক্ষিণ কোরিয়ার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা (কেডিসিএ) গত মাসে মৌসুমি কভিড টিকাদান কর্মসূচির মেয়াদ দুই মাস বাড়িয়ে জুন পর্যন্ত করেছে। ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে, অসুস্থ ব্যক্তি, হাসপাতালের রোগী এবং বৃদ্ধনিবাসে থাকা ব্যক্তিদের ফাইজার-বায়োনটেক এর জেএন.১ টিকা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

কেডিসিএ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘গত তিন বছর ধরে কভিড শুধু শীত নয়, গ্রীষ্মকালেও বেড়েছে।
তাই যত দ্রুত সম্ভব টিকাগ্রহণ করা উচিত, যাতে শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠার যথেষ্ট সময় পাওয়া যায়।’

কোরিয়ায় কভিড টেস্ট কিট প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান হুমাসিস কোং, ল্যাবজেনোমিক্স কোং, সিজিন ইনকর্পোরেটেড এবং এসডি বায়োসেন্সর ইনকর্পোরেটেড—সবকটির শেয়ারমূল্য সোমবার বেড়ে যায়। এ ছাড়া, কভিড টিকা নির্মাতা এসকে বায়োসায়েন্স কোং-এর শেয়ারও ৭.২শতাংশ পর্যন্ত লাফিয়ে ওঠে।

সিঙ্গাপুরভিত্তিক অলস্প্রিং গ্লোবাল ইনভেস্টমেন্টস-এর পোর্টফোলিও ম্যানেজার গ্যারি ট্যান বলেন, ‘কোরিয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল খাতের ছোট-মূলধনী কম্পানিগুলোর শেয়ারে এখনও ব্যক্তিগত বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণই মূল চালিকাশক্তি। তারা বেছে বেছে কিছু কম্পানিতে সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নতুন করে সংক্রমণ বাড়ায় টিকা ও টেস্ট কিট কম্পানিগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়বে এবং এই প্রবণতা কিছু সময় স্থায়ী হতে পারে।