উত্তাল ভারত, সেনাবাহিনীতে নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রতিবাদে
শুক্রবার সকালে উত্তর প্রদেশ এবং বিহারে বিক্ষুব্ধ জনতা আবারও ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে
প্রথম নিউজ, ডেস্ক: ভারতে সেনাবাহিনীতে সদস্য নিয়োগের নতুন প্রক্রিয়া ‘অগ্নিপথের’ প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে উত্তর প্রদেশ, বিহার, হরিয়ানা, মধ্য প্রদেশ ও অন্যান্য স্থান। বৃহস্পতিবারই বিক্ষোভকারী জনতা বিহারে একটি ট্রেনের বগিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। রেল, সড়ক পথ অবরোধ করে। কিন্তু আজ শুক্রবার সকালে উত্তর প্রদেশ এবং বিহারে বিক্ষুব্ধ জনতা আবারও ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে ট্রেনে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। এতে আরও বলা হয়, বিহারের ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী রেনু দেবীর বিহারের পশ্চিম চামপাড়া জেলায় বেত্তিয়ার বাড়িতে হামলা করেছে জনতা। বর্তমানে পাটনায় অবস্থান করছেন রেনু দেবী। তিনি বলেছেন, এ ধরনের সহিংসতা সমাজের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। প্রতিবাদকারীদের এটা স্মরণ রাখা উচিত যে, এতে সমাজের ক্ষতি হয়।
এ ছাড়া বিহারে ট্রেনে আগুন দেয়া হয়েছে। বাসের জানালা ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন পথচারীরা। এর মধ্যে আছেন ক্ষমতাসীন বিজেপির একজন বিধায়কও। আজ শুক্রবার সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও রেল অবরোধ করেছে উত্তেজিত যুবকরা। বেগুমসারাই জেলায় একটি রেল স্টেশনে বিপুল জনসমাগত করেছেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে তারা অগ্নিসংযোগ করেছে। ইটপাথর নিক্ষেপ করেছে। জম্মু তাবি এক্সপ্রেস ট্রেনের দুটি কোচে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে সমাস্তিপুর জেলায়। এতে কেউ হতাহত হননি। লাখিসরাইয়ে বিজেপির একটি অফিসে হামলা হয়েছে।
উত্তর প্রদেশে বাল্লিয়াতে একটি রেল স্টেশনে প্রবেশ করে উত্তেজিত জনতা। সেখানে একটি ট্রেনের একটি কোচে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। এ সময় স্টেশনের সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি হয়। পুলিশ শক্তি প্রয়োগ করে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। উত্তর প্রদেশের পূর্বাঞ্চলীয় আরেকটি স্টেশনের বাইরে পুলিশের সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থান নেয় লাঠি হাতে প্রতিবাদী জনতা। তারা দোকানপাট ভাঙচুর করে।
বিহার ও উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন অংশে প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়েছে। বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশ ও হরিয়ানায়ও এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে ২৪ ঘন্টার জন্য মোবাইল ফোন ইন্টারনেট ও এসএমএস সুবিধা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সরকার সেনাবাহিনীতে নতুন সদস্য নিয়োগের প্রক্রিয়া ‘অগ্নিপথ’ ঘোষণা করে। এতে যাদেরকে নেয়া হবে তাদের চাকরির মেয়াদ হবে মাত্র চার বছর। তারপর তাদের মধ্য থেকে চার ভাগের মাত্র একভাগকে দীর্ঘমেয়াদে রেখে দেয়ার কথা বলা হয়। নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমাও বেঁধে দেয়া হয়। এর প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে বিভিন্ন এলাকা।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews