১৫ বছরে দেড় লাখ মামলা বিএনপির ৫০ লাখ নেতাকর্মী আসামি

মামলা-আসামির সংখ্যা অসত্য বলছেন আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী * সরকার মামলাকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে -আমির খসরু

১৫ বছরে দেড় লাখ মামলা বিএনপির ৫০ লাখ নেতাকর্মী আসামি

প্রথম নিউজ, ঢাকা: দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। পেরিয়েছে নানা চড়াই-উতরাই। এই সময়ে নেতাকর্মীদের কেউ কেউ হারিয়েছেন প্রাণ। কেউবা হয়েছেন পঙ্গু। কারও পরিবার সব হারিয়ে নিঃস্ব। এখনো বন্দি প্রায় এক হাজার নেতাকর্মী। অনেকে সাজা ও পরোয়ানা মাথায় নিয়ে ফেরারি জীবন-যাপন করছেন।

এক-এগারোসহ পরবর্তী সময়ের মামলার ভারে ন্যুব্জ এখন বিএনপি। দলটির দাবি, গত ১৫ বছরে প্রায় দেড় লাখ মামলায় আসামি হয়েছেন ৫০ লাখেরও বেশি। জামিন ও হাজিরা নিয়ে আদালতপাড়ায় নিয়মিতই দৌড়াচ্ছেন তারা। বিভিন্ন মামলায় সাজা হয়েছে দেড় হাজারের মতো নেতাকর্মীর।

এসব নিয়ে দলটির নীতিনির্ধারকরাও উদ্বিগ্ন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশে সুশাসনের স্বার্থে এসব মামলার সুরাহা হওয়া দরকার। বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক  বলেন, বিএনপি ৫০ লাখ আসামির কথা বললেও সেটি মোটেও সত্য নয়।

তিনি বলেন, ‘অপরাধ করলে নেতাকর্মী বড় কথা নয়, অপরাধ করলে তাদের সাজা হয়। ১৫ বছরে উনারা জ্বালাও-পোড়াও, অগ্নিসন্ত্রাস করেছে কিনা আপনাদের জানা আছে। এটার জবাব আমি এক সময় দেব, খোঁজ করে নেই। আমার মনে হয় এটার জবাব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। কারণ পুলিশ তো মামলা করে। কোর্ট বিচার করে। আমি যেটা জানি, সেটি হচ্ছে কোর্ট সাক্ষী-প্রমাণ নিয়ে, যাদের সাজা দেওয়ার সেটাই দেয়। সুষ্ঠু বিচার যদি উনারা (বিএনপি নেতা) না পান বলুক, যে সুষ্ঠু বিচার পাই না। উনারা আপিল করতে পারেন, আপিলে না টিকলে তখন দেখুক। কোর্টের বাহিরে তো এসব বলে লাভ নেই।’

বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দেড় লাখ মামলায় ৫০ লাখ আসামির সংখ্যা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল শুক্রবার রাতে যুগান্তরের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘আমি এই উদ্ভট কাহিনী প্রথম শুনলাম। তারা (বিএনপি) তো বলেই ৫০ লাখ, মামলার নাম্বার দিতে বলেন। আমি বলব এটি অসত্য কথা। এসব মামলাকে ‘গায়েবি’ দাবি করে বিএনপি নেতারা বলছেন, সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতেই এই ‘গায়েবি’ মামলাকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে।

দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘শেখ হাসিনা (প্রধানমন্ত্রী) ক্ষমতায় থাকার একমাত্র অবলম্বন মামলা। তাকে ক্ষমতায় থাকতে হলে মামলা ছাড়া সুযোগ নেই। এটি তার রাজনৈতিক অস্ত্র। রাষ্ট্র তাদের নিয়ন্ত্রণে, বিচার বিভাগও নিয়ন্ত্রণে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে ধ্বংস করার জন্য এত মামলা দিয়েছে সরকার।’

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার মনে করেন, ‘রাজনীতিতে দমন-পীড়নের জন্যই এত মামলা। এসব মামলার মধ্যে গায়েবিও রয়েছে। এগুলো তদন্ত করে শুধু উঠিয়ে নেওয়া নয়, যারা এসব মামলা দিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

বিএনপির তথ্যমতে, মামলার বাইরেও এই সময়ে দলটির ১ হাজার ৫৭৪ জন নেতাকর্মী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে প্রাণ হারিয়েছেন ৭৯৯ জন। এখনো গুম রয়েছেন ৭২ জন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের তথ্যমতে-আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সাল থেকে গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে এক লাখ ৪১ হাজার ৬৩৩টি মামলায় আসামি করা হয়েছে ৪৯ লাখ ২৬ হাজার ৪৯২ জনকে।

