ইউক্রেনে আবারও রাশিয়ার মিসাইল ও ড্রোন হামলা, দেশজুড়ে লোডশেডিং

ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ এবং দেশটির গণমাধ্যমগুলো অভিযোগ করেছে, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো টার্গেট করে এই হামলা চালিয়েছে মস্কো।

ইউক্রেনে আবারও রাশিয়ার মিসাইল ও ড্রোন হামলা, দেশজুড়ে লোডশেডিং
ইউক্রেনে আবারও রাশিয়ার মিসাইল ও ড্রোন হামলা, দেশজুড়ে লোডশেডিং

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক : ইউক্রেনজুড়ে আবারও মিসাইল হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। মিসাইলের পাশাপাশি চলেছে ড্রোন হামলাও। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ এবং দেশটির গণমাধ্যমগুলো অভিযোগ করেছে, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো টার্গেট করে এই হামলা চালিয়েছে মস্কো। হামলার পর দেশটির বিভিন্ন অংশে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।  আরটি জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল থেকে এই হামলা শুরু হয়। এরপর একে একে ইউক্রেনের সব ক’টি অঞ্চলেই সতর্ক সাইরেন বেজে ওঠে। ইউক্রেন দাবি করেছে, তারা মোট পাঁচটি রুশ মিসাইল এবং পাঁচটি কামিকাজি সুইসাইড ড্রোন ধ্বংস করেছে। ইউক্রেনের সেনাপ্রধান ভ্যালেরি জালুঝনি দাবি করেছেন, কৃষ্ণ সাগর থেকে দুটি ক্যালিবার মিসাইল ইউক্রেনের আকাশসীমায় প্রবেশ করে। এই মিসাইল দুটি রোমানিয়া এবং মলদোভার আকাশসীমাও লঙ্ঘণ করেছে বলে অভিযোগ তার। 

মলদোভার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও জানিয়েছে, তারা এমন একটি উড়ন্ত মিসাইল শনাক্ত করেছে যা তাদের আকাশসীমা দিয়ে ইউক্রেনের দিকে ছুটে গেছে। রাশিয়ার এমন আচরণের নিন্দা জানিয়েছে দেশটি। দেশটিতে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে মন্ত্রণালয় থেকে। তবে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এখনও এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। ইউক্রেনের এনার্জি অপারেটর ইউক্রেনগো জানিয়েছে, দেশের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যুৎকেন্দ্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ওভারলোড হয়ে যাতে পাওয়ার গ্রিড বিপর্যয় না হয় তার জন্য দেশব্যাপী লোডশেডিং দেখা দিচ্ছে। ইউক্রেনের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ উক্রালিজনিতসিয়া জানিয়েছে, লোডশেডিং এর কারণে তাদের বেশ কয়েকটি ট্রেন ছাড়তে দেরি হয়েছে। অনেক ট্রেনই ডিজেল ইঞ্জিন দিয়ে চলতে বাধ্য হচ্ছে। 

রাশিয়ার হামলার পর কিয়েভের মেয়র মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানান। কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকোর মতে, রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ একটি গাড়ি এবং একটি ভবনের ছাদকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। খারকভ অঞ্চলের প্রধান ইগর তেরেখভ জানান, শহরটির বেশ কয়েকটি শিল্প অবকাঠামোতে রুশ মিসাইল আঘাত হেনেছে। হামলার ফলে শহরের বাসিন্দারা লোডশেডিং এবং পানি সংকটে ভুগতে পারেন বলে সতর্ক করেছেন তিনি। 

রাশিয়ান সামরিক বাহিনী গত বছরের অক্টোবর থেকে ইউক্রেনের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব হামলায় ইউক্রেনের সামরিক সক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে বলে মনে করে রাশিয়া। ক্রাইমিয়া সেতুতে গত বছরের শেষ দিকে একটি ভয়াবহ ট্রাক বোমা হামলা হয়। এই সেতুই রাশিয়ার ক্রাইমিয়া অঞ্চলকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করেছে। ওই হামলার পরই ইউক্রেনে মিসাইল ও ড্রোন হামলা শুরু করে মস্কো। সেই ধারাবাহিকতায়ই শুক্রবারও মিসাইল হামলা হলো।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: