১৬ সপ্তাহে ১৫৬১ বিরোধী নেতাকর্মীর সাজা

হাফিজ আলতাফের কারাদণ্ড

১৬ সপ্তাহে ১৫৬১ বিরোধী নেতাকর্মীর সাজা

প্রথম নিউজ, অনলাইন: ২০১১ সালে রাজধানীর গুলশান থানায় দায়ের করা নাশকতার মামলায় বিএনপি’র দুই ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও মেজর (অব.) মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ ৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত এ কারাদণ্ড দেন। এ নিয়ে গত ১৬ সপ্তাহে বিএনপি’র  ১৫৬১ জন নেতাকর্মীকে সাজা দিয়েছেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও মেজর (অব.) মো. হানিফকে দণ্ডবিধির আলাদা দুই ধারায় মোট ২১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। অন্যদিকে আসামি এমএ আউয়াল খান, মো. রাসেল, মঈনুল ইসলাম, বাবুল হোসেন ওরফে বাবু ও আলমগীর বিশ্বাস ওরফে রাজুকে দণ্ডবিধির আলাদা দুই ধারায় মোট ৪২ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও প্রত্যেকের ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি ১১ আসামিকে খালাস দেয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু জানান, অভিযোগে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় ১১ আসামিকে খালাস দিয়েছেন বিচারক। বিএনপি’র আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল মানবজমিনকে বলেন, গত ১৬ সপ্তাহে আদালত বিএনপি’র ১৫৬১ জন নেতাকর্মীকে সাজা দিয়েছে। দ্রুত সাজা দিতে রাত অবধি মামলার শুনানি করা হয়েছে। এমনকি যেসব নেতাকর্মীর সাজা হয়েছে, সেসব মামলায় রায়ের নকল পর্যন্ত পাচ্ছি না। যে কারণে আমরা আপিল করতে পারছি না। খালাস পাওয়া ১১ জন হলেন- এমএ কাউয়ুম, মো. দুলাল, তোফায়েল আহম্মেদ ওরফে লিটন, জাহাঙ্গীর শিকদার ওরফে বাবু, আরিফুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন, সামসুল হক মিয়াজী, বিপ্লব, খুরশিদ আলম মমতাজ, মোশারফ হোসেন ও মাহাবুব।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ৪ঠা জুন সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে গুলশান থানাধীন মহাখালী ওয়্যারলেস গেট পানির ট্যাঙ্কির সামনের রাস্তার ওপর অবৈধ সমাবেশ থেকে পুলিশের কাজে বাধা এবং আক্রমণ করেন আসামিরা। এ ছাড়া, রাস্তায় চলাচলরত গাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেন। তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৯শে এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার। পরবর্তী সময়ে ২০২২ সালের ২৫শে এপ্রিল এ মামালায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালীন ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।