এর মধ্যে রাজশাহী বিভাগে ১১ হাজার ৪৬১টি মামলায় আসামি হয়েছেন ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৫৬৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩ হাজার ৪৮২টি মামলায় ৩ লাখ ৭২ হাজার ৬৩৫ জন। কুমিল্লা বিভাগে ৬ হাজার ২৬৫টি মামলায় ১ লাখ ১৫ হাজার ১৯৯ জন, রংপুর বিভাগে ৯ হাজার ৭০৪টি মামলায় ৩ লাখ ৮১ হাজার ৪৭১ জন, ঢাকা বিভাগে ১৫ হাজার ৭৯টি মামলায় ৬ লাখ ৬১ হাজার ৫৫৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৬ হাজার ৩৯৪টি মামলায় ২ লাখ ৫১ হাজার ১১৭ জন।

বরিশাল বিভাগে ৮ হাজার ৬৬২টি মামলায় ৩ লাখ ৩ হাজার ৫২১ জন, খুলনা বিভাগে ২৬ হাজার ৮৭১টি মামলায় ৯ লাখ ৬৫ হাজার ১৭৩ জন, সিলেট বিভাগে ৮ হাজার ৪৩৪টি মামলায় ২ লাখ ২১ হাজার ৭৪৪ জন ও সব মহানগরে ৩৫ হাজার ২৮৪টি মামলায় ৮ লাখ ৯০ হাজার ৫১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি আসামি করা হয়েছে খুলনা বিভাগে।

দপ্তরের তথ্যমতে, ২৮ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ১৭ মার্চ পর্যন্ত দশ সাংগঠনিক বিভাগে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ১ হাজার ৬৪৫টির অধিক। আসামি হয়েছেন ৮০ হাজারের অধিক নেতাকর্মী। বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ গ্রেফতার হয়েছেন ২৫ হাজার ৭১১ জনের বেশি। গত ২ মাসে তাদের অনেকে জামিনে মুক্ত হয়েছেন। কারাগারে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের।

২৮ অক্টোবর পরবর্তী বিএনপির সাংগঠনিক বিভাগে মামলার তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা যায়, রাজশাহী বিভাগে মামলা হয়েছে ২৫৩টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০৪টি, কুমিল্লা বিভাগে ১২১টি, রংপুর বিভাগে ১৩৭টি, ঢাকা বিভাগে ৪১২টি, ফরিদপুর বিভাগে ৩৭টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ১১১টি, বরিশাল বিভাগে ৭৪টি, খুলনা বিভাগে ১৪১টি এবং সিলেট বিভাগে ১৫৫টি। সবচেয়ে বেশি গ্রেফতার রয়েছে রাজশাহী বিভাগে।

আইনজীবীদের দাবি, এসব মামলায় যেসব নেতাকর্মী কারাগারে গেছেন তাদের প্রায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ জামিন পেয়েছেন।

তবে বিএনপির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মামলা ও আসামির সংখ্যা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে বিভিন্ন জেলার পুলিশ প্রশাসন। ১৫ বছরে ভোলা জেলায় দেড় হাজার মামলায় প্রায় ৫০ হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে বিএনপির এমন দাবি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. মামুন অর রশিদ যুগান্তরকে জানান, ‘এ অভিযোগ সত্য নয়। দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে কোনো মামলা হয়নি বা কাউকে আসামিও করা হয়নি। যারা নাশকতা ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়ে থাকে। জেলায় ৫০ হাজার আসামি এটিও সঠিক নয়।

তবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রিপন চন্দ্র সরকার বলেন, প্রতি মাসে কত মামলা হয় তার হিসাব জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় প্রকাশ করা হয়। যার কপি বিভিন্ন সংস্থার প্রধানদের দেওয়া হয়।

অবশ্য খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান জেলায় গত ১৫ বছরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা ও আসামির সংখ্যা নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে সময় দিলে খোঁজ নিয়ে জানাবেন বলেন।

বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের দেওয়া তথ্যমতে-বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নামে মামলা ৩৬টি, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ১০৯, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের ৭৫, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ৩৯, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ৩৫, কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমানের ২২০, বরকতউল্লাহ বুলুর ১৬৫, রুহুল কবির রিজভীর ১৩০, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের ১৫৫, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের ২৬০, হাবিব-উন নবী খান সোহেলের নামে ৪৫০-এর বেশি, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের ১০, আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলের ১৬০, ঢাকা মহানগরের আমিনুল হকের ২৮, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরবের ৩৫০, বর্তমান সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ৩২৬, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারের ৩৩৫, স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজিব আহসানের বিরুদ্ধে ১৭৬টির বেশি মামলা রয়েছে।

এদিকে মামলার চাপ ও হাজিরা নিয়ে আদালতপাড়ায় নিয়মিত যাতায়াত দলটির নেতাকর্মীদের। অনেকেই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মামলা নিয়ে থাকেন ব্যস্ত। এ কারণে কেউ কেউ পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। মাস কিংবা বছরেও মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তানের মুখ দেখতে পারছেন না নেতারা। ফেরারি হয়ে একেক দিন একেক জায়গায় রাতযাপন করছেন তারা।

স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি এএ জহির উদ্দিন তুহিন যুগান্তরকে বলেন, রাজনীতির কারণে ৫০টির বেশি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ২টিতে সাজা হয়েছে। এখন ফেরারি। কর্মসূচি ও মামলার ঘানি টানতেই দিন পার। ২০১৫ সাল থেকে পরিবার থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন। মা, স্ত্রী, দুই সন্তান কাউকেই দেখতে যেতে পারছি না। ভিডিও কলে দেখতে হয়। ছেলে দুইটা পিতার আদর-স্নেহ ছাড়াই বড় হচ্ছে। আমাকে দেখার জন্য কান্না করে।

তুহিনের মা জাহানারা বারী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী আমার ছেলে বাড়ি আসতে পারছে না। কত দিন তাকে দেখতে পারছি না। ছেলের জন্য কান্না পায়। পথের দিকে চেয়ে থাকি। কিন্তু সে তো মামলার কারণে দূরে দূরে থাকে। সংসার চালাতেও হিমশিম খাচ্ছি। বিরোধী দলের রাজনীতির কারণে আজ আমাদের পরিবারের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কবে আমার ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরব। সরকার এত নিষ্ঠুর কেন? ৩৩৫টির বেশি মামলা যুবদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারের বিরুদ্ধে।

তিনি বলেন, এর মধ্যে রায় দিয়েছে ১৩টি। ৬টিতে সাড়ে ১৮ বছর সাজা হয়েছে। সর্বোচ্চ সাজা আমার। এত বেশি মামলা যে প্রতিদিন ৬-৭টি করে মামলায় হাজিরা দিতে হয়। সকালে কোর্টে গেলে ফিরতে বিকাল হয়ে যায়। একই সময়ে একাধিক কোর্টে হাজিরা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে দৌড়াদৌড়ির মধ্যেই আছি। এখন সাজার কারণে হাজিরা দেওয়াও বন্ধ করে দিয়েছি। পার্টির নির্দেশনা পেলে আত্মসমর্পণ করব। ইসহাক সরকার ও জহির উদ্দিন তুহিনের মতো হাজার হাজার নেতাকর্মীদের জীবনের গল্প অনেকটা একই সূত্রে গাথা।

ওয়ান-ইলেভেন থেকে শুরু করে পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন মামলায় বিএনপির অনেক নেতাকর্মীর সাজা হয়েছে। দলটির দাবি, রাজনৈতিক কারণে এসব সাজা।

সাজাপ্রাপ্ত নেতাদের মধ্যে রয়েছেন-বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, মো. শাহজাহান, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আব্দুস সালাম পিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সহসম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, গ্রাম সরকার বিষয়ক সহসম্পাদক বেলাল আহমেদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল ইসলাম রবি, হাবিবুর রশিদ হাবিব, আকরামুল হাসান, ওবায়দুল হক নাসির, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, বর্তমান সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি মামুন হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান প্রমুখ। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে অনেকে জামিনে রয়েছেন। কেউবা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

সূত্র জানায়, সাজাপ্রাপ্ত নেতাদের অনেকে আত্মসমর্পণ করেছেন। কেউ কেউ ঈদের আগে ও পরে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইবেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল  বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বিরোধী দলকে দমন-পীড়নে এতসংখ্যক মামলা বিশ্বের ইতিহাসে নেই। এটা বিএনপিকে দমন করার হাতিয়ার হিসাবে কাজ করছে। মামলার সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে পরিচালনা করতে গিয়ে আইনজীবীরা হিমশিম খাচ্ছেন। তারপরও আইনজীবীরা সর্বোচ্চভাবে চেষ্টা করছেন এ রাজনৈতিক মিথ্যা, বানোয়াট মামলাগুলোর আইনি মোকাবিলা করার জন্য।