আইসিইউতে সংগীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়
![আইসিইউতে সংগীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়](https://prothom.news/uploads/images/2025/02/image_750x_67aaf6ca86d5a.jpg)
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় গুরুতর অসুস্থ। কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি আছেন তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দ বাজার অনলাইনে এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতুলের শারীরিক অবস্থা এখনও স্থিতিশীল নয়। চিকিৎসকেরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে
(আইসিইউ) রেখেছেন।
এদিকে তার পাশে আছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। গতকাল সোমবার তার শারীরিক অবস্থার বিস্তারিত খোঁজ নিচ্ছেন। রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও ইন্দ্রনীল সেনকে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন সংগীতশিল্পীর
খবর নিতে।
এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি এসএসকেএম হাসপাতালে অসুস্থ সংগীতশিল্পীকে দেখতে যান মমতা। হাসপাতালে গিয়ে সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেছিলেন তিনি। তার গলায় আমি ‘বাংলার গান গাই’ গানটিও শোনেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের খুব জনপ্রিয় হওয়া গানের মধ্যে অন্যতম ‘আমি বাংলায় গান গাই’। এই একটি গানের জন্য বাঙালির অন্তরের অনেকটা জায়গা দখল করে আছেন তিনি। বাংলা চলচ্চিত্র ‘গোঁসাইবাগানের ভূত’-এ প্লেব্যাক করেছেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়। তার অ্যালবামগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘পাথরে পাথরে নাচে আগুন’ (১৯৮৮), ‘যেতে হবে’ (১৯৯৪), ‘ওঠো হে’ (১৯৯৪), ‘কুট্টুস কাট্টুস’ (১৯৯৭), ‘স্বপ্নের ফেরিওয়ালা’ (২০০০), ‘তোমাকে দেখেছিলাম’ (২০০০), ‘স্বপনপুরে’ (২০০২), ‘অনেক নতুন বন্ধু হোক’ (২০০৪), ‘হযবরল’ (২০০৪), ‘দুই কানুর উপাখ্যান’ (২০০৫), ‘আঁধার নামে’ (২০০৭)। বাংলাদেশে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন থেকে প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের একটি অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ২০১১ সালের মার্চে। অ্যালবামটির নাম ‘আমি বাংলায় গান গাই’। প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে তৈরি হয়েছে তথ্যচিত্র—অন্বেষণ প্রযোজিত ও মানস ভৌমিক পরিচালিত ‘প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের গান’ এবং সমকালীন চলচ্চিত্র প্রযোজিত ‘ডিঙা ভাসাও’।