স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযান, রাজধানীর ৬ স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশে দুটি টিম রাজধানীর রামপুরা, মিরপুর ও মোহাম্মদপুর এলাকায় বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযান, রাজধানীর ৬ স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ

প্রথম নিউজ, অনলাইন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা না মানায় রাজধানীর ৬টি ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাডব্যাংক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর প্রবেশপথে বৈধ লাইসেন্স না টানানো, তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগ ও লেবার রুম প্রটোকল না মানাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়েছে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশে দুটি টিম রাজধানীর রামপুরা, মিরপুর ও মোহাম্মদপুর এলাকায় বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে।

হাসপাতাল ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান মিরপুর কালশী, সহকারী পরিচালক ডা. মুহাম্মদ বিল্লাল হোসেন মোহাম্মদপুর এলাকার বিভিন্ন ক্লিনিক হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ক্লিনিক শাখার সহকারী পরিচালক ডা. আহসানুল হক, ডা. মাসুদ রেজা খান, মেডিকেল অফিসার ডা. কাজী মো. সালেহীন তৌহিদ রামপুরা এলাকায় বিভিন্ন ক্লিনিক হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। জানা যায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৬টি টিম আজ থেকে পূর্ণাঙ্গ অভিযানে নামবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. মুহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, আমরা ১২টি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছি।

এর মধ্যে ৬টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছি। বাকিগুলোকে শোকজ করা হবে। বন্ধ করে দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর দুটির লাইসেন্স আপডেট ছিল না, বাকিগুলোর লাইসেন্সই ছিল না। মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ারে দুটি ব্লাডব্যাংক (রেডিয়াম ব্লাডব্যাংক ও রাজধানী ব্লাডব্যাংক) ও একটি হাসপাতাল (টিজি হাসপাতাল) বন্ধ করেছি। আর ইসিবি চত্বরে আল হাকিমি চক্ষু হাসপাতাল বন্ধ করেছি। এছাড়াও কালশীতে এশিয়ান ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও এইচএস ডায়ালাইসিস অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে দুটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছি, এগুলোর লাইসেন্স ছিল না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেডিকেল অফিসার ডা. কাজী মো. সালেহীন তৌহিদ বলেন, মঙ্গলবার আমরা কঠোর কোনো অভিযান পরিচালনা করিনি। আমাদের মূল লক্ষ্য বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনায় সরকারের ১০ দফা নির্দেশনাগুলো ঠিকমতো মানছে কি না, সেগুলো মনিটর করা।

তিনি বলেন, আমরা রামপুরা বনশ্রী এলাকায় কয়েকটি হাসপাতালে গিয়েছি। বিশেষ করে ফরাজি হাসপাতালে গিয়ে কিছু সমস্যা পেয়েছি, সেগুলো সমাধানে তাদের আমরা সতর্কতামূলক বার্তা দিয়ে এসেছি। এরকম বাকি সবকটিতেই আমরা ছোটখাটো যেসব সমস্যা পেয়েছি, সেগুলোর জন্য তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে এসেছি।