১০০ বছরে মারা গেলেন সবচেয়ে বেশি বয়সে নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী

১০০ বছরে মারা গেলেন সবচেয়ে বেশি বয়সে নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : সবচেয়ে বেশি বয়সে নোবেল পুরস্কারজয়ী বিজ্ঞানী জন গুডেনাফ মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। গত রোববার (২৫ জুন) লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী এই বিজ্ঞানী মারা যান।

মঙ্গলবার (২৭ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জন গুডেনাফ ১০০ বছর বয়সে মারা গেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস জন গুডেনাফের মৃত্যুর খরব নিশ্চিত করেছে। সেখানে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যাপক হিসাবে কাজ করতেন।

বিবিসি বলছে, লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি তৈরিসহ ব্যাটারির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য ২০১৯ সালে ৯৭ বছর বয়সে রসায়নে নোবেল পুরস্কার পান জন গুডেনাফ। সে অনুযায়ী তিনিই ছিলেন সবচেয়ে বেশি বয়সে নোবেলজয়ী ব্যক্তি।

মূলত লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির উন্নয়নে জন গুডেনাফের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে বিশ্বজুড়ে এখন লাখ লাখ বিদ্যুৎচালিত গাড়ি চলছে। এছাড়া ওজনে হালকা শক্তিশালী ব্যাটারি প্রযুক্তিতে এটি বিপ্লব ঘটিয়েছে।


এর ফলে ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোনের মতো আধুনিক পোর্টেবল ইলেকট্রনিক্সের পথও সুগম হয়। এসব ব্যাটারি সোলার প্যানেলসহ বৃহত্তর আধুনিক ডিভাইসগুলোকে শক্তি দেওয়ার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

অস্টিনের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের প্রেসিডেন্ট জে হার্টজেল বলেছেন, ‘অসাধারণ বিজ্ঞানী হিসাবে জন গুডেনাফের অবদান অনস্বীকার্য।’

এছাড়া ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস তাকে ‘একজন নিবেদিতপ্রাণ সরকারি কর্মচারী, উত্তম পরামর্শদাতা এবং উজ্জ্বল অথচ বিনয়ী উদ্ভাবক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

উল্লেখ্য, ১৯২২ সালে জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করেন ড. জন গুডেনাফ। তিনি উত্তর-পূর্ব যুক্তরাষ্ট্রে বেড়ে ওঠেন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন সেনাবাহিনীতে আবহাওয়াবিদ হিসেবে কাজ করেন।

তিনি ইয়েল ইউনিভার্সিটি থেকে গণিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন, পাশাপাশি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। গত ৩৭ বছর ধরে অস্টিনের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছিলেন গুডেনাফ।