হোটেলে হোটেলে তল্লাশি ও গ্রেফতার চলছে: রিজভী
প্রথম নিউজ, ঢাকা : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন দলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসকে তার লালমাটিয়ার বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে ডিবি পুলিশ কিন্তু এখনও স্বীকার করছে না। এছাড়াও হোটেল প্রিতম, মিডওয়েতে যারা ছিল সবাইকে তুলে নিয়ে গেছে পুলিশ। তিনি বলেন বিএনপির মহাসমাবেশের প্রাক্কালে রাজধানীর বিভিন্ন হোটেলে তল্লাশি চালিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের হিড়িক চলছে।
এছাড়াও বাসায় বাসায় তল্লাশি ও গ্রেফতার চলছে বলেও জানান রিজভী আহমেদ। তিনি আরও বলেন মঞ্জুরে মওলা পলাশ, সদস্য সচিব, জাতীয়তাবাদী কৃষক দল, জয়পুরহাট জেলা শাখা ও মশিউর রহমান খন্দকার (এ্যালট), ছাত্রদল নেতাকে গ্রেফতার করে কলাবাগান থানায় নিয়ে গেছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম পটু ও যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মঈনুল ইসলাম হিটু'র গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে রাত ১১ টার পরে কাশিয়ানী থানার পুলিশ খোঁজতে যায় এবং পটু ও হিটু কে বাড়ীতে না পেয়ে পুলিশ তার ছোট ভাই কে হুমকি ধমকি দিয়ে আসে। গ্রামের বাড়িতে পটু ও হিটু'র ছোট ভাই তার পরিবার নিয়ে আতংকের মধ্যে আছে। এছাড়াও মিরপুর থেকে ছাত্রদল নেতা সজিব রাজা ,মোঃ ইমরান হোসেন, মোঃ জাহিদ হোসেন, মোঃ কনকসহ মোট ২০জন গ্রেফতার করেছে মিরপুর থানা পুলিশ।
এদিকে ঢাকা মহানগরের ২৩ নং ওয়ার্ডের কমিশনার মীর আশরাফ আলী ও তার ছেলে ব্যারিস্টার মুনতাইন আলীকে রাতে পুলিশ গ্রেফতার করে। গ্রেপ্তারের সময় কমিশনার মীর আশরাফ আলীর ২ পা ভেঙ্গে গেছে। বর্তমানে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা শফিকুল ইসলাম মিলন, ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিবসহ কয়েকশত নেতাকর্মীকে গতরাতে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তিনি এসব গন গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত নেতাদের মুক্তি দাবি করেন। তিনি বলেন গ্রেফতার নির্যাতন করে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। বিএনপির মহাসমাবেশ বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। বরং নির্যাতনের মাত্রা যত বাড়বে সরকারের পতন তত তাড়াতাড়ি ঘটবে।