২৪ ঘণ্টায় বিদ্যুৎ মিলছে ৫-৬ ঘণ্টা, অতিষ্ঠ জনজীবন

পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির অফিসের কর্মকর্তারা বলছে, চাহিদার তুলনায় অর্ধেকেরও কম সরবাহ থাকায় বেড়েছে লোডশেডিং। 

২৪ ঘণ্টায় বিদ্যুৎ মিলছে ৫-৬ ঘণ্টা, অতিষ্ঠ জনজীবন

প্রথম নিউজ, জামালপুর: গরমে ও বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় দিনরাত ২৪ ঘণ্টায় ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ মিলছে। জেলা শহরের চেয়ে গ্রামাঞ্চলের লোডশেডিংয়ে অবস্থা ভয়াবহ। তবে পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির অফিসের কর্মকর্তারা বলছে, চাহিদার তুলনায় অর্ধেকেরও কম সরবাহ থাকায় বেড়েছে লোডশেডিং। 

মেলান্দহ পল্লি বিদ্যুৎ সাব জোনাল অফিস ও ফুলকোচা সাব জোনাল অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় প্রায় ৮৬ হাজার আবাসিক, বাণিজ্যিক, সেচ ও শিল্প গ্রাহক রয়েছে। মেলান্দহ সাব জোনাল অফিসের আওতায় গ্রাহকের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রতিদিন ১৭ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু পাওয়া যায় ৫ থেকে ৬ মেগাওয়াট যা চাহিদার তুলনায় প্রায় অর্ধেক। এদিকে উপজেলার ফুলকোচা সাব জোনাল অফিসের বিদ্যুতের চাহিদা ১০ মেগাওয়াট। কিন্তু পাওয়া যায় ৩ থেকে ৪ মেগাওয়াট।

পল্লি বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অভিযোগ,'গত ১৫ থেকে ২০ দিন ধরে দিনরাত ২৪ ঘন্টায় ৫-৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকছে। বিশেষ করে রাতে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। সারাদিনে দুই তিন ঘন্টা থাকে বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।  জামালপুরে গতকাল বৃহস্পতিবার ৩৩ থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করে। একদিকে তীব্র গরম, অন্যদিকে ঘন ঘন লোডশেডিং। সব মিলিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন।

হাজরাবাড়ী পৌরসভার বাসিন্দা রাশেদুল ইসলাম হানি বলেন, বিশেষ করে রাতের বেলায় বিদ্যুৎ পাওয়ায় যাচ্ছে না। গরমে বিদ্যুতের না থাকায় গা ঘেমে লোকজন সর্দি-জ্বর, কাশিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। দীর্ঘ সময় পরপর বিদ্যুৎ আসার কারণে ফ্রিজে রাখা খাদ্যসামগ্রী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

ছবিলাপুর এলাকায় বাসিন্দা আলম মিয়া বলেন, কারেন্ট থাকছেই না। সময় মতো কোনো কাজই করতে পারছি না কারেন্ট না থাকায়। একবার কারেন্ট চলে গেলে ৪-৫ ঘণ্টার মধ্যে আর কারেন্ট আসার খবর থাকে না। কারেন্ট সর্বোচ্চ এক টানা ৩০-৪০ মিনিট থাকে। ঠিকমতো কারেন্ট না থাকায় ধানখেতে পানিও দেওয়া যাচ্ছে না।

মেলান্দহ পৌরসভার বাসিন্দা মামুন মিয়া বলেন, গরম ও লোডশেডিংয়ে জীবন প্রায় শেষ। আজ যে রোদ, সকাল থেকেই কারেন্ট নেই এখন পর্যন্ত। কারেন্ট এগারোটা দিকে আসলে ঘন্টাখানেকের মত থাকবে পরে আবার চলে যাবে আর সারাদিনের মধ্যে খোঁজ পাওয়া যাবে না।

মেলান্দহ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. নুরুল আমিন বলেন, গরমে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেছে। আমাদের চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে অর্ধেকের ও কম। তাই লোডশেডিং করতে হচ্ছে।