এডিপি বাস্তবায়ন উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে
গত তিন অর্থবছরের মধ্যে সর্বনিম্ন্ন এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে এই সময়ে।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: গত (২০২২-২৩) অর্থবছরের একই সময়ে সংশোধিত এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল ৫০.৩৩ এবং তার আগের অর্থবছরে এ হার ছিল ৫৪.৫৭ শতাংশ। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। গত তিন অর্থবছরের মধ্যে সর্বনিম্ন্ন এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে এই সময়ে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) সংশোধিত এডিপি বরাদ্দের ৪৯.২৬ শতাংশ বা ১.২৫ লাখ কোটি টাকা ব্যয় করেছে সরকার।
গত (২০২২-২৩) অর্থবছরের একই সময়ে সংশোধিত এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল ৫০.৩৩ এবং তার আগের অর্থবছরে এ হার ছিল ৫৪.৫৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের জন্য বিভিন্ন সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নসহ সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ ছিল ২.৫৪ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো খরচ করতে পেরেছে মাত্র ১.২৫ লাখ কোটি টাকা। অর্থবছরেরর শেষ দুই মাসে বরাদ্দের বাকি অর্ধেক অর্থ ব্যয়ে চাপ থাকবে বলে জানান আইএমইডি’র কর্মকর্তারা।
পরিকল্পনা বিভাগের সাবেক এক কর্মকর্তা বলেন, সরকারের বাজেট ব্যয়ে অর্থবছরজুড়ে কর্মপরিকল্পনা ও ক্রয় পরিকল্পনা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এটি ফলো করেন না। এ কারণে আমাদের দেশে এখনও গতানুগতিভাবে এডিপি বাস্তবায়ন করা হয়। এবং দেখা যায় অর্থবছরের ৯-১০ মাসে অর্ধেকও অর্থ ব্যয় হয় না। শেষের দুই-তিন মাস এডিপি বরাদ্দে বড় অংশ ব্যয় করা হয় তড়িঘড়ি করে। তিনি বলেন, কর্মকর্তাদের দক্ষতায় ঘাটতি থাকলেও এডিপি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বড় সীমাবদ্ধতা হলো কর্মপরিকল্পনা ও ক্রয় পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়ন কাজ না করা।
গত ১৬ই মে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (এনইসি) সভায় জুলাই-এপ্রিল সময়ের এডিপি প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করা হয়। সভা শেষে আইএমইডি সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে এডিপি বাস্তবায়ন হার কম হলেও অর্থবছরের বাকি সময়ে বাস্তবায়নের গতি বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে অর্থবছরের শেষ দুই মাসে বাস্তবায়নে আরও তৎপরতা বাড়বে।